ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রেনিটিডিন ওষুধ আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯
  • / ২৩৯ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
রেনিটিডিন ওষুধের উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। গত রোববার অধিদপ্তর এই ওষুধ সম্পর্কিত সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, রেনিটিডিনের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বিদেশে একাধিক গবেষণায় এর প্রমাণ মিলেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওধুষ প্রশাসন রেনিটিডিনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বড় কোম্পানিই এই ওষুধ তৈরি করে। কানাডা ও ফ্রান্স বাজার থেকে রেনিটিডিন উঠিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) ১৩ সেপ্টেম্বর একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করে। সেখানে দাবি করা হয়, রেনিটিডিন ওষুধে এন-নাইট্রোসোডিয়ামেথাইলামাইনের (এনডিএমএ) উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এনডিএমএ প্রাণিদেহে ক্যানসারের কারণ হতে পারে। এই গবেষণার পরে বিশ্বব্যাপি রেনিটিডিনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কানাডা ও ফ্রান্স তাদের বাজার থেকে রেনিটিডিন উঠিয়ে নিয়েছে। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় ওষুধ খুচরো বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সিভিএস ঘোষণা দিয়েছে, তারা এই ওধুষ আর বিক্রি করবে না। রেনিটিডিনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরও অনুসন্ধান চালাচ্ছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রেনিটিডিনে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। তবে যারা এই ওষুধ নিচ্ছেন, তারা চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে ওষুধ পরিবর্তন করতে পারেন। ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) জানাচ্ছে, এনডিএমএ নামের উপাদানটি পানি ও খাদ্যে পাওয়া যায়। বিশেষত মাংস, দুগ্ধজাত ও শাকসবজিতে এই উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে। তবে সীমিত মাত্রায় এনডিএমএ শরীরে ঢুকলে সেটা কোনো ক্ষতি করে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রেনিটিডিন ওষুধ আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ

আপলোড টাইম : ১০:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন:
রেনিটিডিন ওষুধের উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। গত রোববার অধিদপ্তর এই ওষুধ সম্পর্কিত সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, রেনিটিডিনের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বিদেশে একাধিক গবেষণায় এর প্রমাণ মিলেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওধুষ প্রশাসন রেনিটিডিনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বড় কোম্পানিই এই ওষুধ তৈরি করে। কানাডা ও ফ্রান্স বাজার থেকে রেনিটিডিন উঠিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) ১৩ সেপ্টেম্বর একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করে। সেখানে দাবি করা হয়, রেনিটিডিন ওষুধে এন-নাইট্রোসোডিয়ামেথাইলামাইনের (এনডিএমএ) উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এনডিএমএ প্রাণিদেহে ক্যানসারের কারণ হতে পারে। এই গবেষণার পরে বিশ্বব্যাপি রেনিটিডিনের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কানাডা ও ফ্রান্স তাদের বাজার থেকে রেনিটিডিন উঠিয়ে নিয়েছে। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় ওষুধ খুচরো বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সিভিএস ঘোষণা দিয়েছে, তারা এই ওধুষ আর বিক্রি করবে না। রেনিটিডিনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরও অনুসন্ধান চালাচ্ছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রেনিটিডিনে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। তবে যারা এই ওষুধ নিচ্ছেন, তারা চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে ওষুধ পরিবর্তন করতে পারেন। ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) জানাচ্ছে, এনডিএমএ নামের উপাদানটি পানি ও খাদ্যে পাওয়া যায়। বিশেষত মাংস, দুগ্ধজাত ও শাকসবজিতে এই উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে। তবে সীমিত মাত্রায় এনডিএমএ শরীরে ঢুকলে সেটা কোনো ক্ষতি করে না।