ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মৃত্যু যেন হয় মুসলমান হিসেবে

ধর্ম প্রতিবেদন:
  • আপলোড টাইম : ১১:৩০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ কোনে মুমিনের কাম্য হওয়া উচিত নয়। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তাঁর নির্দেশিত পথে চলার জন্য। কিন্তু শয়তান মানুষকে সব সময় বিপথে পরিচালিত করার জন্য সচেষ্ট। তার প্ররোচনায় মানুষ ভুল পথে চলে। এ থেকে দূরে থাকা ও সঠিক পথে চলা মানুষের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। সুরা আলে ইমরানের ১০২ ও ১০৩ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহকে (এরূপ) ভয় কর যেরূপ ভয় করা উচিত এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ কোর না এবং তোমরা আল্লাহর রজ্জু (দীনকে) দৃঢ়ভাবে ধারণা কর এমনিভাবে যে তোমরা পরস্পর একতাবদ্ধ থাক এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইও না। আর তোমরা সেই নিয়ামতের কথা স্মরণ কর যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন।’ আল্লাহকে ভয় করা অর্থাৎ তাঁর নির্দেশিত পথে চলা এবং তাঁর অপছন্দনীয় কাজকর্ম থেকে দূরে থাকা। এমন সব বিষয় থেকে দূরে থাকা, যা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের পছন্দ নয়। এখানে আল্লাহর রজ্জু বলতে কোরআনকে বোঝানো হয়েছে।

প্রথমত, আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত জীবনব্যবস্থা কোরআনকে কাজে-কর্মে বাস্তবায়ন করা প্রতিটি মানুষের জন্য অবশ্য কর্তব্য। দ্বিতীয়ত, একে সবাই মিলে শক্তভাবে ধারণ করা যাতে মুসলিম সম্প্রদায়ের সুশৃঙ্খল ঐক্য বন্ধন স্বাভাবিকভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। অর্থাৎ আল্লাহর নির্দেশনাকে যাপিত জীবনে মূলনীতি হিসেবে আঁকড়ে ধরে একতাবদ্ধ থাকা। আল্লাহ মানুষকে হেদায়েত করতে পৃথিবীতে রসুল (সা.)-কে পাঠিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মৃত্যু যেন হয় মুসলমান হিসেবে

আপলোড টাইম : ১১:৩০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১

মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ কোনে মুমিনের কাম্য হওয়া উচিত নয়। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। তাঁর নির্দেশিত পথে চলার জন্য। কিন্তু শয়তান মানুষকে সব সময় বিপথে পরিচালিত করার জন্য সচেষ্ট। তার প্ররোচনায় মানুষ ভুল পথে চলে। এ থেকে দূরে থাকা ও সঠিক পথে চলা মানুষের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। সুরা আলে ইমরানের ১০২ ও ১০৩ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহকে (এরূপ) ভয় কর যেরূপ ভয় করা উচিত এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ কোর না এবং তোমরা আল্লাহর রজ্জু (দীনকে) দৃঢ়ভাবে ধারণা কর এমনিভাবে যে তোমরা পরস্পর একতাবদ্ধ থাক এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইও না। আর তোমরা সেই নিয়ামতের কথা স্মরণ কর যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন।’ আল্লাহকে ভয় করা অর্থাৎ তাঁর নির্দেশিত পথে চলা এবং তাঁর অপছন্দনীয় কাজকর্ম থেকে দূরে থাকা। এমন সব বিষয় থেকে দূরে থাকা, যা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের পছন্দ নয়। এখানে আল্লাহর রজ্জু বলতে কোরআনকে বোঝানো হয়েছে।

প্রথমত, আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত জীবনব্যবস্থা কোরআনকে কাজে-কর্মে বাস্তবায়ন করা প্রতিটি মানুষের জন্য অবশ্য কর্তব্য। দ্বিতীয়ত, একে সবাই মিলে শক্তভাবে ধারণ করা যাতে মুসলিম সম্প্রদায়ের সুশৃঙ্খল ঐক্য বন্ধন স্বাভাবিকভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। অর্থাৎ আল্লাহর নির্দেশনাকে যাপিত জীবনে মূলনীতি হিসেবে আঁকড়ে ধরে একতাবদ্ধ থাকা। আল্লাহ মানুষকে হেদায়েত করতে পৃথিবীতে রসুল (সা.)-কে পাঠিয়েছেন।