ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে ক্লাস ফাঁকি দিতে মাদ্রাসাছাত্রের ছেলেধরার গল্প

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৯:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯
  • / ২১২ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর অফিস:
মাদ্রাসার ক্লাস ফাঁকি দেওয়া এক ছাত্র ছেলেধরা গল্প বানিয়ে ফেঁসে গেছে। গতকাল রোববার সকালের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার ময়ামারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আর এ গল্পের নায়ক ময়ামারী গ্রামের উজ্জ¦ল হোসেনের ছেলে শরিফ। সে আমঝুপি মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। মাদ্রাসার শিক্ষক আলমগীর হোসেন জানান, মাদ্রাসার অনিয়মিত ছাত্র শরিফ। চার-পাঁচ দিন তাকে ক্লাসে পাওয়া যায়নি। জানা যায়, গতকাল সকালে শরিফ মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পথের মধ্যে সে ব্লেড দিয়ে তার হাতে হালকাভাবে আঁচড় দেয়। পরে এক মোটরসাইকেলচালক তাকে রাস্তা থেকে অপহরণ করার চেষ্টা করে বলে সে তার এক ফুফুকে জানায়। এ দিকে মুহূর্তের মধ্যে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। পরে শরিফকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে শরিফের সঙ্গে কথা বলার সময় তার কথাবার্তা ও আচরণ এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কথা শুনে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ শরিফকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ক্লাস ফাঁকি দিতে সে এ গল্প সাজায় বলে জানায়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ মুচলেকা নিয়ে শরিফকে তার পিতা-মাতার হাতে তুলে দেয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মেহেরপুরে ক্লাস ফাঁকি দিতে মাদ্রাসাছাত্রের ছেলেধরার গল্প

আপলোড টাইম : ১০:২৯:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০১৯

মেহেরপুর অফিস:
মাদ্রাসার ক্লাস ফাঁকি দেওয়া এক ছাত্র ছেলেধরা গল্প বানিয়ে ফেঁসে গেছে। গতকাল রোববার সকালের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার ময়ামারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আর এ গল্পের নায়ক ময়ামারী গ্রামের উজ্জ¦ল হোসেনের ছেলে শরিফ। সে আমঝুপি মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। মাদ্রাসার শিক্ষক আলমগীর হোসেন জানান, মাদ্রাসার অনিয়মিত ছাত্র শরিফ। চার-পাঁচ দিন তাকে ক্লাসে পাওয়া যায়নি। জানা যায়, গতকাল সকালে শরিফ মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। পথের মধ্যে সে ব্লেড দিয়ে তার হাতে হালকাভাবে আঁচড় দেয়। পরে এক মোটরসাইকেলচালক তাকে রাস্তা থেকে অপহরণ করার চেষ্টা করে বলে সে তার এক ফুফুকে জানায়। এ দিকে মুহূর্তের মধ্যে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। পরে শরিফকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে শরিফের সঙ্গে কথা বলার সময় তার কথাবার্তা ও আচরণ এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কথা শুনে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ শরিফকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ক্লাস ফাঁকি দিতে সে এ গল্প সাজায় বলে জানায়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ মুচলেকা নিয়ে শরিফকে তার পিতা-মাতার হাতে তুলে দেয়।