ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ: মিয়ানমারের মন্ত্রী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৮
  • / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ‘খুবই খারাপ অবস্থা’ বিরাজ করছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ি। তিনি বলেছেন, বর্ষা মৌসুম আসন্ন। এ কারণে যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেশে ফিরে গতকাল বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গুনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন মন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ি। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেওয়া সবার অবস্থাই খুব খারাপ। বর্ষা মৌসুম খুবই কাছাকাছি চলে আসায় আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়া শুরু করা। বাংলাদেশে যারা পালিয়ে গেছে, তাদের জন্য আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।’ মিয়ানমার গত শনিবার দাবি করেছে, প্রত্যাবাসনের অংশ হিসেবে তারা প্রথম একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে ফিরিয়ে নিয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, এ ধরনের প্রত্যাবাসনের খবর তাদের জানা নেই। ওই পরিবার বাংলাদেশেই ঢোকেনি। ত্রাণ আটকে দিচ্ছে মিয়ানমার সরকার তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়, একদিকে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কথা বলছে, অন্যদিকে রাখাইন রাজ্যে প্রচ- খাদ্যসংকটে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সহায়তা আটকে দিচ্ছে দেশটির সরকার। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক অভিযোগ করেছে, মিয়ানমার সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষুধাপীড়িত রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠানো ত্রাণ সহায়তা আটকে দিচ্ছে। গতকাল সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এনজিওগুলোর ওপর বিধিনিষেধের কারণে যেসব রোহিঙ্গা থেকে গেছে, তাদের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না।’সেনাদের সতর্ক করলেন সেনাপ্রধান রাখাইনের ইনদিন গ্রামে রোহিঙ্গাদের হত্যার দায়ে মিয়ানমারের সাতজন সেনাসদস্যের সাজার কথা উল্লেখ করে দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লায়াইং বলেছেন, তাঁদের অবশ্যই আইন মেনে চলতে হবে। গতকাল একটি সামরিক স্কুলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, সেনাসদস্যদের অবশ্যই সামরিক আচরণবিধি এবং আন্তর্জাতিক আইন ও সনদ মেনে চলতে হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেনেভা সনদ অনুযায়ী ইনদিন গ্রামের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। সেখানে সামরিক কর্মকর্তা এবং যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ: মিয়ানমারের মন্ত্রী

আপলোড টাইম : ০৪:১৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৮

বিশ্ব ডেস্ক: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ‘খুবই খারাপ অবস্থা’ বিরাজ করছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ি। তিনি বলেছেন, বর্ষা মৌসুম আসন্ন। এ কারণে যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেশে ফিরে গতকাল বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গুনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন মন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ি। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেওয়া সবার অবস্থাই খুব খারাপ। বর্ষা মৌসুম খুবই কাছাকাছি চলে আসায় আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়া শুরু করা। বাংলাদেশে যারা পালিয়ে গেছে, তাদের জন্য আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।’ মিয়ানমার গত শনিবার দাবি করেছে, প্রত্যাবাসনের অংশ হিসেবে তারা প্রথম একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে ফিরিয়ে নিয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, এ ধরনের প্রত্যাবাসনের খবর তাদের জানা নেই। ওই পরিবার বাংলাদেশেই ঢোকেনি। ত্রাণ আটকে দিচ্ছে মিয়ানমার সরকার তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়, একদিকে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কথা বলছে, অন্যদিকে রাখাইন রাজ্যে প্রচ- খাদ্যসংকটে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সহায়তা আটকে দিচ্ছে দেশটির সরকার। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক অভিযোগ করেছে, মিয়ানমার সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষুধাপীড়িত রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠানো ত্রাণ সহায়তা আটকে দিচ্ছে। গতকাল সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এনজিওগুলোর ওপর বিধিনিষেধের কারণে যেসব রোহিঙ্গা থেকে গেছে, তাদের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না।’সেনাদের সতর্ক করলেন সেনাপ্রধান রাখাইনের ইনদিন গ্রামে রোহিঙ্গাদের হত্যার দায়ে মিয়ানমারের সাতজন সেনাসদস্যের সাজার কথা উল্লেখ করে দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লায়াইং বলেছেন, তাঁদের অবশ্যই আইন মেনে চলতে হবে। গতকাল একটি সামরিক স্কুলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, সেনাসদস্যদের অবশ্যই সামরিক আচরণবিধি এবং আন্তর্জাতিক আইন ও সনদ মেনে চলতে হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেনেভা সনদ অনুযায়ী ইনদিন গ্রামের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। সেখানে সামরিক কর্মকর্তা এবং যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।