ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই প্রত্যাবাসন করা হবে : রাষ্ট্রপতি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৩৩২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উখিয়ায় বালুখালী ক্যাম্প পরিদর্শন করে সেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই তাদের মিয়ানমারে ফেরার ব্যবস্থা করা হবে। সোমবার বিকালে সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতি বালুখালী ক্যাম্পের পরিস্থিতি দেখেন এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলে তাদের দুঃখ-দুর্দশার বর্ণনা শোনেন। এ সময় রোহিঙ্গারা পুনরায় মিয়ানমারে ফিরে গেলে পরিবারের মৃত বা আহত সদস্যদের মতো নির্যাতনের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কার কথা রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাদের বলেন, কেবল বাংলাদেশ না, সমগ্র বিশ্ব রোহিঙ্গাদের পাশে আছে। রোহিঙ্গারা যাতে সম্মানের সঙ্গে মিয়ানমারে ফেরত যেতে পারেন এবং নিরাপত্তার সঙ্গে নিজ দেশে বসবাস করতে পারেন, তা নিশ্চিত করে ফেরত পাঠানো হবে। পরে রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরণ শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের জন্য এই রোহিঙ্গারা একটা বার্ডেন। কিন্তু মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়ে সাধ্যমতো রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এখন চুক্তি হয়েছে; রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে সম্মানের সঙ্গে ফিরতে পারে- সেটা নিশ্চিত করা হবে। কারণ মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি ও ত্রাণ কার্যক্রমের সার্বিক বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। সন্ধ্যায় কক্সবাজারে ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়ামের মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এক্সসার সাইজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই প্রত্যাবাসন করা হবে : রাষ্ট্রপতি

আপলোড টাইম : ১১:৩৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উখিয়ায় বালুখালী ক্যাম্প পরিদর্শন করে সেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই তাদের মিয়ানমারে ফেরার ব্যবস্থা করা হবে। সোমবার বিকালে সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতি বালুখালী ক্যাম্পের পরিস্থিতি দেখেন এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলে তাদের দুঃখ-দুর্দশার বর্ণনা শোনেন। এ সময় রোহিঙ্গারা পুনরায় মিয়ানমারে ফিরে গেলে পরিবারের মৃত বা আহত সদস্যদের মতো নির্যাতনের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কার কথা রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাদের বলেন, কেবল বাংলাদেশ না, সমগ্র বিশ্ব রোহিঙ্গাদের পাশে আছে। রোহিঙ্গারা যাতে সম্মানের সঙ্গে মিয়ানমারে ফেরত যেতে পারেন এবং নিরাপত্তার সঙ্গে নিজ দেশে বসবাস করতে পারেন, তা নিশ্চিত করে ফেরত পাঠানো হবে। পরে রাষ্ট্রপতি রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরণ শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের জন্য এই রোহিঙ্গারা একটা বার্ডেন। কিন্তু মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়ে সাধ্যমতো রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এখন চুক্তি হয়েছে; রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে সম্মানের সঙ্গে ফিরতে পারে- সেটা নিশ্চিত করা হবে। কারণ মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি ও ত্রাণ কার্যক্রমের সার্বিক বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। সন্ধ্যায় কক্সবাজারে ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়ামের মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এক্সসার সাইজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।