ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক : মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব বাংলাদেশের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৩৬৪ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: মিয়ানমার সীমান্তে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এসব সন্ত্রাসীদের ‘বাঙ্গালী’ হিসাবে চিহ্নিত করার মিয়ানমার সরকারের প্রবণতার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকায় মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত অং মিনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে রাখাইন সংকট নিয়ে সরকারের অবস্থান জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনুবিভাগ) মঞ্জুরুল ইসলামের সাথে বৈঠক করেন তিনি।
বাংলাদেশের তরফে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে রাখাইনে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর সাথে ‘বাঙ্গালী সন্ত্রাসী’ শব্দের ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য। মিয়ানমার যদি মনে করে সীমান্তে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি আছে, তাদের আটকে ঢাকা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কেননা বাংলাদেশের মাটি কোন দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি কর্মকান্ডে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া হয় না। এ নীতি সরকার দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করে।
বৈঠকে মিয়ানমারের ইসলামি জঙ্গি, আরাকান আর্মি ও অন্য যেকোনো শক্তির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। নিরাপত্তা নিয়ে মিয়ানমারের যে উদ্বেগ রয়েছে, তা দূর করতে সহযোগিতা করতে চায় বাংলাদেশ।
রাখাইন পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে গত শনিবার মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত অং মিনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (এশিয়া ও প্যাসিফিক) মাহবুব উজ্ জামান এসময় অং মিনকে জানান, গত বছরের ৯ অক্টোবর মিয়ানমার পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর সেখানে সেনা অভিযান হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৮৫ হাজার মিয়ানমার নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। চলমান পরিস্থিতিতে রাখাইনের নারী, শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠসহ হাজার হাজার নিরস্ত্র নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টায় সীমান্তে জড়ো হয়েছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। সচিব বলেন, এমনিতেই বাংলাদেশ বছরের পর বছর ধরে কয়েক লাখ মিয়ানমার নাগরিককের ভার বয়ে চলেছে, যারা বিভিন্ন ঘটনায় প্রাণ বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মনে করে সাধারণ নাগরিকদের রক্ষায় মিয়ানমারের দায়িত্ব নেয়া জরুরি। নিরস্ত্র নাগরিক, বিশেষত চরম ঝুঁকিতে থাকা নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের উপযুক্ত নিরাপত্তা এবং আশ্রয় নিশ্চিত করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক : মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব বাংলাদেশের

আপলোড টাইম : ০৮:২২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: মিয়ানমার সীমান্তে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এসব সন্ত্রাসীদের ‘বাঙ্গালী’ হিসাবে চিহ্নিত করার মিয়ানমার সরকারের প্রবণতার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকায় মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত অং মিনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে রাখাইন সংকট নিয়ে সরকারের অবস্থান জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনুবিভাগ) মঞ্জুরুল ইসলামের সাথে বৈঠক করেন তিনি।
বাংলাদেশের তরফে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে রাখাইনে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর সাথে ‘বাঙ্গালী সন্ত্রাসী’ শব্দের ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য। মিয়ানমার যদি মনে করে সীমান্তে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি আছে, তাদের আটকে ঢাকা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কেননা বাংলাদেশের মাটি কোন দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি কর্মকান্ডে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া হয় না। এ নীতি সরকার দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করে।
বৈঠকে মিয়ানমারের ইসলামি জঙ্গি, আরাকান আর্মি ও অন্য যেকোনো শক্তির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। নিরাপত্তা নিয়ে মিয়ানমারের যে উদ্বেগ রয়েছে, তা দূর করতে সহযোগিতা করতে চায় বাংলাদেশ।
রাখাইন পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে গত শনিবার মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত অং মিনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (এশিয়া ও প্যাসিফিক) মাহবুব উজ্ জামান এসময় অং মিনকে জানান, গত বছরের ৯ অক্টোবর মিয়ানমার পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর সেখানে সেনা অভিযান হয়েছিল, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৮৫ হাজার মিয়ানমার নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। চলমান পরিস্থিতিতে রাখাইনের নারী, শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠসহ হাজার হাজার নিরস্ত্র নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টায় সীমান্তে জড়ো হয়েছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। সচিব বলেন, এমনিতেই বাংলাদেশ বছরের পর বছর ধরে কয়েক লাখ মিয়ানমার নাগরিককের ভার বয়ে চলেছে, যারা বিভিন্ন ঘটনায় প্রাণ বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মনে করে সাধারণ নাগরিকদের রক্ষায় মিয়ানমারের দায়িত্ব নেয়া জরুরি। নিরস্ত্র নাগরিক, বিশেষত চরম ঝুঁকিতে থাকা নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের উপযুক্ত নিরাপত্তা এবং আশ্রয় নিশ্চিত করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।