ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুর পৌর নির্বাচনে দায়িত্বরত ৫৮ পুলিশ-আনসারের শাস্তি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৪:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০১৭
  • / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে

দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদেরই : ইসির তদন্ত প্রতিবেদন
মেহেরপুর পৌর নির্বাচনে দায়িত্বরত ৫৮ পুলিশ-আনসারের শাস্তি
সমীকরণ ডেস্ক: মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্র দখল করে জালভোট দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫৮ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে দুই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি একটি পত্রে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছেন উপ সচিব হাবিব মো. হালিমুজ্জামান। মেহেরপুর জেলার মেহেরপুর পৌরসভায় গত ২৫ এপ্রিল ভোট হয়। ভোটের আগে রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় দেড় হাজার ব্যালটে সিল দিয়ে বাক্সে ফেলার অভিযোগে মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদেরই দায়ী করা হয়েছে ইসির তদন্ত প্রতিবেদনে।
৬ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব হাবিব মো. হালিমুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে কমিশনের চিঠির বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘গত ২৫ এপ্রিল, ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত মেহেরপুর পৌরসভার বন্ধঘোষিত ২টি ভোটকেন্দ্রের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে, যেহেতু নির্বাচনকালীন নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যগণ নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিকট ন্যস্ত ছিল এবং তাদের উপর অর্পিত কর্তব্যে চরমতম অবহেলা প্রদর্শন করেছেন, সেহেতু উক্ত আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী গত ২৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখ মেহেরপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে বন্ধঘোষিত ভোটকেন্দ্র ০২ (দুই) টিতে মোতায়েতকৃত পুলিশ সুপার কর্তৃক প্রেরিত তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সকল পুলিশ সদস্যগণের এবং সংশ্লিষ্ট আনসার-ভিডিপি কার্যালয় হতে আনসার সদস্যগণের তালিকা সংগ্রহপূর্বক তাদের সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১ এর ৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে চাকুরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টকে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত বা বাধ্যতামূলক অবসর বা পদানবতি বা তার বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতি দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখতে পারবে। ইসি সূত্র জানায়, মেহেরপুর জেলার মেহেরপুর পৌরসভায় ২৫ এপ্রিল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান (রিটন)। কেন্দ্র দখল ও জোর করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেওয়ার অভিযোগ এনে ওই নির্বাচন বয়কট করেন বিএনপির প্রার্থী ও পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। ওই নির্বাচনের দিন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটগ্রহণ চলাকালে সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের মেহেরপুর-১ (পুরুষ) এবং একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থিত মেহেরপুর-২ (মহিলা) কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়। অর্থাৎ ওই দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
অভিযোগ ছিল, ভোটের আগের রাতে ওই কেন্দ্র দুটিতে ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়। এতে ওই দুই কেন্দ্রের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে ‘কর্তব্য পালনে চরমতম অবহেলা প্রদর্শনের’ প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। ইসির নির্বাচন পরিচালনা-২ শাখার উপসচিব মো. নুরুজ্জামান তালুকদার স্বাক্ষরিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ১৮ জুন পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘দুই কেন্দ্রে এত বিপুল সংখ্যক ফোর্সের উপস্থিতিতে বহিরাগতরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং জোরপূর্বক সিল মারার ঘটনায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা কর্তব্যে চরমতম অবহেলা প্রদর্শন করেছেন।’
এতে বলা হয়, ‘যেহেতু নির্বাচনকালীন নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১ অনুযায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিকট ন্যস্ত ছিল এবং তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব চরমতম অবহেলা প্রদর্শন করেছেন, সেহেতু উক্ত আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী ২৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখ মেহেরপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনে বন্ধ ঘোষিত ভোটকেন্দ্র দুটিতে মোতায়েনকৃত পুলিশ সুপার কর্তৃক প্রেরিত তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সকল পুলিশ সদস্যদের এবং সংশ্লিষ্ট আনসার-ভিডিপি কার্যালয় হতে আনসার সদস্যদের তালিকা সংগ্রহ পূর্বক তাদের সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।’
মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মেহেরপুর-১ কেন্দ্রে একজন এসআই, তিনজন এএসআইসহ ১৪ জন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য, লাঠিসহ ১৫ জন আনসার (মহিলা-৮ জন, পুরুষ-৭ জন) সব মিলিয়ে ওই কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন ২৯জন। একইহারে মেহেরপুর-২ কেন্দ্রেও একজন এসআই, তিনজন এএসআইসহ ১৪ জন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য, ১৫ জন লাঠিসহ আনসার (মহিলা-৮ জন, পুরুষ-৭ জন) সদস্যসহ মোট ২৯ জন দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৯১ সালের বিশেষ বিধানের এ ধারায় চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় এসব সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত থেকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অপসারণের সর্বোচ্চ শাস্তি রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মেহেরপুর পৌর নির্বাচনে দায়িত্বরত ৫৮ পুলিশ-আনসারের শাস্তি

আপলোড টাইম : ০৪:৫৪:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০১৭

দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদেরই : ইসির তদন্ত প্রতিবেদন
মেহেরপুর পৌর নির্বাচনে দায়িত্বরত ৫৮ পুলিশ-আনসারের শাস্তি
সমীকরণ ডেস্ক: মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্র দখল করে জালভোট দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫৮ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে দুই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি একটি পত্রে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছেন উপ সচিব হাবিব মো. হালিমুজ্জামান। মেহেরপুর জেলার মেহেরপুর পৌরসভায় গত ২৫ এপ্রিল ভোট হয়। ভোটের আগে রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় দেড় হাজার ব্যালটে সিল দিয়ে বাক্সে ফেলার অভিযোগে মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্যে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদেরই দায়ী করা হয়েছে ইসির তদন্ত প্রতিবেদনে।
৬ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব হাবিব মো. হালিমুজ্জামান স্বাক্ষরিত চিঠিতে কমিশনের চিঠির বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘গত ২৫ এপ্রিল, ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত মেহেরপুর পৌরসভার বন্ধঘোষিত ২টি ভোটকেন্দ্রের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে, যেহেতু নির্বাচনকালীন নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যগণ নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিকট ন্যস্ত ছিল এবং তাদের উপর অর্পিত কর্তব্যে চরমতম অবহেলা প্রদর্শন করেছেন, সেহেতু উক্ত আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী গত ২৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখ মেহেরপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে বন্ধঘোষিত ভোটকেন্দ্র ০২ (দুই) টিতে মোতায়েতকৃত পুলিশ সুপার কর্তৃক প্রেরিত তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সকল পুলিশ সদস্যগণের এবং সংশ্লিষ্ট আনসার-ভিডিপি কার্যালয় হতে আনসার সদস্যগণের তালিকা সংগ্রহপূর্বক তাদের সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১ এর ৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে চাকুরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টকে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত বা বাধ্যতামূলক অবসর বা পদানবতি বা তার বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতি দুই বছরের জন্য স্থগিত রাখতে পারবে। ইসি সূত্র জানায়, মেহেরপুর জেলার মেহেরপুর পৌরসভায় ২৫ এপ্রিল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান (রিটন)। কেন্দ্র দখল ও জোর করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেওয়ার অভিযোগ এনে ওই নির্বাচন বয়কট করেন বিএনপির প্রার্থী ও পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। ওই নির্বাচনের দিন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটগ্রহণ চলাকালে সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের মেহেরপুর-১ (পুরুষ) এবং একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থিত মেহেরপুর-২ (মহিলা) কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়। অর্থাৎ ওই দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
অভিযোগ ছিল, ভোটের আগের রাতে ওই কেন্দ্র দুটিতে ব্যালটে সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হয়। এতে ওই দুই কেন্দ্রের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে ‘কর্তব্য পালনে চরমতম অবহেলা প্রদর্শনের’ প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। ইসির নির্বাচন পরিচালনা-২ শাখার উপসচিব মো. নুরুজ্জামান তালুকদার স্বাক্ষরিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ১৮ জুন পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘দুই কেন্দ্রে এত বিপুল সংখ্যক ফোর্সের উপস্থিতিতে বহিরাগতরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং জোরপূর্বক সিল মারার ঘটনায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা কর্তব্যে চরমতম অবহেলা প্রদর্শন করেছেন।’
এতে বলা হয়, ‘যেহেতু নির্বাচনকালীন নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১ অনুযায়ী নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিকট ন্যস্ত ছিল এবং তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব চরমতম অবহেলা প্রদর্শন করেছেন, সেহেতু উক্ত আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী ২৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখ মেহেরপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনে বন্ধ ঘোষিত ভোটকেন্দ্র দুটিতে মোতায়েনকৃত পুলিশ সুপার কর্তৃক প্রেরিত তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সকল পুলিশ সদস্যদের এবং সংশ্লিষ্ট আনসার-ভিডিপি কার্যালয় হতে আনসার সদস্যদের তালিকা সংগ্রহ পূর্বক তাদের সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।’
মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মেহেরপুর-১ কেন্দ্রে একজন এসআই, তিনজন এএসআইসহ ১৪ জন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য, লাঠিসহ ১৫ জন আনসার (মহিলা-৮ জন, পুরুষ-৭ জন) সব মিলিয়ে ওই কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন ২৯জন। একইহারে মেহেরপুর-২ কেন্দ্রেও একজন এসআই, তিনজন এএসআইসহ ১৪ জন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য, ১৫ জন লাঠিসহ আনসার (মহিলা-৮ জন, পুরুষ-৭ জন) সদস্যসহ মোট ২৯ জন দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৯১ সালের বিশেষ বিধানের এ ধারায় চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় এসব সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত থেকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা অপসারণের সর্বোচ্চ শাস্তি রয়েছে।