ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রংপুর পল্লী নিবাসে এরশাদকে দাফন করার দাবী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০১৯
  • / ২২৮ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চিকিৎধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সুস্থতা কামনা করে তিনি মারা গেলে তার ওছিয়তকৃত রংপুরের পল্লী নিবাসেই তাকে সমাহিত করার দাবি জানিয়েছেন রংপুর বিভাগের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। এজন্য অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি একটি সমাধি কাম কমপ্লেক্স’র ডিজাইনও করেছিলেন। গতকাল সোমবার সন্ধায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির রংপুর বিভাগ, জেলা, মহানগরসহ সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠন এবং রংপুরবাসির পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। সংবাদ সম্মেলনে রংপুর সিটি মেয়র বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান রংপুরের কৃতি সন্তান, বাংলাদেশের সফল সাবেক রাষ্ট্রপতি, আধুনিক উন্নত বাংলাদেশের রুপকার, সারা বিশ্বের রাজনীতির অহংকার এবং আমাদের রাজনৈতিক পিতা। আমরা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তার সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি। মেয়র বলেন, প্রকৃতির নির্ধারিত নিয়মে তিনি পৃথিবী থেকে চলে গেলে আমাদের রাজনৈতিক পিতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপি মহোদয়কে তার ওছিয়তকৃত স্থান পল্লী নিবাসেই করতে হবে। কারন হিসেবে তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় খোলা স্পেসে তাকে সমাহিত করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু তার কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি। আমরা এরশাদের দেয়া জাতীয় তিন নেতার মাজারের পাশে অথবা সংসদ ভবনের পাশে আসাদ গেট এলাকায় মশিউর রহমান যাদু মিয়ার কবরের পাশে জায়গার জন্য সরকারকে বলেছি। কিন্তু সে ব্যপারে আমাদের কোন আশ্বাস দেয়া হয়নি। মোহাম্মদপুর কবরস্থানে সেই এলাকার মেয়র মাত্র একটি কবরের জায়গা দেয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। এরশাদকে সেখানে সমাহিত করার কোন প্রশ্নই উঠে না। ক্যান্টনমেন্টে এরশাদকে সমাহিত করা হলে আমরা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তার কবরও জেয়ারত করতে পারবো না। সেকারণে তার সমাধি রংপুরের মাটিতে তার নিজের গড়া পল্লী নিবাসেই দিতে হবে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মেয়র বলেন, অসুস্থ হওয়ার কিছুদিন আগে তিনি পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সাথে আলাপচারিতায় তার অন্তিম সমাধি রংপুরের পল্লী নিবাসে করার জন্য ওছিয়ত করে যান। সেজন্য তিনি একটি একটি সমাধি কাম কমপ্লেক্স নির্মানের জন্য ডিজাইন প্লানিংও করেছিলেন। কিন্তু অসুস্থ্ হওয়ার কারণে সেই প্লানিং তিনি জনসমুখে বলে যেতে পারেন নি। সে কারণে আমরা জাতীয় পার্টি রংপুর বিভাগ, জেলা, মহানগরসহ সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠন এবং রংপুর বিভাগবাসির পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপির সমাধি তাঁর ওছিয়তকৃত স্থানে করার আকুল আবেদন জানাচ্ছি। চেয়ারম্যানের সমাধিকে আকড়ে ধরেই আমরা তার জীবন দর্শন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রংপুর পল্লী নিবাসে এরশাদকে দাফন করার দাবী

আপলোড টাইম : ০৯:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন:
চিকিৎধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সুস্থতা কামনা করে তিনি মারা গেলে তার ওছিয়তকৃত রংপুরের পল্লী নিবাসেই তাকে সমাহিত করার দাবি জানিয়েছেন রংপুর বিভাগের জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। এজন্য অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি একটি সমাধি কাম কমপ্লেক্স’র ডিজাইনও করেছিলেন। গতকাল সোমবার সন্ধায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির রংপুর বিভাগ, জেলা, মহানগরসহ সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠন এবং রংপুরবাসির পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। সংবাদ সম্মেলনে রংপুর সিটি মেয়র বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান রংপুরের কৃতি সন্তান, বাংলাদেশের সফল সাবেক রাষ্ট্রপতি, আধুনিক উন্নত বাংলাদেশের রুপকার, সারা বিশ্বের রাজনীতির অহংকার এবং আমাদের রাজনৈতিক পিতা। আমরা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তার সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি। মেয়র বলেন, প্রকৃতির নির্ধারিত নিয়মে তিনি পৃথিবী থেকে চলে গেলে আমাদের রাজনৈতিক পিতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপি মহোদয়কে তার ওছিয়তকৃত স্থান পল্লী নিবাসেই করতে হবে। কারন হিসেবে তিনি বলেন, আমরা ঢাকায় খোলা স্পেসে তাকে সমাহিত করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু তার কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি। আমরা এরশাদের দেয়া জাতীয় তিন নেতার মাজারের পাশে অথবা সংসদ ভবনের পাশে আসাদ গেট এলাকায় মশিউর রহমান যাদু মিয়ার কবরের পাশে জায়গার জন্য সরকারকে বলেছি। কিন্তু সে ব্যপারে আমাদের কোন আশ্বাস দেয়া হয়নি। মোহাম্মদপুর কবরস্থানে সেই এলাকার মেয়র মাত্র একটি কবরের জায়গা দেয়ার জন্য রাজি হয়েছেন। এরশাদকে সেখানে সমাহিত করার কোন প্রশ্নই উঠে না। ক্যান্টনমেন্টে এরশাদকে সমাহিত করা হলে আমরা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা তার কবরও জেয়ারত করতে পারবো না। সেকারণে তার সমাধি রংপুরের মাটিতে তার নিজের গড়া পল্লী নিবাসেই দিতে হবে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মেয়র বলেন, অসুস্থ হওয়ার কিছুদিন আগে তিনি পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সাথে আলাপচারিতায় তার অন্তিম সমাধি রংপুরের পল্লী নিবাসে করার জন্য ওছিয়ত করে যান। সেজন্য তিনি একটি একটি সমাধি কাম কমপ্লেক্স নির্মানের জন্য ডিজাইন প্লানিংও করেছিলেন। কিন্তু অসুস্থ্ হওয়ার কারণে সেই প্লানিং তিনি জনসমুখে বলে যেতে পারেন নি। সে কারণে আমরা জাতীয় পার্টি রংপুর বিভাগ, জেলা, মহানগরসহ সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠন এবং রংপুর বিভাগবাসির পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপির সমাধি তাঁর ওছিয়তকৃত স্থানে করার আকুল আবেদন জানাচ্ছি। চেয়ারম্যানের সমাধিকে আকড়ে ধরেই আমরা তার জীবন দর্শন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।