ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

উথলীতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ তুলে মায়ের সংবাদ সম্মেলন
প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
জীবননগর উপজেলার উথলীতে গৃহবধূ হত্যার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত গৃহবধূর পিতা-মাতা। গতকাল রোববার বিকেল চারটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নিহত গৃহবধূ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গবরগাড়া গ্রামের জহরুল ইসলামের কন্যা।
নিহত গৃহবধূর মা আছমা বেগম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গবরগাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে শর্মিলা আক্তার উর্মির ৯ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের রশিদ ওরফে ডেঙ্গরের ছেলে জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়ার সাথে। বিয়ের কিছুদিন পরই জিয়া মালয়েশিয়াতে চলে যায়। তিন মাস পূর্বে জিয়া দেশে আসে। দেশে আসার পর থেকেই জিয়া তার স্ত্রী উর্মিকে বিভিন্নভাবে আত্মহত্যার প্ররোচণা দেওয়ার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। গত ২৭ শে আগস্ট সকালে জিয়া তার পরিবারের লোকজন পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক উর্মিকে ঘরের মধ্য আটকিয়ে শারীরিক নির্যাতন শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য উর্মির লাশ ঘরের ফ্যানের সাথে গামছা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে ও আত্মহত্যার নাটক সাজায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মেয়ে উর্মির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে মামলা না নিয়ে অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করে মেয়ের লাশ ময়নাতদন্ত করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ইং তারিখে চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ আমলি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- নিহত উর্মির স্বামী জিয়াউর রহমান, দেবর সামসুল, দেবরের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন, শাশুড়ী ছালেহা বেগম ও উথলী গ্রামের মৃত মহাসিন আলীর ছেলে আনিসুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে নিহত উর্মির মা আছমা বেগম তাঁর মেয়ে হত্যার সুষ্টু তদন্তপূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত উর্মির পিতা জহুরুল ইসলাম, মামা আলমসহ পরিবারের সদস্যরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

আপলোড টাইম : ০৮:৪৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

উথলীতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ তুলে মায়ের সংবাদ সম্মেলন
প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
জীবননগর উপজেলার উথলীতে গৃহবধূ হত্যার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত গৃহবধূর পিতা-মাতা। গতকাল রোববার বিকেল চারটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরের হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নিহত গৃহবধূ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গবরগাড়া গ্রামের জহরুল ইসলামের কন্যা।
নিহত গৃহবধূর মা আছমা বেগম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গবরগাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে শর্মিলা আক্তার উর্মির ৯ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের রশিদ ওরফে ডেঙ্গরের ছেলে জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়ার সাথে। বিয়ের কিছুদিন পরই জিয়া মালয়েশিয়াতে চলে যায়। তিন মাস পূর্বে জিয়া দেশে আসে। দেশে আসার পর থেকেই জিয়া তার স্ত্রী উর্মিকে বিভিন্নভাবে আত্মহত্যার প্ররোচণা দেওয়ার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। গত ২৭ শে আগস্ট সকালে জিয়া তার পরিবারের লোকজন পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক উর্মিকে ঘরের মধ্য আটকিয়ে শারীরিক নির্যাতন শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য উর্মির লাশ ঘরের ফ্যানের সাথে গামছা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে ও আত্মহত্যার নাটক সাজায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মেয়ে উর্মির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে মামলা না নিয়ে অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করে মেয়ের লাশ ময়নাতদন্ত করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ইং তারিখে চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ আমলি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- নিহত উর্মির স্বামী জিয়াউর রহমান, দেবর সামসুল, দেবরের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন, শাশুড়ী ছালেহা বেগম ও উথলী গ্রামের মৃত মহাসিন আলীর ছেলে আনিসুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে নিহত উর্মির মা আছমা বেগম তাঁর মেয়ে হত্যার সুষ্টু তদন্তপূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত উর্মির পিতা জহুরুল ইসলাম, মামা আলমসহ পরিবারের সদস্যরা।