ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যে কারণে রিজিক কমে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
  • / ৪৮৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন
রিজিক মহান আল্লাহর অন্যতম নেয়ামত। ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্তও হালাল রিজিক। হালাল রিজিকের জন্যই মানুষ পরিশ্রম করে। মানুষ এক সময় ভালো ও পর্যাপ্ত রিজিক ও নেয়ামত ভোগ করলেও হঠাৎ কোনো এক অদৃশ্য কারণে রিজিক কমে যেতে শুরু করে। কিন্তু কেন মানুষের রিজিক কমে যায়? মানুষ রিজিক কমে যাওয়ার কারণে হতাশ হয়, আর কারণ খুঁজে বেড়ায়। কোনো কারণ খুঁজে পায় না কিন্তু গোনাহের কাজ ছাড়ে না। অন্যায় পথে চলা বন্ধ করে না। অন্যায়-অপরাধের কথা চিন্তাও করে না। এ অপরাধ বা অন্যায়ের কারণেই মানুষের রিজিকের বরকত কমে যেতে থাকে। হাদিসে পাকে রিজিক কমে যাওয়ার প্রকৃত কারণ উঠে এসেছে। তাহলো- হজরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দোয়া ব্যতীত আর কোনো কিছুই ভাগ্য পরিবর্তন করে না, নেক কাজ ব্যতীত আর কিছু মানুষের আয়ু (হায়াত) বাড়ায় না এবং কৃত গোনাহের কারণেই বান্দা জীবিকা (রিজিক) থেকে বঞ্চিত হয়।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত) এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, মানুষ যখন গোনাহ করতে থাকে তখনই রিজিক তথা জীবিকা থেকে বঞ্চিত হয়। মানুষের রিজিক কমে যায়, যা মানুষ অনুমান করতে পারে না। গোনাহমুক্ত জীবনের জন্য প্রয়োজন আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। তবেই আল্লাহ বান্দার গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। রিজিকের বরকত দান করবেন। যেভাবে আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে ক্ষমা প্রার্থনার ফজিলত ঘোষণা করেছেন- ‘অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দেবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদীনালা প্রবাহিত করবেন। [ সুরা নুহ : আয়াত ১০-১২) ক্ষমা প্রার্থনার দ্বারা আল্লাহ উল্লেখিত ছয়টি নেয়ামত- গোনাহ মাফ, উত্তম রিজিকের জন্য বরকতের বৃষ্টি, অসহায়কে ধন-সম্পদ, নিঃসন্তান ব্যক্তিকে সন্তান-সন্ততি, সবুজ উদ্যান এবং উপকারি নদী-নালা দান করবেন। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত গোনাহের কাজ ছেড়ে দেয়া। তবেই রিজিকে বরকত লাভ হবে। এ জন্য সব সময় আল্লাহর কাছে তাওবাহ-ইসতেগফার করা জরুরি। ছোট থেকে সাইয়েদুল ইসতেগফার পর্যন্ত সবগুলো ইসতেগফার বেশি বেশি পড়া।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যে কারণে রিজিক কমে

আপলোড টাইম : ০৯:০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

ধর্ম প্রতিবেদন
রিজিক মহান আল্লাহর অন্যতম নেয়ামত। ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্তও হালাল রিজিক। হালাল রিজিকের জন্যই মানুষ পরিশ্রম করে। মানুষ এক সময় ভালো ও পর্যাপ্ত রিজিক ও নেয়ামত ভোগ করলেও হঠাৎ কোনো এক অদৃশ্য কারণে রিজিক কমে যেতে শুরু করে। কিন্তু কেন মানুষের রিজিক কমে যায়? মানুষ রিজিক কমে যাওয়ার কারণে হতাশ হয়, আর কারণ খুঁজে বেড়ায়। কোনো কারণ খুঁজে পায় না কিন্তু গোনাহের কাজ ছাড়ে না। অন্যায় পথে চলা বন্ধ করে না। অন্যায়-অপরাধের কথা চিন্তাও করে না। এ অপরাধ বা অন্যায়ের কারণেই মানুষের রিজিকের বরকত কমে যেতে থাকে। হাদিসে পাকে রিজিক কমে যাওয়ার প্রকৃত কারণ উঠে এসেছে। তাহলো- হজরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দোয়া ব্যতীত আর কোনো কিছুই ভাগ্য পরিবর্তন করে না, নেক কাজ ব্যতীত আর কিছু মানুষের আয়ু (হায়াত) বাড়ায় না এবং কৃত গোনাহের কারণেই বান্দা জীবিকা (রিজিক) থেকে বঞ্চিত হয়।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত) এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, মানুষ যখন গোনাহ করতে থাকে তখনই রিজিক তথা জীবিকা থেকে বঞ্চিত হয়। মানুষের রিজিক কমে যায়, যা মানুষ অনুমান করতে পারে না। গোনাহমুক্ত জীবনের জন্য প্রয়োজন আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। তবেই আল্লাহ বান্দার গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। রিজিকের বরকত দান করবেন। যেভাবে আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে ক্ষমা প্রার্থনার ফজিলত ঘোষণা করেছেন- ‘অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দেবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদীনালা প্রবাহিত করবেন। [ সুরা নুহ : আয়াত ১০-১২) ক্ষমা প্রার্থনার দ্বারা আল্লাহ উল্লেখিত ছয়টি নেয়ামত- গোনাহ মাফ, উত্তম রিজিকের জন্য বরকতের বৃষ্টি, অসহায়কে ধন-সম্পদ, নিঃসন্তান ব্যক্তিকে সন্তান-সন্ততি, সবুজ উদ্যান এবং উপকারি নদী-নালা দান করবেন। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত গোনাহের কাজ ছেড়ে দেয়া। তবেই রিজিকে বরকত লাভ হবে। এ জন্য সব সময় আল্লাহর কাছে তাওবাহ-ইসতেগফার করা জরুরি। ছোট থেকে সাইয়েদুল ইসতেগফার পর্যন্ত সবগুলো ইসতেগফার বেশি বেশি পড়া।