ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মোস্তাফিজের ‘সান্ত¡না’ অশ্বিনুরশিদ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২০:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৮
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক :১৭ এপ্রিল ওয়াংখেড়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। এমন বোলিংয়ের পর কার মন ভালো থাকে! তিন বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে বোলিংয়ের পর মোস্তাফিজুর রহমানের মনটাও ভালো নেই। তবে বাংলাদেশ পেসার সান্ত¡না খুঁজে নিতে পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর রশিদ খানের কাছ থেকে। বোলিংয়ে তিনজনই নিজ নিজ দলের বড় ভরসা। তাঁদের প্রতি দলের প্রত্যাশা থাকে কৃপণ বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখবেন; উইকেটও এনে দেবেন। অশ্বিন, রশিদ, মোস্তাফিজ কাজটা যে ভালোভাবেই পারেন, সেটি অসংখ্যবার করে দেখিয়েছেন। কিন্তু নিয়মিত ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নেবেন আর ব্যাটসম্যানরা ছেড়ে কথা বলবেন, তা তো নয়। তিন দিনের ব্যবধানে তিন তারকা বোলারেরই এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজের সবচেয়ে বাজে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। ছাড়িয়ে গেছেন গত নভেম্বরে বিপিএলের ম্যাচে রাজশাহী কিংসের হয়ে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকার ব্যক্তিগত রেকর্ড। রান খরচায় প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ‘ফিফটি’ করে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ মোস্তাফিজ। বাংলাদেশের তরুণ পেসারের সান্ত¡না হতে পারে, অশ্বিন ও রশিদ দুজনই কাল মোহালিতে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে বোলিং করেছেন। ক্রমেই নিজেকে দুর্বোধ্য বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন রশিদ খান। কিন্তু কাল জেগে উঠেছিলেন ক্রিস গেইল। গেইল যেদিন জাগেন, সেদিন পৃথিবীর সেরা বোলারটাও যে পাড়ার বোলারে পরিণত হন, সেটি কাল রশিদকে দেখে আরেকবার বোঝা গেল। আফগান লেগ স্পিনারের এক ওভারে টানা চার ছক্কা মেরেছেন জ্যামাইকান ওপেনার। ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ১ উইকেটÍ৯৫ টি-টোয়েন্টি খেলা রশিদ আগেও ম্যাচে দুবার ৫০-এর ওপরে রান দিয়েছেন। তবে কাল ছাড়িয়ে গেলেন আগের দুই ম্যাচও । রশিদের দুর্ভাগ্য, গেইল নামের ২২ গজের দৈত্যটা জেগে উঠেছেন তাঁর বিপক্ষেই! কিন্তু অশ্বিন তো এমন কোনো খুনে মেজাজের ব্যাটসম্যানদের সামনে পড়েননি। বরং গেইল-ঝড়ে পাঞ্জাব যে স্কোর পেয়েছে, তাতে অশ্বিনের চাপমুক্ত হয়ে বোলিং করার কথা। ম্যাচে পেরে না উঠলেও হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা যত ঝাল ঝেড়েছেন অশ্বিনের ওপর! পাঞ্জাব অধিনায়ক ৪ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেটশূন্য। মোস্তাফিজের মতো অশ্বিনেরও প্রথমবারের মতো রান খরচে ‘ফিফটি’ হয়েছে। পার্থক্যটা হচ্ছে মোস্তাফিজ খেলছেন ৬৭ টি-টোয়েন্টি আর অশ্বিন ২০০টি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মোস্তাফিজের ‘সান্ত¡না’ অশ্বিনুরশিদ

আপলোড টাইম : ০৪:২০:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৮

খেলাধুলা ডেস্ক :১৭ এপ্রিল ওয়াংখেড়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। এমন বোলিংয়ের পর কার মন ভালো থাকে! তিন বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে বোলিংয়ের পর মোস্তাফিজুর রহমানের মনটাও ভালো নেই। তবে বাংলাদেশ পেসার সান্ত¡না খুঁজে নিতে পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর রশিদ খানের কাছ থেকে। বোলিংয়ে তিনজনই নিজ নিজ দলের বড় ভরসা। তাঁদের প্রতি দলের প্রত্যাশা থাকে কৃপণ বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখবেন; উইকেটও এনে দেবেন। অশ্বিন, রশিদ, মোস্তাফিজ কাজটা যে ভালোভাবেই পারেন, সেটি অসংখ্যবার করে দেখিয়েছেন। কিন্তু নিয়মিত ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নেবেন আর ব্যাটসম্যানরা ছেড়ে কথা বলবেন, তা তো নয়। তিন দিনের ব্যবধানে তিন তারকা বোলারেরই এক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নিজের সবচেয়ে বাজে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। ছাড়িয়ে গেছেন গত নভেম্বরে বিপিএলের ম্যাচে রাজশাহী কিংসের হয়ে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকার ব্যক্তিগত রেকর্ড। রান খরচায় প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ‘ফিফটি’ করে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ মোস্তাফিজ। বাংলাদেশের তরুণ পেসারের সান্ত¡না হতে পারে, অশ্বিন ও রশিদ দুজনই কাল মোহালিতে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে বোলিং করেছেন। ক্রমেই নিজেকে দুর্বোধ্য বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন রশিদ খান। কিন্তু কাল জেগে উঠেছিলেন ক্রিস গেইল। গেইল যেদিন জাগেন, সেদিন পৃথিবীর সেরা বোলারটাও যে পাড়ার বোলারে পরিণত হন, সেটি কাল রশিদকে দেখে আরেকবার বোঝা গেল। আফগান লেগ স্পিনারের এক ওভারে টানা চার ছক্কা মেরেছেন জ্যামাইকান ওপেনার। ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ১ উইকেটÍ৯৫ টি-টোয়েন্টি খেলা রশিদ আগেও ম্যাচে দুবার ৫০-এর ওপরে রান দিয়েছেন। তবে কাল ছাড়িয়ে গেলেন আগের দুই ম্যাচও । রশিদের দুর্ভাগ্য, গেইল নামের ২২ গজের দৈত্যটা জেগে উঠেছেন তাঁর বিপক্ষেই! কিন্তু অশ্বিন তো এমন কোনো খুনে মেজাজের ব্যাটসম্যানদের সামনে পড়েননি। বরং গেইল-ঝড়ে পাঞ্জাব যে স্কোর পেয়েছে, তাতে অশ্বিনের চাপমুক্ত হয়ে বোলিং করার কথা। ম্যাচে পেরে না উঠলেও হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা যত ঝাল ঝেড়েছেন অশ্বিনের ওপর! পাঞ্জাব অধিনায়ক ৪ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেটশূন্য। মোস্তাফিজের মতো অশ্বিনেরও প্রথমবারের মতো রান খরচে ‘ফিফটি’ হয়েছে। পার্থক্যটা হচ্ছে মোস্তাফিজ খেলছেন ৬৭ টি-টোয়েন্টি আর অশ্বিন ২০০টি।