ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যে কারণে সু চি’র পুরস্কার কেড়ে নিল দক্ষিণ কোরিয়া

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন অব্যাহত রাখা ও গণহত্যা-ধর্ষণ নিয়ে প্রতিবাদ না করায় দেশটির নেত্রী অং সান সু চি একের পর এক আন্তর্জাতিক পুরস্কার হারাচ্ছেন। এসব পুরস্কার হারানো তালিকায় এবার যুক্ত হলো দক্ষিণ কোরিয়ার মানবাধিকার সংগঠন গাওয়াংঝু হিউম্যান রাইটস পুরস্কার। মঙ্গলবার সু চিকে দেয়া পুরস্কার প্রত্যাহার করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার এ সংস্থাটি। গাওয়াংঝু হিউম্যান রাইটস নামের ওই মানবাধিকার সংগঠন জানায়, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অমানবিক নির্যাতনের ব্যাপারে তার উদাসীনতার কারণে এটি তুলে নেয়া হচ্ছে। সস্থাটি ২০০৪ সালে সু চিকে এই পুরস্কারটি দিয়েছিল। এ সময় মিয়ানমারে সামরিক জান্তার হাতে গৃহবন্দি ছিল সু চি। সংস্থার মুখপাত্র চো জিন তায়ে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার ব্যাপারে তার উদাসীনতা এ পুরস্কারের মূল্যবোধ পরিপন্থী। তাই আমরা এই পুরস্কার প্রত্যাহারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এলি উইজেল অ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাজ্যের ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড, ফ্রিডম অব গ্লাসগো অ্যাওয়ার্ড, ইউনিসন অ্যাওয়ার্ড, এডেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাওয়ার্ডসহ আরও বেশ কয়েকটি পুরস্কার হারিয়েছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় কয়েক মেয়াদে প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দি ছিলেন সু চি। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অহিংস লড়াই-সংগ্রামের নজির স্থাপনের জন্য ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পান তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যে কারণে সু চি’র পুরস্কার কেড়ে নিল দক্ষিণ কোরিয়া

আপলোড টাইম : ১০:৪৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

বিশ্ব ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন অব্যাহত রাখা ও গণহত্যা-ধর্ষণ নিয়ে প্রতিবাদ না করায় দেশটির নেত্রী অং সান সু চি একের পর এক আন্তর্জাতিক পুরস্কার হারাচ্ছেন। এসব পুরস্কার হারানো তালিকায় এবার যুক্ত হলো দক্ষিণ কোরিয়ার মানবাধিকার সংগঠন গাওয়াংঝু হিউম্যান রাইটস পুরস্কার। মঙ্গলবার সু চিকে দেয়া পুরস্কার প্রত্যাহার করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার এ সংস্থাটি। গাওয়াংঝু হিউম্যান রাইটস নামের ওই মানবাধিকার সংগঠন জানায়, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অমানবিক নির্যাতনের ব্যাপারে তার উদাসীনতার কারণে এটি তুলে নেয়া হচ্ছে। সস্থাটি ২০০৪ সালে সু চিকে এই পুরস্কারটি দিয়েছিল। এ সময় মিয়ানমারে সামরিক জান্তার হাতে গৃহবন্দি ছিল সু চি। সংস্থার মুখপাত্র চো জিন তায়ে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার ব্যাপারে তার উদাসীনতা এ পুরস্কারের মূল্যবোধ পরিপন্থী। তাই আমরা এই পুরস্কার প্রত্যাহারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এলি উইজেল অ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাজ্যের ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড, ফ্রিডম অব গ্লাসগো অ্যাওয়ার্ড, ইউনিসন অ্যাওয়ার্ড, এডেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাওয়ার্ডসহ আরও বেশ কয়েকটি পুরস্কার হারিয়েছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় কয়েক মেয়াদে প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দি ছিলেন সু চি। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অহিংস লড়াই-সংগ্রামের নজির স্থাপনের জন্য ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পান তিনি।