ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপণ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপন। সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের প্রতাবপুর মাঠে চলছে বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ। ধানের চারা রোপনের মৌসুম আসলে কৃষকরা বেশির ভাগ চিন্তিত থাকে শ্রমিক নিয়ে। শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা ধান রোপন নিয়ে প্রতি বছরেই পড়েন বিপাকে। শ্রমিক সংকট কাটাতে এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে আধুনিকযন্ত্রের সাহায্য বোরো ধানের চারা রোপন। যা এলাকার সাধারণ কৃষকের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এদিকে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্য ধান লাগানো মেশিন দেখতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষকরা প্রতাবপুর মাঠে ভিড় জমাচ্ছেন। আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপনকারী কৃষক আবুল হোসেন বলেন, প্রতি বছর ৫ থেকে ৭বিঘা জমিতে আমরা ধানের চাষ করে থাকি। এ বছরেও করেছি। তবে এই মেশিনের সাহায্য এবার পরীক্ষামুলকভাবে ১বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছি। এতে সময় লেগেছে ১ ঘন্টা খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি ৮শ টাকা এবং সারিবদ্ধভাবে ধান রোপন করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে আমার অনেক খরচ কম হয়েছে সময় ও কম লেগেছে। আগে বিঘা প্রতি ধানের চারা রোপনে আমার শ্রমিক খরচ হতো তিনহাজার টাকা, সময় লাগতো একদিন কিন্তু এই মেশিনে ১ ঘন্টার মধ্যে ১বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। এতে খরচ ও সময় দুইই বাঁেচ।

আধুনিক যন্ত্রের চালক চাষী রমজান বলেন, বর্তমান সময় আধুনিক হওয়ার ফলে সরকার কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়ন এবং কৃষিতে বিপ্লব ঘটনার জন্য জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এবং কৃষিযন্ত্র সেবা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে আমি এই মেশিন দিয়ে এলাকাতে পরীক্ষামূলকভাবে ধানের চারা রোপন শুরু করেছি, এতে কৃষকদের বেশ সাড়া পাচ্ছি। এই মেশিনে খরচও কম হচ্ছে এবং সময়ও কম লাগছে। যার কারণে কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছেন। একদিনে ১৫বিঘা জমিতে ধান লাগানো যাবে। আর একবিঘা জমিতে ধান লাগাতে ১ লিটার তেল খরচ হচ্ছে । আশা করি আগামিতে আরও বেশি সাড়া পাবো।

বাকা ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মান্নান বলেন, চাষী রমজান ধানের চারা রোপনের যে মেশিন এলাকাতে নিয়ে এসেছে, নতুন হিসেবে তাতে বেশ সাড়া ফেলেছে। যুগের পরিবর্তন হচ্ছে। এই মেশিন যদি সব এলাকাতে থাকে, তাহলে ধান রোপনের জন্য কৃষকদের শ্রমিকের টেনশন করতে হবে না। আমরা চাই সরকার যেন এই মেশিন জীবননগর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে প্রদান করে তা হলে এলাকায় শ্রমিক সংকট পূরণ হবে।

জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমানউল্লাহ বলেন, বাকা ইউনিয়নের প্রতাবপুর গ্রামে জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় এবং কৃষিযন্ত্র সেবা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে চাষী রমজান নামের একব্যক্তির মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে ধানের চারা রোপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই মেশিনের সাহায্য খুব সহজেই ধানের চারা রোপন করা যায়। এতে খরচ কম হয় ও সময় কম লাগে। পাশাপাশি অল্প সময়ের মধ্যে চারা সুন্দরভাবে জমিতে রোপণ করা যায়। তাই আধুনিক সময়ে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে চাষাবাদ করলে কৃষকরা অবশ্যই লাভবান হবেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপণ

আপলোড টাইম : ১০:৩৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

জীবননগর অফিস:

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপন। সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের প্রতাবপুর মাঠে চলছে বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ। ধানের চারা রোপনের মৌসুম আসলে কৃষকরা বেশির ভাগ চিন্তিত থাকে শ্রমিক নিয়ে। শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা ধান রোপন নিয়ে প্রতি বছরেই পড়েন বিপাকে। শ্রমিক সংকট কাটাতে এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে আধুনিকযন্ত্রের সাহায্য বোরো ধানের চারা রোপন। যা এলাকার সাধারণ কৃষকের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এদিকে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্য ধান লাগানো মেশিন দেখতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষকরা প্রতাবপুর মাঠে ভিড় জমাচ্ছেন। আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে ধানের চারা রোপনকারী কৃষক আবুল হোসেন বলেন, প্রতি বছর ৫ থেকে ৭বিঘা জমিতে আমরা ধানের চাষ করে থাকি। এ বছরেও করেছি। তবে এই মেশিনের সাহায্য এবার পরীক্ষামুলকভাবে ১বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছি। এতে সময় লেগেছে ১ ঘন্টা খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি ৮শ টাকা এবং সারিবদ্ধভাবে ধান রোপন করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে আমার অনেক খরচ কম হয়েছে সময় ও কম লেগেছে। আগে বিঘা প্রতি ধানের চারা রোপনে আমার শ্রমিক খরচ হতো তিনহাজার টাকা, সময় লাগতো একদিন কিন্তু এই মেশিনে ১ ঘন্টার মধ্যে ১বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। এতে খরচ ও সময় দুইই বাঁেচ।

আধুনিক যন্ত্রের চালক চাষী রমজান বলেন, বর্তমান সময় আধুনিক হওয়ার ফলে সরকার কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়ন এবং কৃষিতে বিপ্লব ঘটনার জন্য জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এবং কৃষিযন্ত্র সেবা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে আমি এই মেশিন দিয়ে এলাকাতে পরীক্ষামূলকভাবে ধানের চারা রোপন শুরু করেছি, এতে কৃষকদের বেশ সাড়া পাচ্ছি। এই মেশিনে খরচও কম হচ্ছে এবং সময়ও কম লাগছে। যার কারণে কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছেন। একদিনে ১৫বিঘা জমিতে ধান লাগানো যাবে। আর একবিঘা জমিতে ধান লাগাতে ১ লিটার তেল খরচ হচ্ছে । আশা করি আগামিতে আরও বেশি সাড়া পাবো।

বাকা ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মান্নান বলেন, চাষী রমজান ধানের চারা রোপনের যে মেশিন এলাকাতে নিয়ে এসেছে, নতুন হিসেবে তাতে বেশ সাড়া ফেলেছে। যুগের পরিবর্তন হচ্ছে। এই মেশিন যদি সব এলাকাতে থাকে, তাহলে ধান রোপনের জন্য কৃষকদের শ্রমিকের টেনশন করতে হবে না। আমরা চাই সরকার যেন এই মেশিন জীবননগর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে প্রদান করে তা হলে এলাকায় শ্রমিক সংকট পূরণ হবে।

জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমানউল্লাহ বলেন, বাকা ইউনিয়নের প্রতাবপুর গ্রামে জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় এবং কৃষিযন্ত্র সেবা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে চাষী রমজান নামের একব্যক্তির মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে ধানের চারা রোপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই মেশিনের সাহায্য খুব সহজেই ধানের চারা রোপন করা যায়। এতে খরচ কম হয় ও সময় কম লাগে। পাশাপাশি অল্প সময়ের মধ্যে চারা সুন্দরভাবে জমিতে রোপণ করা যায়। তাই আধুনিক সময়ে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে চাষাবাদ করলে কৃষকরা অবশ্যই লাভবান হবেন।