ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রেজিস্ট্রেশন হলেও ম্যাসেজ না গেলে টিকা দেওয়া হবে না

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০০:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
  • / ১০৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় করোনা প্রতিরোধে জেলা কমিটির সভায় সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির করণীয় সম্পর্কিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল চারটায় জুম ক্লাউড অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়ালভাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জুম ক্লাউড অ্যাপে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন করোনা প্রতিরোধে চুয়াডাঙ্গা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মানুষের জীবন আগে বাঁচাতে হবে। স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিয়ম-নীতি মেনে নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিয়ম-নীতিগুলো মেনে চলা এবং সেভাবে নিজেকে সুরক্ষিত করা এবং অন্যকে সুরক্ষিত রাখা। এটা অবশ্যই সকলকে করতে হবে। লকডাউন যাতে যথাযথভাবে মানুষ পালন করে, সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম আরও বলেন, টিকাদান কেন্দ্রে মানুষের প্রচুর ভিড় থাকবে সেটা হবে। রেজিস্ট্রেশন করেই সবাই টিকা নেওয়ার জন্য চলে আসবে, তা হবে না। ম্যাসেজ যাওয়ার পর টিকা নিতে আসতে হবে। ম্যাসেজ যাদের যাবে না, তাদের টিকা দেওয়া হবে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, হাসপাতালে করোনা টিকাদান আলাদা স্থানে করতে হবে। যে বিল্ডিংএ রেড এবং ইয়োলো জোন, সেখানে টিকাদান করা যাবে না। অতিদ্রুতই পুরোনো ভবনে টিকাদান চালু হবে। আইসিইউ-এর কাজ এ সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে। আমাদেরকে লকডাউন সঠিকভাবে পালন করতে হবে। লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে প্রশাসন সর্বদা তৎপর। তিনি আরও বলেন, করোনা চিকিৎসা এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য বারবার ব্যবস্থাপনার কথা উঠছে। আসলে লোকবল সংকট। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। যোগাযোগ চলেছে। অতিদ্রুতই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
এসময় চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদীন খোকন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস প্রমুখ সংযুক্ত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রেজিস্ট্রেশন হলেও ম্যাসেজ না গেলে টিকা দেওয়া হবে না

আপলোড টাইম : ০৯:০০:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

চুয়াডাঙ্গায় করোনা প্রতিরোধে জেলা কমিটির সভায় সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির করণীয় সম্পর্কিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল চারটায় জুম ক্লাউড অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়ালভাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জুম ক্লাউড অ্যাপে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন করোনা প্রতিরোধে চুয়াডাঙ্গা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মানুষের জীবন আগে বাঁচাতে হবে। স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিয়ম-নীতি মেনে নিজেকে ও অন্যকে সুরক্ষা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিয়ম-নীতিগুলো মেনে চলা এবং সেভাবে নিজেকে সুরক্ষিত করা এবং অন্যকে সুরক্ষিত রাখা। এটা অবশ্যই সকলকে করতে হবে। লকডাউন যাতে যথাযথভাবে মানুষ পালন করে, সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম আরও বলেন, টিকাদান কেন্দ্রে মানুষের প্রচুর ভিড় থাকবে সেটা হবে। রেজিস্ট্রেশন করেই সবাই টিকা নেওয়ার জন্য চলে আসবে, তা হবে না। ম্যাসেজ যাওয়ার পর টিকা নিতে আসতে হবে। ম্যাসেজ যাদের যাবে না, তাদের টিকা দেওয়া হবে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, হাসপাতালে করোনা টিকাদান আলাদা স্থানে করতে হবে। যে বিল্ডিংএ রেড এবং ইয়োলো জোন, সেখানে টিকাদান করা যাবে না। অতিদ্রুতই পুরোনো ভবনে টিকাদান চালু হবে। আইসিইউ-এর কাজ এ সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে। আমাদেরকে লকডাউন সঠিকভাবে পালন করতে হবে। লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে প্রশাসন সর্বদা তৎপর। তিনি আরও বলেন, করোনা চিকিৎসা এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য বারবার ব্যবস্থাপনার কথা উঠছে। আসলে লোকবল সংকট। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। যোগাযোগ চলেছে। অতিদ্রুতই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
এসময় চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদীন খোকন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস প্রমুখ সংযুক্ত ছিলেন।