ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যুবরাজের ওজন ৩৫ মণ, দাম ১৮ লাখ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯
  • / ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
যুবরাজের ওজন ৩৫ মণ। দাম উঠেছে ১৮ লাখ টাকা। কিন্তু মালিক ২৫ লাখ ছাড়া বিক্রি করবেন না। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের এই যুবরাজ কোনো রাজপুত্র নন, শাহ আলম মিয়ার একটি ফ্রিজিয়ার ষাঁড়। শখ করে যার নাম রাখেছেন যুবরাজ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটা একটা হাতি। ইতিমধ্যে পাইকারেরা যুবরাজের দাম হেকেছেন ১৮ লাখ টাকা। আর শাহ আলম বলছেন তিনি ২৫ লাখ দাম চাচ্ছেন, কিছু কম হলেও বিক্রি করবেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম মিয়ার পৈত্রিক বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায়। প্রায় সাত বছর আগে এক বন্ধুর হাত ধরে এ গ্রামে চলে আসেন তিনি। বর্তমানে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। স্কুল ও কলেজজীবন শিবচরে কেটেছে তাঁর। পরে অর্থ উপার্জন করতে বিদেশে যান। পাঁচ বছর সিঙ্গাপুরে থাকার পর দেশে ফিরে আসেন। এরপর বিদেশের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন। এ ব্যবসার প্রয়োজনে ৩৫টি দেশে ঘুরেছেন তিনি। পরে ঝিনাইদহে এসে গড়ে তোলেন আব্দুল্লাহ এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্ম। প্রায় ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় করে বাড়ি এবং বাড়ির সঙ্গে এই ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিন বছর হলো এই খামারে গরু লালন-পালন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি এই খামারেই সময় দেন। এগুলো লালন-পালন করে যা আয় করেন তা দিয়ে সংসার চালান।
শাহ আলম জানান, বর্তমানে তার খামারে সাতটি গরু আছে। সবগুলো গরুর আলাদা আলাদা নাম আছে। তিনি সবাইকে নাম ধরেই ডাকেন। আসন্ন ঈদুল আযহায় তিনি যে তিনটি গরু বিক্রি করবেন সেগুলোর নাম যুবরাজ, রবি ও সাহেব। বাকি চারটা আগামী বছর বিক্রি করবেন বলে জানান। শাহ আলম জানান, তিন বছর আগে তিনি এ খামার করেছেন। যুবরাজকে তিনি খামার শুরুর সময় নিয়েছিলেন। মাত্র ছয় মাস বয়স সময়ে নিয়েছিলেন, এখন তার বয়স তিন বছর ছয় মাস। যুবরাজের পেছনে এখন পর্যন্ত তার ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছেন তাঁর এই গরু দেখতে।
গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা জানান, শাহ আলম মিয়া গরুর সঙ্গে কথা বলেন। সে নাম ধরে ডাক দিলেই গরু বুঝতে পারে। এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান জানান, তাঁরা গরুটির ওজন আনুমানিক ৩৫ মণ বলে ধারনা করছেন। ঈদ আসতে এখনও কিছুদিন বাকি আছে। এরই মধ্যে আরও কিছু ওজন বাড়বে বলে মনে করছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যুবরাজের ওজন ৩৫ মণ, দাম ১৮ লাখ

আপলোড টাইম : ০৯:২৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
যুবরাজের ওজন ৩৫ মণ। দাম উঠেছে ১৮ লাখ টাকা। কিন্তু মালিক ২৫ লাখ ছাড়া বিক্রি করবেন না। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের এই যুবরাজ কোনো রাজপুত্র নন, শাহ আলম মিয়ার একটি ফ্রিজিয়ার ষাঁড়। শখ করে যার নাম রাখেছেন যুবরাজ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটা একটা হাতি। ইতিমধ্যে পাইকারেরা যুবরাজের দাম হেকেছেন ১৮ লাখ টাকা। আর শাহ আলম বলছেন তিনি ২৫ লাখ দাম চাচ্ছেন, কিছু কম হলেও বিক্রি করবেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম মিয়ার পৈত্রিক বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায়। প্রায় সাত বছর আগে এক বন্ধুর হাত ধরে এ গ্রামে চলে আসেন তিনি। বর্তমানে এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। স্কুল ও কলেজজীবন শিবচরে কেটেছে তাঁর। পরে অর্থ উপার্জন করতে বিদেশে যান। পাঁচ বছর সিঙ্গাপুরে থাকার পর দেশে ফিরে আসেন। এরপর বিদেশের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন। এ ব্যবসার প্রয়োজনে ৩৫টি দেশে ঘুরেছেন তিনি। পরে ঝিনাইদহে এসে গড়ে তোলেন আব্দুল্লাহ এগ্রো এন্ড ডেইরী ফার্ম। প্রায় ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় করে বাড়ি এবং বাড়ির সঙ্গে এই ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিন বছর হলো এই খামারে গরু লালন-পালন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি এই খামারেই সময় দেন। এগুলো লালন-পালন করে যা আয় করেন তা দিয়ে সংসার চালান।
শাহ আলম জানান, বর্তমানে তার খামারে সাতটি গরু আছে। সবগুলো গরুর আলাদা আলাদা নাম আছে। তিনি সবাইকে নাম ধরেই ডাকেন। আসন্ন ঈদুল আযহায় তিনি যে তিনটি গরু বিক্রি করবেন সেগুলোর নাম যুবরাজ, রবি ও সাহেব। বাকি চারটা আগামী বছর বিক্রি করবেন বলে জানান। শাহ আলম জানান, তিন বছর আগে তিনি এ খামার করেছেন। যুবরাজকে তিনি খামার শুরুর সময় নিয়েছিলেন। মাত্র ছয় মাস বয়স সময়ে নিয়েছিলেন, এখন তার বয়স তিন বছর ছয় মাস। যুবরাজের পেছনে এখন পর্যন্ত তার ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছেন তাঁর এই গরু দেখতে।
গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা জানান, শাহ আলম মিয়া গরুর সঙ্গে কথা বলেন। সে নাম ধরে ডাক দিলেই গরু বুঝতে পারে। এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান জানান, তাঁরা গরুটির ওজন আনুমানিক ৩৫ মণ বলে ধারনা করছেন। ঈদ আসতে এখনও কিছুদিন বাকি আছে। এরই মধ্যে আরও কিছু ওজন বাড়বে বলে মনে করছেন।