ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রায়পুর ইউনিয়নে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য তোলা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য তোলা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ শাহ, ইউপি সদস্য মানিক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের জবাকে পরিষদে অবরুদ্ধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র ঘটনাস্থলে যান। এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আবু তাহের জবাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যান।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. রাসেল হোসেন বলেন, রশিদ চেয়ারম্যান ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মানিককে দিয়ে ৫০টি কার্ডের পণ্য তুলছিলেন। জনগণ দেখে তাঁদের কাছ থেকে কার্ডগুলো কেড়ে নিয়েছে। তাঁরা টিসিবির পণ্য জবার গাড়িতে করে নিয়ে যেত। এ জন্য সবাইকে ইউনিয়ন পরিষদে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।’ ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আকবার হোসেন বলেন, ‘মানিক মেম্বার যখন গাড়ি থেকে একবারে ৫০টি কার্ড দিয়ে টিসিবির পণ্য নিতে যাচ্ছিল, তখন জনগণ কার্ডগুলো কেড়ে নেয়। মানিক মেম্বার টিসিবির পণ্য তুলে আবু তাহের জবার গাড়িতে নিয়ে যাবে বলে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে গাড়ি নিয়ে এসেছিল।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন আবু তাহের জবা। তিনি বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদে ট্রেড লাইসেন্স নিতে এসেছিলাম। আজ ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য দেবে আমি জানতাম না। আমি পরিষদে আসার পর ওই পক্ষ আন্দোলন করছে। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’

এবিষয়ে ইউপি সদস্য মানিক বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানের কক্ষে বসে কার্ড বিতরণ করছিলাম। এসময় আমার কাছ থেকে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আকবার কিছু কার্ড ছিনিয়ে নিয় যায়। পরে তাঁরা দাবি করছে, আমরা টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়মন করছিলাম।’
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ শাহ বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেসব দাবি করা হচ্ছে, সেগুলো মিথ্যা। রায়পুরের কৃষ্ণপুরের জমি নিয়ে ঝামেলার কারণে প্রতিপক্ষ এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জবাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট নেওয়া হয়। এবং তাঁর জবানবন্দি নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রায়পুর ইউনিয়নে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য তোলা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৫:২৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২

জীবননগর অফিস: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য তোলা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ শাহ, ইউপি সদস্য মানিক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের জবাকে পরিষদে অবরুদ্ধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। গতকাল বুধবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র ঘটনাস্থলে যান। এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আবু তাহের জবাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যান।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. রাসেল হোসেন বলেন, রশিদ চেয়ারম্যান ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মানিককে দিয়ে ৫০টি কার্ডের পণ্য তুলছিলেন। জনগণ দেখে তাঁদের কাছ থেকে কার্ডগুলো কেড়ে নিয়েছে। তাঁরা টিসিবির পণ্য জবার গাড়িতে করে নিয়ে যেত। এ জন্য সবাইকে ইউনিয়ন পরিষদে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।’ ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আকবার হোসেন বলেন, ‘মানিক মেম্বার যখন গাড়ি থেকে একবারে ৫০টি কার্ড দিয়ে টিসিবির পণ্য নিতে যাচ্ছিল, তখন জনগণ কার্ডগুলো কেড়ে নেয়। মানিক মেম্বার টিসিবির পণ্য তুলে আবু তাহের জবার গাড়িতে নিয়ে যাবে বলে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে গাড়ি নিয়ে এসেছিল।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন আবু তাহের জবা। তিনি বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদে ট্রেড লাইসেন্স নিতে এসেছিলাম। আজ ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য দেবে আমি জানতাম না। আমি পরিষদে আসার পর ওই পক্ষ আন্দোলন করছে। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’

এবিষয়ে ইউপি সদস্য মানিক বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানের কক্ষে বসে কার্ড বিতরণ করছিলাম। এসময় আমার কাছ থেকে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আকবার কিছু কার্ড ছিনিয়ে নিয় যায়। পরে তাঁরা দাবি করছে, আমরা টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়মন করছিলাম।’
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ শাহ বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেসব দাবি করা হচ্ছে, সেগুলো মিথ্যা। রায়পুরের কৃষ্ণপুরের জমি নিয়ে ঝামেলার কারণে প্রতিপক্ষ এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জবাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট নেওয়া হয়। এবং তাঁর জবানবন্দি নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’