ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মোবাইল কভার থেকে গাড়ি, সোনায় মোড়া সবই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

বিস্ময় প্রতিবেদন:
গলায় মোটা মোটা সোনার হার, সব ক’টি আঙুলে সোনার আংটি, হাতে সোনার ব্রেসলেট— ‘গোল্ডেন কিং’ বলতেই বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার বাপ্পি লাহিড়ির ছবিটাই ভেসে ওঠে। বাপ্পি লাহিড়ি ছাড়াও, আরও এমন কয়েক জন আছেন, তাদের ‘সোনার বাদশা’ বললেও কম হবে না। তাদের মধ্যেই এক জন সানি নানা সাহেব ওয়াঘচৌরে। ভারতের পুণেতে জন্ম। স্কুল এবং কলেজজীবন কেটেছে সেখানেই। সানির নাম উঠলেই আর এক জনের নাম উচ্চারিত করতেই হয়। তিনি সানির বন্ধু সঞ্জয় গুজর ওরফে বান্টি। সানি-সঞ্জয়ের যুগলবন্দি ‘দ্য গোল্ডেন গাইজ’ নামে বেশি পরিচিত। এক সাক্ষাৎকারে সানি বলেন, “আমরা দু’জনেই পুণেতে থাকি। আমি এবং বান্টি ছোটবেলা থেকেই বন্ধু। ছোটবেলা থেকে দু’জনেরই সোনার প্রতি অদ্ভুত একটা আকর্ষণ, ভালবাসা। আর সেই শখপূরণ করতেই সোনার গয়না পরা শুরু করি দু’জনে।’’ সানি এবং বান্টি দু’জনে মিলে মোট ১৩ কিলো সোনার গয়না পরেন। সানি জানিয়েছেন, তার সারা গায়ে মোট ৮ কিলো সোনা রয়েছে। অন্য দিকে, বান্টি পড়েন ৫ কিলো সোনার গয়না। সোনার বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ‘গোল্ডেন গাইজ’-এর মোট সোনার দাম সাড়ে ৭ কোটি টাকার বেশি। সাক্ষাৎকারে সানি বলেন, “এত সোনা পরতে দেখে সকলেই অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন, কী ভাবে এত ওজন নিয়ে ঘোরেন? আমি বলেছিলাম, দীর্ঘ দিন ধরে কারও যদি একটা অভ্যাসে পরিণত হয়, তা হলে অসুবিধা হওয়ার কথাই নয়।’’ শুধু সোনার গয়নাই পরেন না সানি, তার মোবাইলের কভারও সোনার। অন্যান্য গ্যাজেটেও সোনার ছোঁয়া রয়েছে। সানি এবং বান্টির যে সব গাড়ি রয়েছে, সেগুলিও সোনার পাতি দিয়ে মোড়ানো। জুতো, ঘড়ি, এমনকি চশমাও সোনা। সানি বলেন, “আমাদের দেখে বহু উৎসুক মানুষ ভিড় জমান। ফলে সব সময়েই সতর্ক থাকতে হয়। নিরাপত্তার জন্য আমাদের দেহরক্ষী রয়েছে।” গোল্ডেন গাইজ-এর কাছে বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল জাগুয়ার এক্সএফ। গাড়ির বাইরের এবং ভিতরের অংশ সোনামিশ্রিত ধাতুতে মোড়ানো রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে অডি কিউ-৭। এই গাড়িটি দু’জনেরই খুব পছন্দের। সানি এবং বান্টির কাছে জাগুয়ার এবং অডি ছাড়াও রয়েছে মার্সিডিজ বেন্জ ই ক্লাস। এ ছাড়াও রয়েছে ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভার ভোগ এল৩৩২। যার এক্স শোরুম দাম প্রায় ৩ কোটি টাকা। বলিউড-সহ বহু ছবিতে টাকা বিনিয়োগ করেন (ফিল্ম ফাইনান্সার) সানি এবং বান্টি। ২০১৩ সালে ‘জড়িলা গাজিয়াবাদ’, ‘জয়ন্তভাই কি লভ স্টোরি’ ছবিতেও টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সানি-বান্টি। বহু বলিউড তারকার ঘনিষ্ঠ ‘গোল্ডেন গাইজ’। বিবেক ওবেরয় এবং নেহা শর্মার সঙ্গে সানিকে প্রায়ই দেখা যায়। ‘জড়িলা গাজিয়াবাদ’ ছবিতে সানি অভিনয়ও করেছেন। অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের বিজনেস পার্টনার সানি। বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় রিয়ালিটি শোতে তাদের দু’জনকে দেখা গিয়েছে। ২০১৭ সালে একটি জনপ্রিয় শো-তে ‘গোল্ডেন গাইজ’-কে প্রথম দেখা গিয়েছিল। তার পর সানি-বান্টির নাম বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাদের বেশভূষার জন্য। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ কোটি টাকা। নিজের সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েক বার মডেল প্রীতি সোনির সঙ্গে তার ছবি শেয়ার করেছেন সানি। ফলে প্রীতির সঙ্গে সানির সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন চলে। সূত্র: আনন্দবাজার

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মোবাইল কভার থেকে গাড়ি, সোনায় মোড়া সবই

আপলোড টাইম : ১০:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

বিস্ময় প্রতিবেদন:
গলায় মোটা মোটা সোনার হার, সব ক’টি আঙুলে সোনার আংটি, হাতে সোনার ব্রেসলেট— ‘গোল্ডেন কিং’ বলতেই বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার বাপ্পি লাহিড়ির ছবিটাই ভেসে ওঠে। বাপ্পি লাহিড়ি ছাড়াও, আরও এমন কয়েক জন আছেন, তাদের ‘সোনার বাদশা’ বললেও কম হবে না। তাদের মধ্যেই এক জন সানি নানা সাহেব ওয়াঘচৌরে। ভারতের পুণেতে জন্ম। স্কুল এবং কলেজজীবন কেটেছে সেখানেই। সানির নাম উঠলেই আর এক জনের নাম উচ্চারিত করতেই হয়। তিনি সানির বন্ধু সঞ্জয় গুজর ওরফে বান্টি। সানি-সঞ্জয়ের যুগলবন্দি ‘দ্য গোল্ডেন গাইজ’ নামে বেশি পরিচিত। এক সাক্ষাৎকারে সানি বলেন, “আমরা দু’জনেই পুণেতে থাকি। আমি এবং বান্টি ছোটবেলা থেকেই বন্ধু। ছোটবেলা থেকে দু’জনেরই সোনার প্রতি অদ্ভুত একটা আকর্ষণ, ভালবাসা। আর সেই শখপূরণ করতেই সোনার গয়না পরা শুরু করি দু’জনে।’’ সানি এবং বান্টি দু’জনে মিলে মোট ১৩ কিলো সোনার গয়না পরেন। সানি জানিয়েছেন, তার সারা গায়ে মোট ৮ কিলো সোনা রয়েছে। অন্য দিকে, বান্টি পড়েন ৫ কিলো সোনার গয়না। সোনার বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ‘গোল্ডেন গাইজ’-এর মোট সোনার দাম সাড়ে ৭ কোটি টাকার বেশি। সাক্ষাৎকারে সানি বলেন, “এত সোনা পরতে দেখে সকলেই অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন, কী ভাবে এত ওজন নিয়ে ঘোরেন? আমি বলেছিলাম, দীর্ঘ দিন ধরে কারও যদি একটা অভ্যাসে পরিণত হয়, তা হলে অসুবিধা হওয়ার কথাই নয়।’’ শুধু সোনার গয়নাই পরেন না সানি, তার মোবাইলের কভারও সোনার। অন্যান্য গ্যাজেটেও সোনার ছোঁয়া রয়েছে। সানি এবং বান্টির যে সব গাড়ি রয়েছে, সেগুলিও সোনার পাতি দিয়ে মোড়ানো। জুতো, ঘড়ি, এমনকি চশমাও সোনা। সানি বলেন, “আমাদের দেখে বহু উৎসুক মানুষ ভিড় জমান। ফলে সব সময়েই সতর্ক থাকতে হয়। নিরাপত্তার জন্য আমাদের দেহরক্ষী রয়েছে।” গোল্ডেন গাইজ-এর কাছে বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল জাগুয়ার এক্সএফ। গাড়ির বাইরের এবং ভিতরের অংশ সোনামিশ্রিত ধাতুতে মোড়ানো রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে অডি কিউ-৭। এই গাড়িটি দু’জনেরই খুব পছন্দের। সানি এবং বান্টির কাছে জাগুয়ার এবং অডি ছাড়াও রয়েছে মার্সিডিজ বেন্জ ই ক্লাস। এ ছাড়াও রয়েছে ল্যান্ড রোভার রেঞ্জ রোভার ভোগ এল৩৩২। যার এক্স শোরুম দাম প্রায় ৩ কোটি টাকা। বলিউড-সহ বহু ছবিতে টাকা বিনিয়োগ করেন (ফিল্ম ফাইনান্সার) সানি এবং বান্টি। ২০১৩ সালে ‘জড়িলা গাজিয়াবাদ’, ‘জয়ন্তভাই কি লভ স্টোরি’ ছবিতেও টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সানি-বান্টি। বহু বলিউড তারকার ঘনিষ্ঠ ‘গোল্ডেন গাইজ’। বিবেক ওবেরয় এবং নেহা শর্মার সঙ্গে সানিকে প্রায়ই দেখা যায়। ‘জড়িলা গাজিয়াবাদ’ ছবিতে সানি অভিনয়ও করেছেন। অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের বিজনেস পার্টনার সানি। বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় রিয়ালিটি শোতে তাদের দু’জনকে দেখা গিয়েছে। ২০১৭ সালে একটি জনপ্রিয় শো-তে ‘গোল্ডেন গাইজ’-কে প্রথম দেখা গিয়েছিল। তার পর সানি-বান্টির নাম বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাদের বেশভূষার জন্য। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ কোটি টাকা। নিজের সমাজমাধ্যম অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েক বার মডেল প্রীতি সোনির সঙ্গে তার ছবি শেয়ার করেছেন সানি। ফলে প্রীতির সঙ্গে সানির সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন চলে। সূত্র: আনন্দবাজার