ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মোবাইল ফোনে ঘরে আসবে করোনা, দাবি দুবাই বিজ্ঞানীর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০
  • / ১৮৬ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক:
ফোনের মাধ্যমে আপনার ঘরে আসতে পারে করোনাভাইরাস! এমন দাবি করেছেন দুবাই পুলিশের একজন বিজ্ঞানী। গবেষণা করে তিনি বলেছেন, ৪৮ লাখ মানুষের করোনা সংক্রমণের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল মোবাইল ফোনের। অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করে এমন দাবি করেছেন দুবাই পুলিশের ফরেনসিক সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনলজি বিভাগের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নবিষয়ক পরিচালক মেজর ড. রাশিদ আল গাফরি। জার্নাল অব ট্রাভেল মেডিসিন অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে তাঁদের একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
সেখানে ড. আল গাফরি বলেন, ‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ ছড়ানোর একটি মোক্ষম মাধ্যম আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন। আমরা ভিন্ন ভিন্ন ধরনের অনেক ফোন নিয়ে বিশ্লেষণ করেছি, এর গায়ে শত শত জীবাণু মিলেছে। ব্যাকটেরিয়া ও নভেল করোনাভাইরাসের মতো অনেক ভাইরাস বহন করতে সক্ষম মোবাইল ফোন। মহামারি ছড়াতে ব্যাপক ভূমিকা থাকতে পারে ফোনের। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ বিজ্ঞানী জানান, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় গরম হয় এবং এর ফলে জীবাণু ও ভাইরাসগুলো বেশি সময় সেখানে থাকতে পারে এবং নিজেদের পুনরুৎপাদন করতে পারে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ফোনে ভাইরাসের জীবাণু থেকে যেতে পারে। এ কারণে কর্মক্ষেত্রে, গণপরিবহনে, নৌজাহাজে এবং উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ফোনের মাধ্যমে অবলীলায় ছড়াতে পারে। তবে করোনাভাইরাস আসার আগে কেউই তেমন করে নিজের ফোনটি জীবাণুমুক্তকরণের উদ্যোগ নিতেন না। এখন অনেকেই নিয়মিত ফোনটাকে জীবাণুমুক্ত রাখার ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
যেভাবে ফোন থেকে নিরাপদ থাকবেন: নিয়মিত হাত ধোয়ার পাশাপাশি মোবাইল ফোনটাকেও অ্যালকোহলে তৈরি স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন আল গাফরি। তিনি বলছেন, মোবাইল ফোনের পাশাপাশি যেসব টাচস্ক্রিন ডিভাইস ব্যবহার করা হয়, সবই নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা জরুরি। ফোন যেন রোগের বাহন না হয়, খেয়াল রাখতে হবে। এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ২২০ জন মারা গেছে। মোট আক্রান্ত হয়েছে ২৩ হাজার ৩৫৮ জন। আর সুস্থ হতে পেরেছে আট হাজার ৫১২ জন। তবে আশার দিক হচ্ছে, দেশটিতে মাত্র একজন করোনা রোগী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছে। বাকি ১৪ হাজার ৬২৫ জন রোগী বাড়িতে ও হাসপাতালে স্বাভাবিক চিকিৎসা নিচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মোবাইল ফোনে ঘরে আসবে করোনা, দাবি দুবাই বিজ্ঞানীর

আপলোড টাইম : ০৯:২৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০

প্রযুক্তি ডেস্ক:
ফোনের মাধ্যমে আপনার ঘরে আসতে পারে করোনাভাইরাস! এমন দাবি করেছেন দুবাই পুলিশের একজন বিজ্ঞানী। গবেষণা করে তিনি বলেছেন, ৪৮ লাখ মানুষের করোনা সংক্রমণের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল মোবাইল ফোনের। অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে নিয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করে এমন দাবি করেছেন দুবাই পুলিশের ফরেনসিক সায়েন্স অ্যান্ড ক্রিমিনলজি বিভাগের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নবিষয়ক পরিচালক মেজর ড. রাশিদ আল গাফরি। জার্নাল অব ট্রাভেল মেডিসিন অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে তাঁদের একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
সেখানে ড. আল গাফরি বলেন, ‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ ছড়ানোর একটি মোক্ষম মাধ্যম আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোন। আমরা ভিন্ন ভিন্ন ধরনের অনেক ফোন নিয়ে বিশ্লেষণ করেছি, এর গায়ে শত শত জীবাণু মিলেছে। ব্যাকটেরিয়া ও নভেল করোনাভাইরাসের মতো অনেক ভাইরাস বহন করতে সক্ষম মোবাইল ফোন। মহামারি ছড়াতে ব্যাপক ভূমিকা থাকতে পারে ফোনের। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ বিজ্ঞানী জানান, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় গরম হয় এবং এর ফলে জীবাণু ও ভাইরাসগুলো বেশি সময় সেখানে থাকতে পারে এবং নিজেদের পুনরুৎপাদন করতে পারে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ফোনে ভাইরাসের জীবাণু থেকে যেতে পারে। এ কারণে কর্মক্ষেত্রে, গণপরিবহনে, নৌজাহাজে এবং উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ফোনের মাধ্যমে অবলীলায় ছড়াতে পারে। তবে করোনাভাইরাস আসার আগে কেউই তেমন করে নিজের ফোনটি জীবাণুমুক্তকরণের উদ্যোগ নিতেন না। এখন অনেকেই নিয়মিত ফোনটাকে জীবাণুমুক্ত রাখার ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
যেভাবে ফোন থেকে নিরাপদ থাকবেন: নিয়মিত হাত ধোয়ার পাশাপাশি মোবাইল ফোনটাকেও অ্যালকোহলে তৈরি স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন আল গাফরি। তিনি বলছেন, মোবাইল ফোনের পাশাপাশি যেসব টাচস্ক্রিন ডিভাইস ব্যবহার করা হয়, সবই নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা জরুরি। ফোন যেন রোগের বাহন না হয়, খেয়াল রাখতে হবে। এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ২২০ জন মারা গেছে। মোট আক্রান্ত হয়েছে ২৩ হাজার ৩৫৮ জন। আর সুস্থ হতে পেরেছে আট হাজার ৫১২ জন। তবে আশার দিক হচ্ছে, দেশটিতে মাত্র একজন করোনা রোগী নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছে। বাকি ১৪ হাজার ৬২৫ জন রোগী বাড়িতে ও হাসপাতালে স্বাভাবিক চিকিৎসা নিচ্ছে।