ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মোমের আলোয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০১৭
  • / ২৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় দমকা হাওয়ার পরপরই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। তার আগেই হাসপাতাল এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অন্ধকার হয়ে যায় পুরো হাসপাতাল। দীর্ঘক্ষণ বিকল্প বিদ্যুত চালু না হওয়ায় পরে মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। দীর্ঘ প্রায় দুই ঘন্টা মোমের আলোয় চলে চিকিৎসা সেবা। এদিকে, জ্বালানীর অভাবে বিকল্প বিদ্যুত ব্যবস্থা তথা জেনারেটর চালানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সন্ধ্যার পরপরই দমকা হাওয়া শুরু হয়। এরপরেই শুরু হয় বৃষ্টি। প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টির আগেই হাসপাতাল ফিডারের বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখনও অন্ধকার কাটানোর জন্য আলো জ্বালাতে ব্যস্ত হয়নি কেউ। বিকল্প বিদ্যুতে আলো জ্বালানোর জন্য বৈদ্যুতিক স্যুইচ চেপে অপেক্ষায় ছিলো পুরো হাসপাতাল। চিকিৎসক, সেবিকা, রোগীসহ তাদের স্বজন সবাই। কিন্তু বিদ্যুত আসার কথা চিন্তা না করে বিকল্প বিদ্যুত পাওয়ার অপেক্ষার বাঁধও যেনো ভেঙে যায় সকলের। পরে হাসপাতাল জরুরি বিভাগ, অন্তঃবিভাগে জ্বালানো হয় মোমবাতি। প্রায় দু ঘন্টা মোমের আলো দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজিবুল ইসলাম জানান, জ্বলানি তেল সঙ্কট। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ব্যক্তিগত অর্থায়নে জেনারেটরের অপারেটরের বেতন এবং জালানি তেল সরবারহ করা হয়। জালানি তেল সঙ্কটের কারণে বিকল্প বিদ্যুত ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মোমের আলোয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা

আপলোড টাইম : ০৫:০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় দমকা হাওয়ার পরপরই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। তার আগেই হাসপাতাল এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অন্ধকার হয়ে যায় পুরো হাসপাতাল। দীর্ঘক্ষণ বিকল্প বিদ্যুত চালু না হওয়ায় পরে মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। দীর্ঘ প্রায় দুই ঘন্টা মোমের আলোয় চলে চিকিৎসা সেবা। এদিকে, জ্বালানীর অভাবে বিকল্প বিদ্যুত ব্যবস্থা তথা জেনারেটর চালানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সন্ধ্যার পরপরই দমকা হাওয়া শুরু হয়। এরপরেই শুরু হয় বৃষ্টি। প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টির আগেই হাসপাতাল ফিডারের বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখনও অন্ধকার কাটানোর জন্য আলো জ্বালাতে ব্যস্ত হয়নি কেউ। বিকল্প বিদ্যুতে আলো জ্বালানোর জন্য বৈদ্যুতিক স্যুইচ চেপে অপেক্ষায় ছিলো পুরো হাসপাতাল। চিকিৎসক, সেবিকা, রোগীসহ তাদের স্বজন সবাই। কিন্তু বিদ্যুত আসার কথা চিন্তা না করে বিকল্প বিদ্যুত পাওয়ার অপেক্ষার বাঁধও যেনো ভেঙে যায় সকলের। পরে হাসপাতাল জরুরি বিভাগ, অন্তঃবিভাগে জ্বালানো হয় মোমবাতি। প্রায় দু ঘন্টা মোমের আলো দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজিবুল ইসলাম জানান, জ্বলানি তেল সঙ্কট। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ব্যক্তিগত অর্থায়নে জেনারেটরের অপারেটরের বেতন এবং জালানি তেল সরবারহ করা হয়। জালানি তেল সঙ্কটের কারণে বিকল্প বিদ্যুত ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি।