ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রেকর্ড গড়ে সিপিএলের চতুর্থ শিরোপা নাইট রাইডার্সের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

খেলাধুলা প্রতিবেদন
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (সিপিএল) এর আগের সাত আসরে তিনবার ফাইনাল খেলে প্রত্যেকবারই শিরোপা জেতে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। ফাইনালে শতভাগ জয়ের রেকর্ডটা ধরে রাখলো এবারো। বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদে অনুষ্ঠিত ফাইনালে প্রথমবার ফাইনালে ওঠা সেন্ট লুসিয়া জুকসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মেতেছে কাইরন পোলার্ডের দল। সেন্ট লুসিয়ার করা ১৫৪/১০ রান ১১ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় নাইট রাইডার্স ১৫৭/২। চতুর্থ শিরোপাটা নাইট রাইডার্স ঘরে তুলেছে রেকর্ড গড়ে। আসরের ১২ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে দলটি। সিপিএল ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করল নাইট রাইডার্স। তৃতীয় উইকেটে লেন্ডল সিমন্স ও ড্যারেন ব্রাভোর সিপিএল ফাইনালের রেকর্ড ১৩৮ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতে নেয় নাইটরা। সিমন্স ৪৯ বলে চার ছক্কা ও আট বাউন্ডারিতে করেন অপরাজিত ৮৪ রান। ব্রাভো ৪৭ বলে ছয় ছক্কা ও দুই বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সেন্ট লুসিয়ার। রাহকিম কর্নওয়াল (৭ বলে ৮) ফেরেন দলীয় ১০ রানের মাথায়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৭ রান তোলেন মার্ক ডেয়াল (২৭ বলে ২৯) ও আন্দ্রে ফ্লেচার (২৭ বলে ৩৯)। এরপর ম্যাচে ফেরে ত্রিনবাগো। অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড বল হাতে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান। ১১ ওভারেই ২ উইকেটে ৮৯ রান তোলার পরও সেন্ট লুসিয়ার ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৫৪ রানে। ৫ বল আগেই অল আউট হয় ড্যারেন স্যামির দল। রোস্টন চেজ (১৪ বলে ২২) ও নাজিবুল্লাহ জাদরান (১৮ বলে ২৪) ছাড়া কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ৩০ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ত্রিনবাগোর সেরা বোলার পোলার্ড। ১৫৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমী মাঠের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে সিপিএলের সফল দলটি। তৃতীয় উইকেটে ড্যারেন ব্রাভোকে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েন ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। এই দুজনকে থামানোর কোনো উপায় এদিন খুঁজে পায়নি সেন্ট লুসিয়ার বোলাররা। সিমন্স প্রথম থেকে মারমুখী থাকলেও নিজেকে গুটিয়ে রাখেন ড্যারেন ব্রাভো। থিতু হয়ে যাবার পর হাত খোলেন তিনিও। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে থামাতে অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ব্যবহার করেন সাত বোলার! তবুও থামানো যায়নি তাদের। সিমন্স অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসে ছাড়িয়ে গেছেন ক্রিস গেইলকে। এতদিন গেইল (২ হাজার ৩৫৪ রান) ছিলেন সিপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। সিমন্সের নামের পাশে রানের সংখ্যাটা এখন ২ হাজার ৪৩৬। আট দলের সিপিএলের এবারের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে ত্রিনিদাদের দুই ভেন্যুতে। দর্শকশ‚ন্য আসরের আয়োজনটা সফলভাবে শেষ করতে পেরেছে আয়োজকরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রেকর্ড গড়ে সিপিএলের চতুর্থ শিরোপা নাইট রাইডার্সের

আপলোড টাইম : ১০:৫১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

খেলাধুলা প্রতিবেদন
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (সিপিএল) এর আগের সাত আসরে তিনবার ফাইনাল খেলে প্রত্যেকবারই শিরোপা জেতে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। ফাইনালে শতভাগ জয়ের রেকর্ডটা ধরে রাখলো এবারো। বৃহস্পতিবার ত্রিনিদাদে অনুষ্ঠিত ফাইনালে প্রথমবার ফাইনালে ওঠা সেন্ট লুসিয়া জুকসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মেতেছে কাইরন পোলার্ডের দল। সেন্ট লুসিয়ার করা ১৫৪/১০ রান ১১ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় নাইট রাইডার্স ১৫৭/২। চতুর্থ শিরোপাটা নাইট রাইডার্স ঘরে তুলেছে রেকর্ড গড়ে। আসরের ১২ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে দলটি। সিপিএল ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে অপরাজিত চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করল নাইট রাইডার্স। তৃতীয় উইকেটে লেন্ডল সিমন্স ও ড্যারেন ব্রাভোর সিপিএল ফাইনালের রেকর্ড ১৩৮ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতে নেয় নাইটরা। সিমন্স ৪৯ বলে চার ছক্কা ও আট বাউন্ডারিতে করেন অপরাজিত ৮৪ রান। ব্রাভো ৪৭ বলে ছয় ছক্কা ও দুই বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সেন্ট লুসিয়ার। রাহকিম কর্নওয়াল (৭ বলে ৮) ফেরেন দলীয় ১০ রানের মাথায়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৭ রান তোলেন মার্ক ডেয়াল (২৭ বলে ২৯) ও আন্দ্রে ফ্লেচার (২৭ বলে ৩৯)। এরপর ম্যাচে ফেরে ত্রিনবাগো। অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড বল হাতে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান। ১১ ওভারেই ২ উইকেটে ৮৯ রান তোলার পরও সেন্ট লুসিয়ার ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৫৪ রানে। ৫ বল আগেই অল আউট হয় ড্যারেন স্যামির দল। রোস্টন চেজ (১৪ বলে ২২) ও নাজিবুল্লাহ জাদরান (১৮ বলে ২৪) ছাড়া কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ৩০ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ত্রিনবাগোর সেরা বোলার পোলার্ড। ১৫৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমী মাঠের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে সিপিএলের সফল দলটি। তৃতীয় উইকেটে ড্যারেন ব্রাভোকে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েন ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। এই দুজনকে থামানোর কোনো উপায় এদিন খুঁজে পায়নি সেন্ট লুসিয়ার বোলাররা। সিমন্স প্রথম থেকে মারমুখী থাকলেও নিজেকে গুটিয়ে রাখেন ড্যারেন ব্রাভো। থিতু হয়ে যাবার পর হাত খোলেন তিনিও। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে থামাতে অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ব্যবহার করেন সাত বোলার! তবুও থামানো যায়নি তাদের। সিমন্স অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসে ছাড়িয়ে গেছেন ক্রিস গেইলকে। এতদিন গেইল (২ হাজার ৩৫৪ রান) ছিলেন সিপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। সিমন্সের নামের পাশে রানের সংখ্যাটা এখন ২ হাজার ৪৩৬। আট দলের সিপিএলের এবারের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে ত্রিনিদাদের দুই ভেন্যুতে। দর্শকশ‚ন্য আসরের আয়োজনটা সফলভাবে শেষ করতে পেরেছে আয়োজকরা।