ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধ অনিশ্চয়তায় বহির্বাণিজ্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন: করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে দেশের আমদানি-রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারায় ফিরলেও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আবারও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে বহির্বাণিজ্যের এই প্রধান দুটি খাতে। গত কয়েক মাস ধরে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড পরিমাণ প্রবৃদ্ধি হলেও ইউরোপে যুদ্ধ পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম এই খাতটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার ডলারের দাম বাড়ার কারণে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে আমদানি খাতেও। সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে কর্মরত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়ে দূতাবাসগুলোতে চিঠি পাঠানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থার সঞ্চার হয়েছিল। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বেড়েছে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী নতুন সংকট সৃষ্টি করেছে। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি তথা বহির্বাণিজ্যে যে গতি সৃষ্টি হয়েছিল তাতে আবারও অনিশ্চয়তার কালো মেঘ দেখা দিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে (বাংলাদেশ ব্যাংক কোয়ার্টারলি) বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ। বিপরীতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৪৭ দশমিক ৪ শতাংশ। রপ্তানির তুলনায় আমদানি দ্রুত বাড়ায় বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়ে যাচ্ছে। এ ঘাটতির কারণে বৈদেশিক হিসাবে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি করছে। যা মুদ্রার মান ধরে রাখাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এরই মধ্যে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি কমাতে নতুন শর্ত জুড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এলসি স্থাপনে অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ করেছে। ঋণপত্র স্থাপনে অতিরিক্ত মার্জিন কেটে রাখা এবং ডলারের দাম বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীরাও পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। যা আবার সামগ্রিক উৎপাদন ও রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র জানায়, এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক গাড়ি ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য আমদানির বিপরীতে ঋণপত্র স্থাপনের (এলসি) নগদ মার্জিন হার ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। অন্যান্য এলসির ক্ষেত্রেও মার্জিন হার ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও শিশুখাদ্য, জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প এবং কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানির ঋণপত্র এ নির্দেশনার বাইরে রাখা হয়েছে। তবে শর্তের বাইরে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মনিটরিং জোরদার করেছে বলে জানা গেছে।
ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনা মহামারির পর যখন আমদানি-রপ্তানি খাতে গতি বাড়তে শুরু করেছে ঠিক তখনই আবার ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধিসহ গ্যাস ও জ্বালানি নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তা দেশের বহির্বাণিজ্য খাত অর্থাৎ আমদানি-রপ্তানিতে বড় ধরনের শঙ্কা তৈরি করছে। নিট তৈরি পোশাক শিল্পোদ্যোক্তাদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধার কারণে আমাদের রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে মার্জিন রাখার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যাও হচ্ছে না। তবে ব্যাক টু ব্যাক এলসির বাইরে যেসব পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে- তা নিয়ে সমস্যা হবে বা হচ্ছে। তৈরি পোশাক শিল্পের এই উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের ডায়িং ম্যাটেরিয়ালস এবং কম্পোজিট শিল্পের মেশিনারিজ ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধা পায় না। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে যদি অতিরিক্ত মার্জিন রেখে এলসি করতে হয়, তবে অনেক ব্যবসায়ী এই মুহূর্তে ঋণপত্র খুলবেন না। বিকেএমইএ’র এই নেতা বলেন, আমদানি কম হলে ডলার সাশ্রয় হবে ঠিক, কিন্তু এটি উৎপাদন ব্যাহত করবে, যা রপ্তানি খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক:
বহির্বাণিজ্যে কী ধরনের সংকট সৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে- সে বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে কর্মরত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং রপ্তানি খাত নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা শুনিয়েছেন কমার্শিয়াল কাউন্সিলররা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, সামনের দিনগুলোতে আমাদের রপ্তানি খাতের সম্ভাবনা ও সংকট নিয়ে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের মতামত জানতে গত সপ্তাহে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। আমাদের রপ্তানির প্রধান গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকা। বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টি উঠে এসেছে। কাউন্সিলররা বলেছেন, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে ইউরোপে অনিশ্চয়তা বাড়বে। পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যুদ্ধ অনিশ্চয়তায় বহির্বাণিজ্য

আপলোড টাইম : ০৯:২৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২

সমীকরণ প্রতিবেদন: করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে দেশের আমদানি-রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারায় ফিরলেও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আবারও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে বহির্বাণিজ্যের এই প্রধান দুটি খাতে। গত কয়েক মাস ধরে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড পরিমাণ প্রবৃদ্ধি হলেও ইউরোপে যুদ্ধ পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম এই খাতটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার ডলারের দাম বাড়ার কারণে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে আমদানি খাতেও। সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে কর্মরত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়ে দূতাবাসগুলোতে চিঠি পাঠানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থার সঞ্চার হয়েছিল। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি বেড়েছে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী নতুন সংকট সৃষ্টি করেছে। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি তথা বহির্বাণিজ্যে যে গতি সৃষ্টি হয়েছিল তাতে আবারও অনিশ্চয়তার কালো মেঘ দেখা দিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে (বাংলাদেশ ব্যাংক কোয়ার্টারলি) বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ। বিপরীতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৪৭ দশমিক ৪ শতাংশ। রপ্তানির তুলনায় আমদানি দ্রুত বাড়ায় বাণিজ্য ঘাটতিও বেড়ে যাচ্ছে। এ ঘাটতির কারণে বৈদেশিক হিসাবে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি করছে। যা মুদ্রার মান ধরে রাখাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এরই মধ্যে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি কমাতে নতুন শর্ত জুড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এলসি স্থাপনে অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণ করেছে। ঋণপত্র স্থাপনে অতিরিক্ত মার্জিন কেটে রাখা এবং ডলারের দাম বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীরাও পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। যা আবার সামগ্রিক উৎপাদন ও রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সূত্র জানায়, এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক গাড়ি ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য আমদানির বিপরীতে ঋণপত্র স্থাপনের (এলসি) নগদ মার্জিন হার ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। অন্যান্য এলসির ক্ষেত্রেও মার্জিন হার ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও শিশুখাদ্য, জ্বালানিসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্প এবং কৃষি খাত সংশ্লিষ্ট পণ্য আমদানির ঋণপত্র এ নির্দেশনার বাইরে রাখা হয়েছে। তবে শর্তের বাইরে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মনিটরিং জোরদার করেছে বলে জানা গেছে।
ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনা মহামারির পর যখন আমদানি-রপ্তানি খাতে গতি বাড়তে শুরু করেছে ঠিক তখনই আবার ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধিসহ গ্যাস ও জ্বালানি নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তা দেশের বহির্বাণিজ্য খাত অর্থাৎ আমদানি-রপ্তানিতে বড় ধরনের শঙ্কা তৈরি করছে। নিট তৈরি পোশাক শিল্পোদ্যোক্তাদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধার কারণে আমাদের রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে মার্জিন রাখার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যাও হচ্ছে না। তবে ব্যাক টু ব্যাক এলসির বাইরে যেসব পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে- তা নিয়ে সমস্যা হবে বা হচ্ছে। তৈরি পোশাক শিল্পের এই উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের ডায়িং ম্যাটেরিয়ালস এবং কম্পোজিট শিল্পের মেশিনারিজ ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধা পায় না। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে যদি অতিরিক্ত মার্জিন রেখে এলসি করতে হয়, তবে অনেক ব্যবসায়ী এই মুহূর্তে ঋণপত্র খুলবেন না। বিকেএমইএ’র এই নেতা বলেন, আমদানি কম হলে ডলার সাশ্রয় হবে ঠিক, কিন্তু এটি উৎপাদন ব্যাহত করবে, যা রপ্তানি খাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক:
বহির্বাণিজ্যে কী ধরনের সংকট সৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে- সে বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে কর্মরত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং রপ্তানি খাত নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা শুনিয়েছেন কমার্শিয়াল কাউন্সিলররা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, সামনের দিনগুলোতে আমাদের রপ্তানি খাতের সম্ভাবনা ও সংকট নিয়ে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের মতামত জানতে গত সপ্তাহে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। আমাদের রপ্তানির প্রধান গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকা। বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টি উঠে এসেছে। কাউন্সিলররা বলেছেন, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে ইউরোপে অনিশ্চয়তা বাড়বে। পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।