ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যে ৪ গুণ মুমিনের মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৩:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
বিশ্বমানবতার মহান শিক্ষক হিসেবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পৃথিবীতে এসেছেন। তিনি মানুষকে কল্যাণের পথ দেখিয়েছেন। মানুষের দুনিয়া ও পরকালের সফলতায় অসংখ্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ছোট্ট একটি হাদিসে ৪টি গুণের কথা উল্লেখ করেছেন। যার দুইটি মেনে চলতে হবে। দুইটি ছেড়ে দিতে হবে, যা মানুষকে অনন্য মর্যাদা ও সফলতার পথ দেখাবে। হাদিসে এসেছে- হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ঈমানের দুইটি শাখা- ১. লজ্জা-সম্ভ্রম ও ২. অল্প কথা বলা । আর মুনাফেকির দুইটি শাখা-১. অশ্লীলতা ও ২. বাকপটুতা (বাচালতা)। (তিরমিজি, মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, মিশকাত)
উল্লেখিত হাদিসে লজ্জা ও অল্প কথা বলাকে ঈমানের শাখা বলা হয়েছে। আবার অশ্লীল কথা ও কাজ এবং বেশি কথা বলাকে মুনাফেকির শাখা হিসেবে ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি। হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী, ঈমানদার ব্যক্তির অন্য মর্যাদা ও সফলতা পেতে ৪টি কাজ করতে হবে। তাহলো- ১. সব সময় লজ্জা ও সম্ভ্রম রক্ষা করে চলা। ২. অল্প কথা বলা। ৩. অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা। ৪. বেশি কথা না বলা। একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আত্ম-মর্যাদা রক্ষায় উল্লেখিত ৪ গুণ অর্জনের বিকল্প নেই। যারাই হাদিসের এ ৪টি কাজের উপর আমল করবে। আল্লাহ তাআলা তাদের দান করবেন দুনিয়া ও পরকালের অনন্য মর্যাদা ও সফলতা।
মুমিন বান্দার জন্য আরও ৪টি বিষয় স্মরণ রাখা জরুরি- ১. মুমিন যখন কথা বলে, তখন তা হবে মানুষের কল্যাণে বা মানুষকে বোঝানোর জন্য। ২. মুমিনের নীরব থাকে নিরাপদের থাকার জন্য। ৩. মুমিন একাকি থাকে, কোনো কিছু অর্জন করার জন্য। ৪. আর মুমিন মানুষের সঙ্গে মিশে কোনো কিছু শেখার জন্য।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, হাদিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত করা। ঈমানদারের কথা বলা, নীরব থাকা, একাকি থাকা কিংবা কারো সঙ্গে চলাফেরা যেন হয় কল্যাণের জন্য। যার ফলে দুনিয়া ও পরকালে পাবে শান্তি সফলতা। বিশেষ করে দুনিয়ার জীবনে যাবতীয় অশ্লীলতা ও খাবার কাজ থেকে বেঁচে থাকতে মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি এ দোয়া করা- উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহওয়ায়ি, ওয়াল আদওয়ায়ি।’ অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি তোমার কাছে খারাপ (নষ্ট-বাজে/অশ্লীল) চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা এবং বাজে অসুস্থতা ও নতুন সৃষ্ট রোগ বালাই থেকে আশ্রয় চাই।’ (তিরমিজি) আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যে ৪ গুণ মুমিনের মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়

আপলোড টাইম : ১০:০৩:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মে ২০২১

ধর্ম প্রতিবেদন:
বিশ্বমানবতার মহান শিক্ষক হিসেবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পৃথিবীতে এসেছেন। তিনি মানুষকে কল্যাণের পথ দেখিয়েছেন। মানুষের দুনিয়া ও পরকালের সফলতায় অসংখ্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ছোট্ট একটি হাদিসে ৪টি গুণের কথা উল্লেখ করেছেন। যার দুইটি মেনে চলতে হবে। দুইটি ছেড়ে দিতে হবে, যা মানুষকে অনন্য মর্যাদা ও সফলতার পথ দেখাবে। হাদিসে এসেছে- হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ঈমানের দুইটি শাখা- ১. লজ্জা-সম্ভ্রম ও ২. অল্প কথা বলা । আর মুনাফেকির দুইটি শাখা-১. অশ্লীলতা ও ২. বাকপটুতা (বাচালতা)। (তিরমিজি, মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, মিশকাত)
উল্লেখিত হাদিসে লজ্জা ও অল্প কথা বলাকে ঈমানের শাখা বলা হয়েছে। আবার অশ্লীল কথা ও কাজ এবং বেশি কথা বলাকে মুনাফেকির শাখা হিসেবে ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি। হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী, ঈমানদার ব্যক্তির অন্য মর্যাদা ও সফলতা পেতে ৪টি কাজ করতে হবে। তাহলো- ১. সব সময় লজ্জা ও সম্ভ্রম রক্ষা করে চলা। ২. অল্প কথা বলা। ৩. অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা। ৪. বেশি কথা না বলা। একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আত্ম-মর্যাদা রক্ষায় উল্লেখিত ৪ গুণ অর্জনের বিকল্প নেই। যারাই হাদিসের এ ৪টি কাজের উপর আমল করবে। আল্লাহ তাআলা তাদের দান করবেন দুনিয়া ও পরকালের অনন্য মর্যাদা ও সফলতা।
মুমিন বান্দার জন্য আরও ৪টি বিষয় স্মরণ রাখা জরুরি- ১. মুমিন যখন কথা বলে, তখন তা হবে মানুষের কল্যাণে বা মানুষকে বোঝানোর জন্য। ২. মুমিনের নীরব থাকে নিরাপদের থাকার জন্য। ৩. মুমিন একাকি থাকে, কোনো কিছু অর্জন করার জন্য। ৪. আর মুমিন মানুষের সঙ্গে মিশে কোনো কিছু শেখার জন্য।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, হাদিসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত করা। ঈমানদারের কথা বলা, নীরব থাকা, একাকি থাকা কিংবা কারো সঙ্গে চলাফেরা যেন হয় কল্যাণের জন্য। যার ফলে দুনিয়া ও পরকালে পাবে শান্তি সফলতা। বিশেষ করে দুনিয়ার জীবনে যাবতীয় অশ্লীলতা ও খাবার কাজ থেকে বেঁচে থাকতে মহান আল্লাহর কাছে বেশি বেশি এ দোয়া করা- উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহওয়ায়ি, ওয়াল আদওয়ায়ি।’ অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি তোমার কাছে খারাপ (নষ্ট-বাজে/অশ্লীল) চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা এবং বাজে অসুস্থতা ও নতুন সৃষ্ট রোগ বালাই থেকে আশ্রয় চাই।’ (তিরমিজি) আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।