ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের দাবিতে শ্বশুর বাড়ির লোকজনসহ স্ত্রীকে মারধর অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০
  • / ১১০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগিতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে মারধর করেছে স্বামী মিনালসহ তার পরিবারের লোকজন। এ বিষয়ে গত শুক্রবারে মিনালের স্ত্রী সবেদা খাতুন বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় স্বামী মিনালসহ তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তবে অভিযোগ করার পর আবারও বাদি পক্ষের লোকজনকে অভিযোগ তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে বলেও জানিয়েছে ভুক্তোভোগী পরিবার।
নির্যাতনের শিকার হয়ে সবেদা খাতুন জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ড হাজিপাড়ার তৈয়ব আলীর মেয়ে ছবেদার সাথে ২০ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন একই উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগি কলপাড়ার দুলু মন্ডলের ছেলে মিনাল হোসেন (৩৮)-এর সাথে। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে দুটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান জন্মের পর থেকে মিনালের সংসার ঠিকঠাক মত চললেও শ্বাশুড়ির মৃত্যুর পর সবেদার সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। স্বামী বিদেশে থাকায় ননদ তাসলি খাতুন ওরফে নেদির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে বধূ সবেদা। ননদের অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে একপর্যায় শ্বশুর বাড়ি থেকে পৃত্রালয়ে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে প্রবাস ফেরত স্বামী মিনাল বাড়ি ফিরলে স্বামী ও ননদ তাসলি খাতুন ওরফে নেদির কু-পরামর্শে নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। একের পর এক যৌতুক দাবির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। দুটি সন্তানের কথা চিন্তা করে তাদের কয়েক দফা যৌতুকের চাহিদা পূরণ করি। এতেও তাদের চাহিদা পূরণ হয়না। যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও ননদের নির্যাতনের শিকার হয়ে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে আমার পিতার বাড়িতে আশ্রয় নিয়। একপর্যায়ে আমার সংসারের সুখের কথা ভেবে আমার বড় ভাই হামিজ উদ্দিন, ছোট ভাই তমিজ উদ্দিন ও ছোট ভাইয়ের বৌ তানিয়া খাতুনকে সাথে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ডুগডুগি কলপাড়ার শ্বশুর বাড়িতে গেলে স্বামী ও ননদ মিলে আমাদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে এবং অকথ্য ভাষায় অশ্লীল কথা-বার্তা বলতে থাকে। তাদেরকে অশ্লীল কথাবার্তা বলতে আমার বড় ভাই হামিজ উদ্দিন নিষেধ করলে আমার স্বামী মিনাল হোসেন (৩৮) ও ননদ তাসলি খাতুন ওরফে নেদি (৩৯), মৃত শওকত আলীর ছেলে মতিয়ার রহমান (৪৫), ছেলে সোহাগ (২২) আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার বড় ভাই হামিজ উদ্দিন (৩৯), ছোট ভাই তমিজ উদ্দিন (২৫), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়া খাতুন (২০) আহত হয়। এসময় হামলাকারীরা আমাদেরকে মেরে ফেলার জন্য প্রকাশ্যে হুমকী প্রদান করে। একপর্যায় প্রতিবেশীরা হামলাকারীদের কবল থেকে রক্ষা করে বাড়ির বাইরে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আমাদেরকে রক্ষা করলে বাড়ি ফিরে আসি। এবিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় গত শুক্রবার একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানায় অভিযোগকারী ছবেদা খাতুন। তবে অভিযোগের পরে তারা অভিযোগ তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘এ বিষয়ে সবেদা খাতুন বাদি হয়ে একটি অভিযোগ করেছে। বিষয়টি সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যৌতুকের দাবিতে শ্বশুর বাড়ির লোকজনসহ স্ত্রীকে মারধর অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৮:৪৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগিতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে মারধর করেছে স্বামী মিনালসহ তার পরিবারের লোকজন। এ বিষয়ে গত শুক্রবারে মিনালের স্ত্রী সবেদা খাতুন বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় স্বামী মিনালসহ তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তবে অভিযোগ করার পর আবারও বাদি পক্ষের লোকজনকে অভিযোগ তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে বলেও জানিয়েছে ভুক্তোভোগী পরিবার।
নির্যাতনের শিকার হয়ে সবেদা খাতুন জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার বাসস্ট্যান্ড হাজিপাড়ার তৈয়ব আলীর মেয়ে ছবেদার সাথে ২০ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন একই উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগি কলপাড়ার দুলু মন্ডলের ছেলে মিনাল হোসেন (৩৮)-এর সাথে। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে দুটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। সন্তান জন্মের পর থেকে মিনালের সংসার ঠিকঠাক মত চললেও শ্বাশুড়ির মৃত্যুর পর সবেদার সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। স্বামী বিদেশে থাকায় ননদ তাসলি খাতুন ওরফে নেদির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে বধূ সবেদা। ননদের অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে একপর্যায় শ্বশুর বাড়ি থেকে পৃত্রালয়ে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে প্রবাস ফেরত স্বামী মিনাল বাড়ি ফিরলে স্বামী ও ননদ তাসলি খাতুন ওরফে নেদির কু-পরামর্শে নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। একের পর এক যৌতুক দাবির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। দুটি সন্তানের কথা চিন্তা করে তাদের কয়েক দফা যৌতুকের চাহিদা পূরণ করি। এতেও তাদের চাহিদা পূরণ হয়না। যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও ননদের নির্যাতনের শিকার হয়ে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে আমার পিতার বাড়িতে আশ্রয় নিয়। একপর্যায়ে আমার সংসারের সুখের কথা ভেবে আমার বড় ভাই হামিজ উদ্দিন, ছোট ভাই তমিজ উদ্দিন ও ছোট ভাইয়ের বৌ তানিয়া খাতুনকে সাথে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ডুগডুগি কলপাড়ার শ্বশুর বাড়িতে গেলে স্বামী ও ননদ মিলে আমাদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে এবং অকথ্য ভাষায় অশ্লীল কথা-বার্তা বলতে থাকে। তাদেরকে অশ্লীল কথাবার্তা বলতে আমার বড় ভাই হামিজ উদ্দিন নিষেধ করলে আমার স্বামী মিনাল হোসেন (৩৮) ও ননদ তাসলি খাতুন ওরফে নেদি (৩৯), মৃত শওকত আলীর ছেলে মতিয়ার রহমান (৪৫), ছেলে সোহাগ (২২) আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার বড় ভাই হামিজ উদ্দিন (৩৯), ছোট ভাই তমিজ উদ্দিন (২৫), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়া খাতুন (২০) আহত হয়। এসময় হামলাকারীরা আমাদেরকে মেরে ফেলার জন্য প্রকাশ্যে হুমকী প্রদান করে। একপর্যায় প্রতিবেশীরা হামলাকারীদের কবল থেকে রক্ষা করে বাড়ির বাইরে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আমাদেরকে রক্ষা করলে বাড়ি ফিরে আসি। এবিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় গত শুক্রবার একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানায় অভিযোগকারী ছবেদা খাতুন। তবে অভিযোগের পরে তারা অভিযোগ তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘এ বিষয়ে সবেদা খাতুন বাদি হয়ে একটি অভিযোগ করেছে। বিষয়টি সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’