ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যশোর বোর্ডে চুয়াডাঙ্গা ৫ম অবস্থানে : পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৬:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০
  • / ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

সারা দেশে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে লাইভে এসে এসএসসি ও সমমানের এ ফলাফল ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করা হয়। এ বছর পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এর মধ্যে, এসএসসি পরীক্ষার নয়টি বোর্ড মিলে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ ও কারিগরিতে ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ। এ বছরের ফলাফলে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮০ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৩৬ হাজার ৪৭ জন, রাজশাহী বোর্ডে ২৬ হাজার ১৬৭ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ১০ হাজার ২৪৫ জন, যশোর বোর্ডে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৯ হাজার ৮ জন, বরিশাল বোর্ডে ৪ হাজার ৪৮৩ জন, সিলেট বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৩ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ১২ হাজার ৮৬ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭ হাজার ৪৩৪ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৭ হাজার ৫১৬ জন ও কারিগরি বোর্ডে ৪ হাজার ৮৮৫ জন। গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ বছর তা বেড়ে ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হলো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তাত্ত্বিক পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ৬ মার্চ শেষ হয়। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় সংখ্যা ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী। করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, গত আট বছরে এই প্রথমবার পাবলিক পরীক্ষা শেষ করার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ হয়নি। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলার ১৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার ৪৫৮ জন রেজিস্ট্রেশনকৃত পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করে ১০ হাজার ৩৯৬ জন এবং ৯ হাজার ৪৪৩ জন পাস করেছে। এরমধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ৩৭৫ জন ও ছাত্রী ৪ হাজার ৬৬৮ জন। পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ। যশোর বোর্ডে চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান ৫ম। এ বছর চুয়াডাঙ্গা শহরের দুটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফলাফরে দারুন সাফল্য দেখিয়েছে। চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ২৭৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৭২ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৪ জন। এদিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৭১ জন ছাত্রীর মধ্যে ২৬৩ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৩ জন। দু’টি বিদ্যালয়ের মধ্যে জিপিএ-৫ এ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এগিয়ে থাকলেও পাসের হারে ভি জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এগিয়ে আছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যশোর বোর্ডে চুয়াডাঙ্গা ৫ম অবস্থানে : পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে

আপলোড টাইম : ০৯:২৬:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০

সারা দেশে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
চুয়াডাঙ্গাসহ সারা দেশে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে লাইভে এসে এসএসসি ও সমমানের এ ফলাফল ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করা হয়। এ বছর পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এর মধ্যে, এসএসসি পরীক্ষার নয়টি বোর্ড মিলে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ ও কারিগরিতে ৭২ দশমিক ৭ শতাংশ। এ বছরের ফলাফলে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ ও ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮০ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৩৬ হাজার ৪৭ জন, রাজশাহী বোর্ডে ২৬ হাজার ১৬৭ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ১০ হাজার ২৪৫ জন, যশোর বোর্ডে ১৩ হাজার ৭৬৪ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৯ হাজার ৮ জন, বরিশাল বোর্ডে ৪ হাজার ৪৮৩ জন, সিলেট বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৩ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ১২ হাজার ৮৬ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৭ হাজার ৪৩৪ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৭ হাজার ৫১৬ জন ও কারিগরি বোর্ডে ৪ হাজার ৮৮৫ জন। গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ বছর তা বেড়ে ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হলো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। তাত্ত্বিক পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ৬ মার্চ শেষ হয়। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় সংখ্যা ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী। করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, গত আট বছরে এই প্রথমবার পাবলিক পরীক্ষা শেষ করার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ হয়নি। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গা জেলার চারটি উপজেলার ১৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার ৪৫৮ জন রেজিস্ট্রেশনকৃত পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করে ১০ হাজার ৩৯৬ জন এবং ৯ হাজার ৪৪৩ জন পাস করেছে। এরমধ্যে ছাত্র ৪ হাজার ৩৭৫ জন ও ছাত্রী ৪ হাজার ৬৬৮ জন। পাসের হার ৮৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ। যশোর বোর্ডে চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান ৫ম। এ বছর চুয়াডাঙ্গা শহরের দুটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফলাফরে দারুন সাফল্য দেখিয়েছে। চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ২৭৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৭২ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৪ জন। এদিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৭১ জন ছাত্রীর মধ্যে ২৬৩ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৩ জন। দু’টি বিদ্যালয়ের মধ্যে জিপিএ-৫ এ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এগিয়ে থাকলেও পাসের হারে ভি জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এগিয়ে আছে।