ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মোটা অঙ্কের বেতনে কাজের প্রলোভনে গাড়াবাড়িয়ার যুবতিকে ওমানে বিক্রি : নির্যাতন দু’লাখ টাকা মুক্তিপণে দেশে ফিরলো আকলিমা : হাসপাতালে ভর্তি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭
  • / ৩১০ বার পড়া হয়েছে

18361209_1296019220506077_806740273_n

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশে উচ্চ বেতনে গৃহপরিচারিকার কাজ দেয়ার কথা বলে নির্যাতন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার যুবতি আকলিমাকে। একই গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে আজির বক্স ও তার মেয়ে আসমা খাতুনের মাধ্যমে ওমান পাড়ি জমায় আকলিমা। সেখানে দীর্ঘ নয় মাস তার ওপর নির্যাতন চালানোর ফলে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে। পরে দালাল আসমার মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে আরও দুই লাখ টাকা দিয়ে দেশে ফেরত নেয়া হয় আকলিমাকে। আকলিমা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাগানপাড়ার মৃত সাদেক আলীর মেয়ে আকলিমা খাতুন (৩০) জানান, স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর থেকে ফরিদপুরে একটি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। ছুটি পেয়ে চুয়াডাঙ্গায় ফিরে আসার পর তাকে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাব করে একই গ্রামের আসমা খাতুন। ওমানে ২৮ হাজার টাকা বেতনে গৃহপরিচারিকার কাজ দিবে বলেও জানায় সে। পরে আসমার হাতে দেড় লাখ টাকা দিয়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্ব^র ওমানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় আকলিমা। ওমানে দালালদের নিজস্ব ব্যারাকে আকলিমাকে তিনদিন রাখার পর ৮০ রিয়াল অর্থাৎ ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। পরে সেখানে তার ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তিনমাস পর তাকে আবার ওই দালালদের ব্যারাকে দেয় ওই ব্যক্তি। এরপর ওমানে দালালদের ওই ব্যারাকে থাকা বাংলাদেশের সিলেট জেলার দেলোয়ার, নারায়নগঞ্জ জেলার রিপন ও কুমিল্লা জেলার জালাল উদ্দীনসহ বেশকয়েকজন আকলিমার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাতো। এরমধ্যেই আকলিমাকে ফেরত পেতে আরও টাকা লাগবে জানিয়ে খবর দেয়া আকলিমার পরিবারে। গত দেড় মাস আগে দালালদের দেয়া ঢাকা আদাবরের ঠিকানায় এসে নগদ দুই লাখ টাকা নিয়ে যায় চুয়াডাঙ্গার আসমা, রিপন ও দেলোয়ার। এরপর আকলিমার পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে গত ৪ মে তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। ৫ মে ঢাকায় নেমে সে বাড়ি ফিরছে বলে মোবাইলফোনে তার পরিবারকে জানায় আকলিমা। পরে পূর্বাশা পরিবহনে রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় ফেরে সে। অত্যাচারের ফলে আকলিমার শারীরিক অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হওয়ায় পরেরদিন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসমাসহ জড়তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে আকলিমার পরিবার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মোটা অঙ্কের বেতনে কাজের প্রলোভনে গাড়াবাড়িয়ার যুবতিকে ওমানে বিক্রি : নির্যাতন দু’লাখ টাকা মুক্তিপণে দেশে ফিরলো আকলিমা : হাসপাতালে ভর্তি

আপলোড টাইম : ০৫:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মে ২০১৭

18361209_1296019220506077_806740273_n

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশে উচ্চ বেতনে গৃহপরিচারিকার কাজ দেয়ার কথা বলে নির্যাতন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার যুবতি আকলিমাকে। একই গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে আজির বক্স ও তার মেয়ে আসমা খাতুনের মাধ্যমে ওমান পাড়ি জমায় আকলিমা। সেখানে দীর্ঘ নয় মাস তার ওপর নির্যাতন চালানোর ফলে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে। পরে দালাল আসমার মাধ্যমে মুক্তিপণ হিসেবে আরও দুই লাখ টাকা দিয়ে দেশে ফেরত নেয়া হয় আকলিমাকে। আকলিমা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া গ্রামের বাগানপাড়ার মৃত সাদেক আলীর মেয়ে আকলিমা খাতুন (৩০) জানান, স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর থেকে ফরিদপুরে একটি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। ছুটি পেয়ে চুয়াডাঙ্গায় ফিরে আসার পর তাকে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাব করে একই গ্রামের আসমা খাতুন। ওমানে ২৮ হাজার টাকা বেতনে গৃহপরিচারিকার কাজ দিবে বলেও জানায় সে। পরে আসমার হাতে দেড় লাখ টাকা দিয়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্ব^র ওমানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় আকলিমা। ওমানে দালালদের নিজস্ব ব্যারাকে আকলিমাকে তিনদিন রাখার পর ৮০ রিয়াল অর্থাৎ ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। পরে সেখানে তার ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের একপর্যায়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তিনমাস পর তাকে আবার ওই দালালদের ব্যারাকে দেয় ওই ব্যক্তি। এরপর ওমানে দালালদের ওই ব্যারাকে থাকা বাংলাদেশের সিলেট জেলার দেলোয়ার, নারায়নগঞ্জ জেলার রিপন ও কুমিল্লা জেলার জালাল উদ্দীনসহ বেশকয়েকজন আকলিমার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাতো। এরমধ্যেই আকলিমাকে ফেরত পেতে আরও টাকা লাগবে জানিয়ে খবর দেয়া আকলিমার পরিবারে। গত দেড় মাস আগে দালালদের দেয়া ঢাকা আদাবরের ঠিকানায় এসে নগদ দুই লাখ টাকা নিয়ে যায় চুয়াডাঙ্গার আসমা, রিপন ও দেলোয়ার। এরপর আকলিমার পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে গত ৪ মে তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। ৫ মে ঢাকায় নেমে সে বাড়ি ফিরছে বলে মোবাইলফোনে তার পরিবারকে জানায় আকলিমা। পরে পূর্বাশা পরিবহনে রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় ফেরে সে। অত্যাচারের ফলে আকলিমার শারীরিক অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হওয়ায় পরেরদিন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসমাসহ জড়তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে আকলিমার পরিবার।