ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মোবারকগঞ্জ চিনিকলে ১১ দিনে ৮২ ঘন্টা ব্রেকডাউন অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ফলে এমনটি হচ্ছে বলে কৃষক ও সাধারন শ্রমিকদের দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৫১২ বার পড়া হয়েছে

Mochik-Picture

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরুর ১১দিনে ৮২ ঘন্টা ব্রেকডাউন হয়েছে। সর্বশেষ ২৫ ডিসেম্বর ব্রেক ডাউন হওয়ার পর মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে মিলটি চালু করা হয়। ঘনঘন মাড়াই কাজ বন্ধের ফলে এ বছরও মিলটি লোকসানে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। পুরাতন যন্ত্রপাতি, জ¦ালানী সংকট ও ঘুষের বিনিময়ে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ফলে এমনটি হচ্ছে বলে কৃষক ও সাধারন শ্রমিকদের দাবি। মোচিক সুত্রে জানা গেছে, এ বছর প্রায় ৭ কোটি টাকা খরচ করে মেরামত করা হয়। তবে মিলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দ্বায়িত্বশীল কর্তারা জানিয়েছেন যান্ত্রিক ত্রুটির কারনেই এ সমস্যা হচ্ছে। ব্রেকডাউনের ফলে গত ১১দিনে মিলের কয়েক লাখ টাকা অপচয় হয়েছে। মোবারকগঞ্জ সুগার মিল সুত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর ১৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিট, ১৮ ডিসেম্বর ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট, ১৯ ডিসেম্বর ৬ ঘন্টা, ২০ ডিসেম্বর ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট, ২২ ডিসেম্বর ৯ ঘন্টা, ২৪ ডিসেম্বর ৫ ঘন্টা, ২৫ ডিসেম্বর ৮ ঘন্টা এবং সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বর ৪ ঘন্টা ব্র্রেকডাউন হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর মধ্য রাতে মিলটি চালু করা হয়। ব্রেক ডাউনের কারন হিসেবে মোচিকের শ্রমিকরা জানান, সাধারণত মিল হাউজ ও  বয়লার হাউসে বেশি সমস্যা হচ্ছে। মিল হাউজে পুরাতন যন্ত্রপাতি দিয়ে মাড়াই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বেশির ভাগ সময়েই মিলে কার্টার ও আখের রস সংগ্রহের রুলারে জাম বেধে যাচ্ছে। আর এ কারনে ব্রয়লার হাউজে ঠিক মত জ¦ালানী সরবরাহ হচ্ছে না। মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, মুলত এই ব্র্রেকডাউন গুলো যান্ত্রিক ত্রুটি। মিল চালাতে গেলে যন্ত্রাংশ নষ্ট হবে এটা স্বাভাবিক। তবে তিনি স্বীকার করেন পুরাতন যন্ত্রপাতি দিয়ে মিল চলানোর কারনেই এই ব্র্রেকডাউন হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মোবারকগঞ্জ চিনিকলে ১১ দিনে ৮২ ঘন্টা ব্রেকডাউন অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ফলে এমনটি হচ্ছে বলে কৃষক ও সাধারন শ্রমিকদের দাবি

আপলোড টাইম : ০২:১৩:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

Mochik-Picture

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরুর ১১দিনে ৮২ ঘন্টা ব্রেকডাউন হয়েছে। সর্বশেষ ২৫ ডিসেম্বর ব্রেক ডাউন হওয়ার পর মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে মিলটি চালু করা হয়। ঘনঘন মাড়াই কাজ বন্ধের ফলে এ বছরও মিলটি লোকসানে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। পুরাতন যন্ত্রপাতি, জ¦ালানী সংকট ও ঘুষের বিনিময়ে অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ফলে এমনটি হচ্ছে বলে কৃষক ও সাধারন শ্রমিকদের দাবি। মোচিক সুত্রে জানা গেছে, এ বছর প্রায় ৭ কোটি টাকা খরচ করে মেরামত করা হয়। তবে মিলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দ্বায়িত্বশীল কর্তারা জানিয়েছেন যান্ত্রিক ত্রুটির কারনেই এ সমস্যা হচ্ছে। ব্রেকডাউনের ফলে গত ১১দিনে মিলের কয়েক লাখ টাকা অপচয় হয়েছে। মোবারকগঞ্জ সুগার মিল সুত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর ১৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিট, ১৮ ডিসেম্বর ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট, ১৯ ডিসেম্বর ৬ ঘন্টা, ২০ ডিসেম্বর ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট, ২২ ডিসেম্বর ৯ ঘন্টা, ২৪ ডিসেম্বর ৫ ঘন্টা, ২৫ ডিসেম্বর ৮ ঘন্টা এবং সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বর ৪ ঘন্টা ব্র্রেকডাউন হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর মধ্য রাতে মিলটি চালু করা হয়। ব্রেক ডাউনের কারন হিসেবে মোচিকের শ্রমিকরা জানান, সাধারণত মিল হাউজ ও  বয়লার হাউসে বেশি সমস্যা হচ্ছে। মিল হাউজে পুরাতন যন্ত্রপাতি দিয়ে মাড়াই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বেশির ভাগ সময়েই মিলে কার্টার ও আখের রস সংগ্রহের রুলারে জাম বেধে যাচ্ছে। আর এ কারনে ব্রয়লার হাউজে ঠিক মত জ¦ালানী সরবরাহ হচ্ছে না। মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, মুলত এই ব্র্রেকডাউন গুলো যান্ত্রিক ত্রুটি। মিল চালাতে গেলে যন্ত্রাংশ নষ্ট হবে এটা স্বাভাবিক। তবে তিনি স্বীকার করেন পুরাতন যন্ত্রপাতি দিয়ে মিল চলানোর কারনেই এই ব্র্রেকডাউন হচ্ছে।