ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যে বিপজ্জনক অ্যাপগুলো সরিয়ে নিয়েছে গুগল-ফেসবুক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন প্লে স্টোর থেকে মুছে দিয়েছে গুগল। বন্ধ হয়ে গিয়েছে অ্যান্ড্রয়েডের কিছু সেবাও। যেমন মাইক্রোসফ্ট সারফেস প্লাস প্রোগ্রাম। বেশ কয়েক জন বিশেষজ্ঞের দাবি, এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি বেশ বিপজ্জনক। দেখে নিন এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি আপনার ফোনেও ছিল কি না। গুগলের গ্রুপ মেসেজিং অ্যাপ গুগল স্পেসেস ২০১৬ সালে বাজারে এসেছিল। কিন্তু খুব একটা কার্যকরী হয়নি কোনও দিনই। হ্যাকারদের পক্ষে এই অ্যাপ থেকে তথ্য চুরি করা সহজ ছিল। এই অ্যাপ তাই সরিয়ে নেওয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে। গুগল ইনবক্স নামের অ্যাপটি ২০১৪ সালে বাজারে এসেছিল। গুগল জানিয়েছিল, পরীক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এটি আনা হয়েছিল। ২০১৯ সালের মার্চ মাসেই এই অ্যাপ বন্ধ করছে গুগল। বন্ধ হওয়ার কথা গুগল আল্লু ও ইউটিউব গেমিং অ্যাপ দু’টিও। ২০১৪ সালে ফিটনেস অ্যাপ ফেসবুক মুভস আসে বাজারে। কিন্তু এই অ্যাপও তুলে নেওয়া হয়। গুগল ইউআরএল শর্টেনার ২০০৯ সালে এনেছিল গুগল, তার পর সেটিও তুলে নেওয়া হল। ফায়ারবেস ডায়ানামিক লিঙ্কস, বিটলি বা আউলি বিকল্প হিসাবে ব্যবহারের কথা জানায় গুগল। এই অ্যাপ কি বিপজ্জনক ছিল, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গুগল ট্যাঙ্গো: স্মার্টফোনের ক্যামেরা উন্নত করার জন্য এসেছিল এই অ্যাপ। কিন্তু ২০১৯ সালের মার্চ থেকে এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। ফেসবুক হ্যালো: ২০১৫ সালে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য হ্যালো অ্যাপ এসেছিল। কিন্তু ফেসবুকের সঙ্গে ফোনের কন্ট্যাক্ট ইনফো সংযোগের কারণেই খুব সম্ভবত হ্যাকিংয়ের আশঙ্কায় এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেসবুক এম পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এসেছিল ২০১৫ সালে। অসংখ্য ব্যবহারকারীও ছিলেন। ইভেন্ট ক্রিয়েট করা বা আর্থিক লেনদেনে ব্যবহার করা হত এই অ্যাপ। একই অবস্থা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড নিয়ারবাই নোটিফিকেশনের ক্ষেত্রেও। অ্যাপ্লিকেশনগুলি বিপজ্জনক ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। গুগল প্লাস: গত অক্টোবরে এই অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ৫০ লক্ষ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। গুগল ব্লব ইমোজি: ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে-তে এই সেবাকে বিদায় জানায় গুগল। বলা হয়, ‘ব্লবলেস প্লেস’-এর কথা। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে ইয়াহু মেসেঞ্জার তুলে নিতে বাধ্য হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যে বিপজ্জনক অ্যাপগুলো সরিয়ে নিয়েছে গুগল-ফেসবুক

আপলোড টাইম : ০৯:৫৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৯

প্রযুক্তি ডেস্ক: বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন প্লে স্টোর থেকে মুছে দিয়েছে গুগল। বন্ধ হয়ে গিয়েছে অ্যান্ড্রয়েডের কিছু সেবাও। যেমন মাইক্রোসফ্ট সারফেস প্লাস প্রোগ্রাম। বেশ কয়েক জন বিশেষজ্ঞের দাবি, এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি বেশ বিপজ্জনক। দেখে নিন এই অ্যাপ্লিকেশনগুলি আপনার ফোনেও ছিল কি না। গুগলের গ্রুপ মেসেজিং অ্যাপ গুগল স্পেসেস ২০১৬ সালে বাজারে এসেছিল। কিন্তু খুব একটা কার্যকরী হয়নি কোনও দিনই। হ্যাকারদের পক্ষে এই অ্যাপ থেকে তথ্য চুরি করা সহজ ছিল। এই অ্যাপ তাই সরিয়ে নেওয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে। গুগল ইনবক্স নামের অ্যাপটি ২০১৪ সালে বাজারে এসেছিল। গুগল জানিয়েছিল, পরীক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এটি আনা হয়েছিল। ২০১৯ সালের মার্চ মাসেই এই অ্যাপ বন্ধ করছে গুগল। বন্ধ হওয়ার কথা গুগল আল্লু ও ইউটিউব গেমিং অ্যাপ দু’টিও। ২০১৪ সালে ফিটনেস অ্যাপ ফেসবুক মুভস আসে বাজারে। কিন্তু এই অ্যাপও তুলে নেওয়া হয়। গুগল ইউআরএল শর্টেনার ২০০৯ সালে এনেছিল গুগল, তার পর সেটিও তুলে নেওয়া হল। ফায়ারবেস ডায়ানামিক লিঙ্কস, বিটলি বা আউলি বিকল্প হিসাবে ব্যবহারের কথা জানায় গুগল। এই অ্যাপ কি বিপজ্জনক ছিল, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গুগল ট্যাঙ্গো: স্মার্টফোনের ক্যামেরা উন্নত করার জন্য এসেছিল এই অ্যাপ। কিন্তু ২০১৯ সালের মার্চ থেকে এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। ফেসবুক হ্যালো: ২০১৫ সালে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য হ্যালো অ্যাপ এসেছিল। কিন্তু ফেসবুকের সঙ্গে ফোনের কন্ট্যাক্ট ইনফো সংযোগের কারণেই খুব সম্ভবত হ্যাকিংয়ের আশঙ্কায় এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেসবুক এম পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এসেছিল ২০১৫ সালে। অসংখ্য ব্যবহারকারীও ছিলেন। ইভেন্ট ক্রিয়েট করা বা আর্থিক লেনদেনে ব্যবহার করা হত এই অ্যাপ। একই অবস্থা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড নিয়ারবাই নোটিফিকেশনের ক্ষেত্রেও। অ্যাপ্লিকেশনগুলি বিপজ্জনক ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। গুগল প্লাস: গত অক্টোবরে এই অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ৫০ লক্ষ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। গুগল ব্লব ইমোজি: ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে-তে এই সেবাকে বিদায় জানায় গুগল। বলা হয়, ‘ব্লবলেস প্লেস’-এর কথা। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে ইয়াহু মেসেঞ্জার তুলে নিতে বাধ্য হয়।