ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লকডাউন শেষ হলেই সাপ্তাহিক পশুর হাট বসতে পারে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৯:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
  • / ৩৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় ঈদুল আজহার প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন ঈদুল আজহার নামাজের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্যে ৪৫ মিনিটের ব্যবধান থাকবে। এছাড়া কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসরাণ করতে হবে। গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন আয়োজিত পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন এবং নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি ও দ্রুততম সময়ে বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, যেহেতু চলমান লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত সেহেতু ওইদিন পর্যন্ত জেলায় কোনো পশুহাট বসবে না। চলমান লকডাউন শেষ হলে জেলায় সাপ্তাহিক পশুর হাট বসতে পারে। সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং জেলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে অনলাইন পশুহাটের মাধ্যমে কোরবানির পশু কেনার জন্যও আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
ডিসি নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ঈদের জামাত কোথায় হবে সে ব্যপারে সরকারি কোনো নির্দেশনা এখনও আসেনি। তবে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এবারও ঈদের জামাত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে মসজিদে হওয়ার সম্ভাবানা আছে। ঈদের প্রথম জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। এরপর ৪৫ মিনিট বিরতি নিয়ে পরবর্তী জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মনে রাখতে হবে প্রত্যেককেই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঈদের জামাত আদায় করতে হবে। এসময় কোরবানির পশু জবাই করার পর নির্দিষ্ট স্থান থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য পৌরসভাকে নির্দেশনা দেন তিনি। ডিস আরও বলেন, যার যার বাড়ির আশেপাশে ফাঁকা স্থানে অথবা বাড়ির সামনে কোরবানির পশু জবাই করতে হবে। জবাইকৃত পশুর বর্জ্য নির্দিষ্ট একটা স্থানে রাখতে হবে। কোরবানির পশুর চামড়া অবশ্যই সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। চামড়া যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আওলিয়ার রহমান, এনএসআই উপপরিচালক জিএম জামিল সিদ্দিক, জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম, ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী ময়নুদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক দীপক কুমার সাহা, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের জগলুসহ জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমামবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

লকডাউন শেষ হলেই সাপ্তাহিক পশুর হাট বসতে পারে

আপলোড টাইম : ১১:০৯:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১

চুয়াডাঙ্গায় ঈদুল আজহার প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন ঈদুল আজহার নামাজের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্যে ৪৫ মিনিটের ব্যবধান থাকবে। এছাড়া কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসরাণ করতে হবে। গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন আয়োজিত পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন এবং নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি ও দ্রুততম সময়ে বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, যেহেতু চলমান লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত সেহেতু ওইদিন পর্যন্ত জেলায় কোনো পশুহাট বসবে না। চলমান লকডাউন শেষ হলে জেলায় সাপ্তাহিক পশুর হাট বসতে পারে। সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং জেলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে অনলাইন পশুহাটের মাধ্যমে কোরবানির পশু কেনার জন্যও আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
ডিসি নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ঈদের জামাত কোথায় হবে সে ব্যপারে সরকারি কোনো নির্দেশনা এখনও আসেনি। তবে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এবারও ঈদের জামাত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে মসজিদে হওয়ার সম্ভাবানা আছে। ঈদের প্রথম জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। এরপর ৪৫ মিনিট বিরতি নিয়ে পরবর্তী জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মনে রাখতে হবে প্রত্যেককেই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঈদের জামাত আদায় করতে হবে। এসময় কোরবানির পশু জবাই করার পর নির্দিষ্ট স্থান থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য পৌরসভাকে নির্দেশনা দেন তিনি। ডিস আরও বলেন, যার যার বাড়ির আশেপাশে ফাঁকা স্থানে অথবা বাড়ির সামনে কোরবানির পশু জবাই করতে হবে। জবাইকৃত পশুর বর্জ্য নির্দিষ্ট একটা স্থানে রাখতে হবে। কোরবানির পশুর চামড়া অবশ্যই সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। চামড়া যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাজিয়া আফরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আওলিয়ার রহমান, এনএসআই উপপরিচালক জিএম জামিল সিদ্দিক, জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম, ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী ময়নুদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক দীপক কুমার সাহা, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের জগলুসহ জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমামবৃন্দ।