ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মেরামতের অভাবে সড়কের বেহালদশায় ঘটছে দূর্ঘটনা : ঝরছে তাজা প্রাণ : নির্বিকার কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জনদূর্ভোগ চরমে : চুয়াডাঙ্গার ৩ হাজার কিঃমিঃ সড়কের ৪০ ভাগই চলাচল অযোগ্য : প্রতিকার জরুরী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০১৭
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে

এম এ মামুন: চুয়াডাঙ্গায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের পাঁচটি আঞ্চলিক মহাসড়কসহ প্রায় তিন হাজার কিঃ মিঃ সড়কের চল্লিশ ভাগেরই বেহালদশা।
এসব ক্ষতিগ্রস্থ সড়কে যান চলাচলে প্রায়শঃই ঘটছে দূর্ঘটনা, ঝরছে তাজা প্রাণ। সেইসাথে বেড়েছে চরম জনদূর্ভোগ। ভুক্তভোগী জেলাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগসহ দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামতের দাবী জানিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার জানান, জেলার পাঁচটি আঞ্চলিক মহা-সড়কসহ ১৪৫ কিঃ মিঃ পাকা সড়কের মধ্যে ৩০ ভাগ সড়ক নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে গত কয়েক বছরে এবং সম্প্রতি বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়কের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা জেলা সদরের পৌর এলাকাধীন  ৫কিলোমিটার সড়ক। যা মেরামত করা খুবই জরুরী।
তবে চুয়াডাঙ্গা শহরের এই ৫ কিঃ মিঃ সড়ক ঝিনাইদহ-মুজিবনগর সমন্বিত প্রকল্পের অধীনে হওয়ায় এর মেরামত কাজ এখনই সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পুরো প্রকল্পের কাজের সাথে শহরের ৫ কিঃ মিঃ সড়কের মেরামত কাজ শুরু হবে। কিন্তু ঠিক কবে নাগাদ শুরু হবে এই সড়ক মেরামত কাজ- এর কোন তথ্য তিনি দিতে পারেননি।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের- এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, গোটা জেলায় আঞ্চলিক ফিডার সড়কসহ এলজিইডি’র প্রায় ৩ হাজার কিঃ মিঃ সড়ক রয়েছে। এসব সড়কের  মধ্যে প্রায় অর্ধেকই কাঁচা এবং এর চল্লিশ ভাগই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এলজিইডির হিসাবে জেলায় গ্রামপর্যায় পর্যন্ত এসব সড়কের মধ্যে রয়েছে পাকা ১ হাজার ২শ’৪২ কিঃ মিঃ, কাঁচা  ১ হাজার ৬শ’ ১৬ কিঃ মিঃ ও আধাপাকা (হেরিং) ২শ’৩ কিঃ মিঃ।
সরেজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রধান প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও বাজার সংলগ্ন প্রায় ২ হাজার কিঃ মিঃ কাঁচা ও পাকা সড়কের মেরামত কাজ দীর্ঘদিনেও না হওয়ায় বর্ষার এই সময় সড়কগুলিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি এবং সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁচা সড়কগুলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে যানবাহনসহ জনসাধারণের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এলাকার ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সময়মত সড়কের মেরামতে নজরদারী না থাকায় সড়কের এই বেহাল দশার কারণ। সচেতন মহলের আরো অভিযোগ সড়কের বেহালদশার কারণেও অহরহই ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা, অকালে ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ১৩ কোটি টাকার সড়ক মেরামত কাজ সম্পন্ন করেছে। ২০১৬-১৭ সালের বাজেট বরাদ্দ পেলে ভাঙ্গা ও ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের কাজ শুরু হবে।
জনসাধারণের দাবী অবিলম্বে জেলার ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের মেরামত করে জনগণের দূর্ভোগ লাঘবে এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হোক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মেরামতের অভাবে সড়কের বেহালদশায় ঘটছে দূর্ঘটনা : ঝরছে তাজা প্রাণ : নির্বিকার কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জনদূর্ভোগ চরমে : চুয়াডাঙ্গার ৩ হাজার কিঃমিঃ সড়কের ৪০ ভাগই চলাচল অযোগ্য : প্রতিকার জরুরী

আপলোড টাইম : ০৫:১৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০১৭

এম এ মামুন: চুয়াডাঙ্গায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের পাঁচটি আঞ্চলিক মহাসড়কসহ প্রায় তিন হাজার কিঃ মিঃ সড়কের চল্লিশ ভাগেরই বেহালদশা।
এসব ক্ষতিগ্রস্থ সড়কে যান চলাচলে প্রায়শঃই ঘটছে দূর্ঘটনা, ঝরছে তাজা প্রাণ। সেইসাথে বেড়েছে চরম জনদূর্ভোগ। ভুক্তভোগী জেলাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগসহ দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামতের দাবী জানিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার জানান, জেলার পাঁচটি আঞ্চলিক মহা-সড়কসহ ১৪৫ কিঃ মিঃ পাকা সড়কের মধ্যে ৩০ ভাগ সড়ক নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে গত কয়েক বছরে এবং সম্প্রতি বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়কের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা জেলা সদরের পৌর এলাকাধীন  ৫কিলোমিটার সড়ক। যা মেরামত করা খুবই জরুরী।
তবে চুয়াডাঙ্গা শহরের এই ৫ কিঃ মিঃ সড়ক ঝিনাইদহ-মুজিবনগর সমন্বিত প্রকল্পের অধীনে হওয়ায় এর মেরামত কাজ এখনই সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পুরো প্রকল্পের কাজের সাথে শহরের ৫ কিঃ মিঃ সড়কের মেরামত কাজ শুরু হবে। কিন্তু ঠিক কবে নাগাদ শুরু হবে এই সড়ক মেরামত কাজ- এর কোন তথ্য তিনি দিতে পারেননি।
অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের- এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম জানান, গোটা জেলায় আঞ্চলিক ফিডার সড়কসহ এলজিইডি’র প্রায় ৩ হাজার কিঃ মিঃ সড়ক রয়েছে। এসব সড়কের  মধ্যে প্রায় অর্ধেকই কাঁচা এবং এর চল্লিশ ভাগই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এলজিইডির হিসাবে জেলায় গ্রামপর্যায় পর্যন্ত এসব সড়কের মধ্যে রয়েছে পাকা ১ হাজার ২শ’৪২ কিঃ মিঃ, কাঁচা  ১ হাজার ৬শ’ ১৬ কিঃ মিঃ ও আধাপাকা (হেরিং) ২শ’৩ কিঃ মিঃ।
সরেজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রধান প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও বাজার সংলগ্ন প্রায় ২ হাজার কিঃ মিঃ কাঁচা ও পাকা সড়কের মেরামত কাজ দীর্ঘদিনেও না হওয়ায় বর্ষার এই সময় সড়কগুলিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি এবং সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁচা সড়কগুলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে যানবাহনসহ জনসাধারণের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এলাকার ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সময়মত সড়কের মেরামতে নজরদারী না থাকায় সড়কের এই বেহাল দশার কারণ। সচেতন মহলের আরো অভিযোগ সড়কের বেহালদশার কারণেও অহরহই ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা, অকালে ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ১৩ কোটি টাকার সড়ক মেরামত কাজ সম্পন্ন করেছে। ২০১৬-১৭ সালের বাজেট বরাদ্দ পেলে ভাঙ্গা ও ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের কাজ শুরু হবে।
জনসাধারণের দাবী অবিলম্বে জেলার ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের মেরামত করে জনগণের দূর্ভোগ লাঘবে এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হোক।