ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে যুবলীগ সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১০০ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মিথ্যা হয়রানি ও চাঁদাবাজির প্রতিকার চেয়ে বামুন্দী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মকবুল হোসেন, আরওয়ান মোস্তফা আহম্মেদসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন মেহেরপুর তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান। তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনিক সাহায্য চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল সোমবার বেলা একটায় মেহেরপুর রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হান্নান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘বামুন্দী ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মকবুল হোসেন, আরওয়ান মোস্তফা আহম্মেদসহ আরও কয়েকজন প্রশাসনিক সদস্য মিলে ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে মফিজুলের চায়ের দোকান থেকে আমাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এসময় কিছু দূর মাইক্রো করে নিয়ে যেয়ে আমাকে খোলা মাঠের মধ্যে চোখ বেঁধে নামায়। চোখ বাঁধা অবস্থায় আমাকে বেধড়ক মারপিট করে আরওয়ান মোস্তফা আহম্মেদ। এসময় আমার কাছে থাকা ব্যবসার ৮৩ হাজার টাকা এসআই মকবুল ছিনিয়ে নেন এবং আরও ১২ লাখ টাকা দাবি করে। আমি দিতে অপারগতা জানালে আরওয়ান মোস্তফা আহম্মেদ আমাকে গুলি করে মেরে ফেলতে চায়। কিন্তু এসময় আরওয়ান মোস্তফার মোবাইলে একটি ফোন আসে। তিনি মোবাইলে কথা বলেন। তারপর ফোনটি আমাকে দেয়। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে আমার কাছে রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চায়। আমি যুবলীগের পরিচয় দেওয়ার পর ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলে বেঁচে গেলি এখন জেলে যা। এরপর ওই রাতে আমাকে থানায় হস্তান্তর করে। আমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে আরওয়ান মোস্তফা আমার পরিবারের কাছে থেকে ৫ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু তারা আমাকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় চালান করে। যার মামলা নম্বর মেহেরপুর জিআর ৩১৮/১৮, ৩১৯/১৮। আমি দীর্ঘদিন কারা ভোগের পর জেল থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উচ্চমহলে আবেদন করি। সেই সঙ্গে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে এসআই মকবুল হোসেন, আর ওয়ান মোস্তফা আহম্মেদসহ কয়েকজনকে আসামী করে মেহেরপুর কোর্টে সি আর মামলা করি। যার মামলা নং- ২০৭/১৯। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন। আমি এ মামলা করার পর থেকে এসআই মকবুল হোসেন, আর ওয়ান মোস্তফা আহম্মেদ আমাকে বিভিন্নভাবে ভয় ভিত্তি প্রদর্শন করছে। তারা আমাকে নতুন নতুন মামলায় ফাসিয়ে দিচ্ছে। সর্বশেষ গত ২ ডিসেম্বর আমাকে একটি জিআর মামলার আসামী করা হয়েছে। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উচ্চ মহলের কাছে সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মেহেরপুরে যুবলীগ সম্পাদকের সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৯:০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মিথ্যা হয়রানি ও চাঁদাবাজির প্রতিকার চেয়ে বামুন্দী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মকবুল হোসেন, আরওয়ান মোস্তফা আহম্মেদসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন মেহেরপুর তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান। তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনিক সাহায্য চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল সোমবার বেলা একটায় মেহেরপুর রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হান্নান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘বামুন্দী ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মকবুল হোসেন, আরওয়ান মোস্তফা আহম্মেদসহ আরও কয়েকজন প্রশাসনিক সদস্য মিলে ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে মফিজুলের চায়ের দোকান থেকে আমাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এসময় কিছু দূর মাইক্রো করে নিয়ে যেয়ে আমাকে খোলা মাঠের মধ্যে চোখ বেঁধে নামায়। চোখ বাঁধা অবস্থায় আমাকে বেধড়ক মারপিট করে আরওয়ান মোস্তফা আহম্মেদ। এসময় আমার কাছে থাকা ব্যবসার ৮৩ হাজার টাকা এসআই মকবুল ছিনিয়ে নেন এবং আরও ১২ লাখ টাকা দাবি করে। আমি দিতে অপারগতা জানালে আরওয়ান মোস্তফা আহম্মেদ আমাকে গুলি করে মেরে ফেলতে চায়। কিন্তু এসময় আরওয়ান মোস্তফার মোবাইলে একটি ফোন আসে। তিনি মোবাইলে কথা বলেন। তারপর ফোনটি আমাকে দেয়। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে আমার কাছে রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চায়। আমি যুবলীগের পরিচয় দেওয়ার পর ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলে বেঁচে গেলি এখন জেলে যা। এরপর ওই রাতে আমাকে থানায় হস্তান্তর করে। আমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে আরওয়ান মোস্তফা আমার পরিবারের কাছে থেকে ৫ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু তারা আমাকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় চালান করে। যার মামলা নম্বর মেহেরপুর জিআর ৩১৮/১৮, ৩১৯/১৮। আমি দীর্ঘদিন কারা ভোগের পর জেল থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার মাধ্যমে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উচ্চমহলে আবেদন করি। সেই সঙ্গে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে এসআই মকবুল হোসেন, আর ওয়ান মোস্তফা আহম্মেদসহ কয়েকজনকে আসামী করে মেহেরপুর কোর্টে সি আর মামলা করি। যার মামলা নং- ২০৭/১৯। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন। আমি এ মামলা করার পর থেকে এসআই মকবুল হোসেন, আর ওয়ান মোস্তফা আহম্মেদ আমাকে বিভিন্নভাবে ভয় ভিত্তি প্রদর্শন করছে। তারা আমাকে নতুন নতুন মামলায় ফাসিয়ে দিচ্ছে। সর্বশেষ গত ২ ডিসেম্বর আমাকে একটি জিআর মামলার আসামী করা হয়েছে। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উচ্চ মহলের কাছে সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’