ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ঢাকা ঘোষণায় নিরাপদ প্রত্যাবাসনে জোর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল ২০১৮
  • / ২৭৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: রোহিঙ্গাদের উপর চালানো নিপীড়নকে গণহত্যা, গণসহিংসতা, মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং জাতিগত নিধনের ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের প্রতিনিধিরা। ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট: টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে’ নামক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ‘ঢাকা ঘোষণা’য় এমন মন্তব্য এসেছে। ঢাকা ঘোষণায় বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের খুব দ্রুত সম্মানজনক, সর্বজন স্বীকৃত এবং নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের বিচারের আওতায় এনে রোহিঙ্গাদের পর্যাপ্ত মানবিক এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদান করতে হবে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে একশনএইড বাংলাদেশ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ আয়োজিত দু’দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী দিনে বাংলাদেশ সরকার, প্রাক্তন ও বর্তমান কূটনীতিক, গবেষক ও ১১টি দেশের প্রতিনিধিরা এই ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন, যারা এই ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবি জানান। ‘ঢাকা ঘোষণা’ বাংলাদেশ ও বিদেশী বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হয়। এই ঘোষণা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন এবং সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞরা সংহতি জানিয়েছেন। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দুই দিনের সম্মেলন শেষে ঢাকা ঘোষণায় ১৬টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। যেখানে বলা হয়, গ্লোবাল সামিট-২০০৫ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, জাতিংঘের চার্টার অনুসারে গণহত্যা এবং গণ-দেশান্তরের মত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের সুস্পষ্ট ঘোষণার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতেই হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্যদের যথাযথ কূটনৈতিক চ্যানেলসমূহ ব্যবহারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত মানবিক এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ঢাকা ঘোষণায় নিরাপদ প্রত্যাবাসনে জোর

আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল ২০১৮

সমীকরণ ডেস্ক: রোহিঙ্গাদের উপর চালানো নিপীড়নকে গণহত্যা, গণসহিংসতা, মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং জাতিগত নিধনের ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের প্রতিনিধিরা। ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট: টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে’ নামক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ‘ঢাকা ঘোষণা’য় এমন মন্তব্য এসেছে। ঢাকা ঘোষণায় বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের খুব দ্রুত সম্মানজনক, সর্বজন স্বীকৃত এবং নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের বিচারের আওতায় এনে রোহিঙ্গাদের পর্যাপ্ত মানবিক এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদান করতে হবে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে একশনএইড বাংলাদেশ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ আয়োজিত দু’দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী দিনে বাংলাদেশ সরকার, প্রাক্তন ও বর্তমান কূটনীতিক, গবেষক ও ১১টি দেশের প্রতিনিধিরা এই ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন, যারা এই ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবি জানান। ‘ঢাকা ঘোষণা’ বাংলাদেশ ও বিদেশী বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হয়। এই ঘোষণা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন এবং সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞরা সংহতি জানিয়েছেন। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দুই দিনের সম্মেলন শেষে ঢাকা ঘোষণায় ১৬টি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। যেখানে বলা হয়, গ্লোবাল সামিট-২০০৫ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, জাতিংঘের চার্টার অনুসারে গণহত্যা এবং গণ-দেশান্তরের মত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের সুস্পষ্ট ঘোষণার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতেই হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্যদের যথাযথ কূটনৈতিক চ্যানেলসমূহ ব্যবহারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত মানবিক এবং অন্যান্য সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।