ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হল আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩২:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
  • / ৯৯ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব প্রতিবেদন
নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে চলমান যুদ্ধ থামাতে একমত হয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেখানেই দুই দেশ সাময়িক সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ যুদ্ধবিরতির খবর নিশ্চিত করেছেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে জানানো হয়, এখন যুদ্ধবিরতির মধ্যে দুই দেশ কীভাবে আগাবে তা নির্ধারণ করতে নিজেরা স্বতন্ত্রভাবে আলোচনায় বসবে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। গত ২৭শে সেপ্টেম্বর থেকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এখন পর্যন্ত এতে প্রায় ৪০০ মানুষের প্রাণ হারানোর খবর পাওয়া গেছে। যার একটি বড় অংশ বেসামরিক নাগরিক। ইসরাইলি অস্ত্রে সজ্জিত আজারবাইজানের বাহিনী যুদ্ধে আর্মেনিয়াকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিল। তবে মরদেহ উদ্ধার ও বন্দী বিনিময়ের জন্য শনিবার দুপুর থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। উল্লেখ্য, বিতর্কিত অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অন্তর্ভুক্ত বলে স্বীকৃত। তবে অঞ্চলটির প্রায় শতভাগ বাসিন্দাই আর্মেনীয়। ফলে তারা প্রথম থেকেই এ অঞ্চলে আজারবাইজানের কতৃত্ব মানে না। অঞ্চলটির রয়েছে আলাদা সরকার ও সামরিক বাহিনী। স্বাধীনতার পর থেকে কখনই আজারবাইজানের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিলনা অঞ্চলটি ওপরে। তবে সম্প্রতি দেশটি নাগর্নো-কারাবাখ দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর নিন্দা জানিয়ে নাগর্নো-কারাবাখের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয় আর্মেনিয়া।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হল আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া

আপলোড টাইম : ০৯:৩২:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

বিশ্ব প্রতিবেদন
নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে চলমান যুদ্ধ থামাতে একমত হয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেখানেই দুই দেশ সাময়িক সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ যুদ্ধবিরতির খবর নিশ্চিত করেছেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে জানানো হয়, এখন যুদ্ধবিরতির মধ্যে দুই দেশ কীভাবে আগাবে তা নির্ধারণ করতে নিজেরা স্বতন্ত্রভাবে আলোচনায় বসবে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। গত ২৭শে সেপ্টেম্বর থেকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এখন পর্যন্ত এতে প্রায় ৪০০ মানুষের প্রাণ হারানোর খবর পাওয়া গেছে। যার একটি বড় অংশ বেসামরিক নাগরিক। ইসরাইলি অস্ত্রে সজ্জিত আজারবাইজানের বাহিনী যুদ্ধে আর্মেনিয়াকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিল। তবে মরদেহ উদ্ধার ও বন্দী বিনিময়ের জন্য শনিবার দুপুর থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। উল্লেখ্য, বিতর্কিত অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অন্তর্ভুক্ত বলে স্বীকৃত। তবে অঞ্চলটির প্রায় শতভাগ বাসিন্দাই আর্মেনীয়। ফলে তারা প্রথম থেকেই এ অঞ্চলে আজারবাইজানের কতৃত্ব মানে না। অঞ্চলটির রয়েছে আলাদা সরকার ও সামরিক বাহিনী। স্বাধীনতার পর থেকে কখনই আজারবাইজানের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিলনা অঞ্চলটি ওপরে। তবে সম্প্রতি দেশটি নাগর্নো-কারাবাখ দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর নিন্দা জানিয়ে নাগর্নো-কারাবাখের সেনাবাহিনীর সঙ্গে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয় আর্মেনিয়া।