ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতি পদ নিয়ে বাড়ল অপেক্ষা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
কে হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি, তা জানার অপেক্ষা বাড়ল। রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী মনোনয়নের লক্ষ্যে গত রাতে আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের যে বৈঠক হয়, তাতে রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তকরণ হয়নি। দলীয় সংসদ সদস্যরা প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষমতা দলের সভানেত্রী, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর ওপর অর্পণ করেছেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, দু-একদিনের মধ্যেই দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন সংসদ নেতা। আওয়ামী লীগ যাকে প্রার্থী করবে তিনিই হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি এটা নিশ্চিত। কারণ সংসদে আওয়ামী লীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। বৈঠক সূত্র জানায়, রাত ৮টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের লেভেল ৯-এ সরকারি দলীয় সভাকক্ষে আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের বৈঠক বসে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংসদ নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলীয় সংসদ সদস্যদের এলাকামুখী হওয়া এবং সরকারের উন্নয়ন প্রচারের ওপর জোর দেন তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, সামনে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হবে। আমরা যাকে প্রার্থী করব, দলীয় সংসদ সদস্যদের তাকেই ভোট দিতে হবে। উপস্থিত সংসদ সদস্যরা এ সময় হ্যাঁ সূচক ধ্বনি দেন। প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে হবেন তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আমার সঙ্গে একমত? সবাই হ্যাঁ সূচক ধ্বনি দিয়ে বলেন, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের (গতকাল) দলের সংসদীয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের গণসংযোগ বৃদ্ধি, অন্তকলহ দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন সভানেত্রী। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সরকারকে হটাতে আন্দোলনের নামে সারা দেশে সন্ত্রাসের যে আলামত পাওয়া যাচ্ছে তা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের জন্য আলাদা কোনো মনোনয়ন বোর্ড নেই। কাজেই সংসদীয় দলের সভায় রাষ্ট্রপতির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। আগামী ২৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। দুবারের বেশি রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ না থাকায় তাঁর জায়গায় নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যেই ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নতুন কারও শপথ নেওয়ার কথা। রাষ্ট্রপতির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা সংবিধানে বলা হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। পর দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে। জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন। তবে যদি একাধিক প্রার্থী না থাকে তাহলে ১৩ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। এ ছাড়া একাধিক প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীই রাষ্ট্রপতি হবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। কারণ বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই হবেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রাষ্ট্রপতি পদ নিয়ে বাড়ল অপেক্ষা

আপলোড টাইম : ০৮:১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সমীকরণ প্রতিবেদন:
কে হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি, তা জানার অপেক্ষা বাড়ল। রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী মনোনয়নের লক্ষ্যে গত রাতে আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের যে বৈঠক হয়, তাতে রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তকরণ হয়নি। দলীয় সংসদ সদস্যরা প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষমতা দলের সভানেত্রী, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর ওপর অর্পণ করেছেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, দু-একদিনের মধ্যেই দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন সংসদ নেতা। আওয়ামী লীগ যাকে প্রার্থী করবে তিনিই হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি এটা নিশ্চিত। কারণ সংসদে আওয়ামী লীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। বৈঠক সূত্র জানায়, রাত ৮টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের লেভেল ৯-এ সরকারি দলীয় সভাকক্ষে আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের বৈঠক বসে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংসদ নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলীয় সংসদ সদস্যদের এলাকামুখী হওয়া এবং সরকারের উন্নয়ন প্রচারের ওপর জোর দেন তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, সামনে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন হবে। আমরা যাকে প্রার্থী করব, দলীয় সংসদ সদস্যদের তাকেই ভোট দিতে হবে। উপস্থিত সংসদ সদস্যরা এ সময় হ্যাঁ সূচক ধ্বনি দেন। প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে হবেন তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা আমার সঙ্গে একমত? সবাই হ্যাঁ সূচক ধ্বনি দিয়ে বলেন, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের (গতকাল) দলের সংসদীয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের গণসংযোগ বৃদ্ধি, অন্তকলহ দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন সভানেত্রী। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সরকারকে হটাতে আন্দোলনের নামে সারা দেশে সন্ত্রাসের যে আলামত পাওয়া যাচ্ছে তা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের জন্য আলাদা কোনো মনোনয়ন বোর্ড নেই। কাজেই সংসদীয় দলের সভায় রাষ্ট্রপতির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। আগামী ২৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। দুবারের বেশি রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ না থাকায় তাঁর জায়গায় নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যেই ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নতুন কারও শপথ নেওয়ার কথা। রাষ্ট্রপতির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা সংবিধানে বলা হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। পর দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে। জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্যরা ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করবেন। তবে যদি একাধিক প্রার্থী না থাকে তাহলে ১৩ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন। এ ছাড়া একাধিক প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীই রাষ্ট্রপতি হবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। কারণ বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই হবেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।