ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যে নারী কোরআনে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫২:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এমন কিছু পুণ্যবান ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন, যাঁরা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় ছিলেন। নবী ও রাসুল না হয়েও কোরআনে যেসব পুণ্যবতী ব্যক্তির নাম স্পষ্টভাব উল্লেখ করা হয়েছে, এর মধ্যে তিনজন পুরুষ আর দুজন নারী। নারীদের মধ্যে একজন হচ্ছেন মারইয়াম বিনতে ইমরান। মারিয়াম (আ.)-এর ব্যাপারে কোরআনে এসেছে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে বিশেষভাবে নির্বাচিত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর স্মরণ করুন, যখন ফেরেশতারা বলেছিলেন, হে মারইয়াম, নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাকে মনোনীত করেছেন এবং পবিত্র করেছেন আর বিশ্বজগতের নারীদের ওপর আপনাকে মনোনীত করেছেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৪২)
যে বৈশিষ্ট্যে মারইয়াম অনন্য
এক. আল্লাহ তাআলা মারইয়াম (আ.)-কে প্রিয় বান্দা হিসেবে কবুল করে নিয়েছেন। মারইয়াম (আ.)-এর মা তাঁর জন্য দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ বলেন, ‘স্মরণ করুন, যখন ইমরানের স্ত্রী বলেছিল, হে আমার রব, আমার গর্ভে যা আছে নিশ্চয়ই আমি তা একান্ত আপনার জন্য মানত করলাম। কাজেই আপনি আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৩৫)
দুই. মারিয়াম (আ.) ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাঁর পিতা যেহেতু জীবিত ছিলেন না, অনেকেই চেয়েছেন তাঁর দায়িত্ব নিতে। অবশেষে লটারির মাধ্যমে তাঁর লালন-পালনের দায়িত্ব এসেছে জাকারিয়া (আ.)-এর ওপর। আল্লাহ তাআলা একজন নবীকে তাঁর জন্য নির্বাচন করেছেন—তাঁকে শিক্ষাদীক্ষা ও লালনপালন করার জন্য।
তিন. আল্লাহ তাআলা ওই যুগে সব নারীর ওপর মারইয়াম (আ.)-কে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। তিনি ছিলেন এমন কিছু প্রশংসনীয় গুণের অধিকারী, যা অন্যদের মধ্যে ছিল না। তিনি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাঁর মা তাঁর জন্য দোয়া করেছেন, আর আমি তাঁর নাম মারইয়াম রেখেছি এবং অভিশপ্ত শয়তান থেকে তাঁর ও তাঁর সন্তানকে আপনার আশ্রয়ে দিচ্ছি।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৩৬)
চার. আল্লাহ তাআলা মারইয়াম (আ.)-এর নামে কোরআনে কারিমে একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন, এর দ্বারা আল্লাহর কাছে তাঁর মর্যাদা ও সম্মান প্রতীয়মান হয়।
পাঁচ. মারইয়াম (আ.)-কে এক নবীর মা বানিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘সে (জিবরাঈল) বলল, আমি তো তোমার রবের দূত, তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করার জন্য (এসেছি)। মারইয়াম বলল, ‘কিভাবে আমার পুত্র হবে, অথচ আমাকে কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও নই?’ (সুরা মারইয়াম, আয়াত : ১৯-২০)
ছয়. ফেরেশতা সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্য সে পর্দা করল। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রুহ প্রেরণ করলাম, সে তার কাছে পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করল। (সুরা মারইয়াম, আয়াত : ১৭)
এভাবেই মারইয়াম (আ.)-কে কোরআনে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যে নারী কোরআনে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন

আপলোড টাইম : ০৯:৫২:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১

ধর্ম প্রতিবেদন:
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এমন কিছু পুণ্যবান ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন, যাঁরা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় ছিলেন। নবী ও রাসুল না হয়েও কোরআনে যেসব পুণ্যবতী ব্যক্তির নাম স্পষ্টভাব উল্লেখ করা হয়েছে, এর মধ্যে তিনজন পুরুষ আর দুজন নারী। নারীদের মধ্যে একজন হচ্ছেন মারইয়াম বিনতে ইমরান। মারিয়াম (আ.)-এর ব্যাপারে কোরআনে এসেছে, আল্লাহ তাআলা তাঁকে বিশেষভাবে নির্বাচিত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর স্মরণ করুন, যখন ফেরেশতারা বলেছিলেন, হে মারইয়াম, নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাকে মনোনীত করেছেন এবং পবিত্র করেছেন আর বিশ্বজগতের নারীদের ওপর আপনাকে মনোনীত করেছেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৪২)
যে বৈশিষ্ট্যে মারইয়াম অনন্য
এক. আল্লাহ তাআলা মারইয়াম (আ.)-কে প্রিয় বান্দা হিসেবে কবুল করে নিয়েছেন। মারইয়াম (আ.)-এর মা তাঁর জন্য দোয়া করেছিলেন। আল্লাহ বলেন, ‘স্মরণ করুন, যখন ইমরানের স্ত্রী বলেছিল, হে আমার রব, আমার গর্ভে যা আছে নিশ্চয়ই আমি তা একান্ত আপনার জন্য মানত করলাম। কাজেই আপনি আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৩৫)
দুই. মারিয়াম (আ.) ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাঁর পিতা যেহেতু জীবিত ছিলেন না, অনেকেই চেয়েছেন তাঁর দায়িত্ব নিতে। অবশেষে লটারির মাধ্যমে তাঁর লালন-পালনের দায়িত্ব এসেছে জাকারিয়া (আ.)-এর ওপর। আল্লাহ তাআলা একজন নবীকে তাঁর জন্য নির্বাচন করেছেন—তাঁকে শিক্ষাদীক্ষা ও লালনপালন করার জন্য।
তিন. আল্লাহ তাআলা ওই যুগে সব নারীর ওপর মারইয়াম (আ.)-কে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। তিনি ছিলেন এমন কিছু প্রশংসনীয় গুণের অধিকারী, যা অন্যদের মধ্যে ছিল না। তিনি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাঁর মা তাঁর জন্য দোয়া করেছেন, আর আমি তাঁর নাম মারইয়াম রেখেছি এবং অভিশপ্ত শয়তান থেকে তাঁর ও তাঁর সন্তানকে আপনার আশ্রয়ে দিচ্ছি।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৩৬)
চার. আল্লাহ তাআলা মারইয়াম (আ.)-এর নামে কোরআনে কারিমে একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন, এর দ্বারা আল্লাহর কাছে তাঁর মর্যাদা ও সম্মান প্রতীয়মান হয়।
পাঁচ. মারইয়াম (আ.)-কে এক নবীর মা বানিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘সে (জিবরাঈল) বলল, আমি তো তোমার রবের দূত, তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করার জন্য (এসেছি)। মারইয়াম বলল, ‘কিভাবে আমার পুত্র হবে, অথচ আমাকে কোনো পুরুষ স্পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও নই?’ (সুরা মারইয়াম, আয়াত : ১৯-২০)
ছয়. ফেরেশতা সরাসরি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্য সে পর্দা করল। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রুহ প্রেরণ করলাম, সে তার কাছে পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করল। (সুরা মারইয়াম, আয়াত : ১৭)
এভাবেই মারইয়াম (আ.)-কে কোরআনে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।