ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুমিন অনর্থক কাজ করতে পারে না

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৪০ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন:
আল্লাহ তায়ালা আমাদের মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করে বিবেক, বুদ্ধি, ডান, বাম, ওপর, নিচ, উত্তর, দক্ষিণসহ সবকিছু বোঝার অপরিমেয় শক্তি দিয়েছেন; যা কোনো প্রাণীর বেলায় নেই। সেই বিবেকবান, বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে উদ্দেশ করে আল্লাহ তায়ালা কোরানে কারিমে বলেছেন, ‘তোমরাই সর্বোত্তম জাতি, তোমাদের বাছাই করা হয়েছে মানবজাতির মধ্য থেকে মানুষের কল্যাণের জন্য।’ -সূরা আল ইমরান। মানুষের এমন বিশেষত্বের কথা জানার পরও দিকভ্রান্ত, উদ্ভট, বিবেকহীন, কাণ্ডজ্ঞানহীনের মতো নিকৃষ্ট কাজ আমরা করছি, যা মুসলিম জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাকর বিষয়। কোনো ইমানদার, মুমিন কখনো অনর্থক কাজ ও কথা বলতে পারেন না, এমন কি সমর্থনও করতে পারেন না। কারণ মুসলমানদের তো আদর্শ হলেভ হজরত মুহম্মদ (সা.)। তিনি জীবনে এমন কাজ করেননি। এ বিষয়ে হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) অযথা কোনো কথা বলতেন না, হয় উপকারী কিছু বলতেন, না হয় চুপ থাকতেন।’ অন্য আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, যার সারমর্ম হলো, ‘মানুষ স্বাস্থ্য ও অবসরের ব্যাপারে গাফিলতি করে।’ -সহিহ বোখারি। আমরা মুসলমান। আমরা ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা ও শেষ নবী হজরত মুহম্মদের (সা.) উম্মত। আমরা সেই নবীর উত্তরসূরি, যাকে আল্লাহতায়ালা গোটা বিশ্ব সম্প্রদায়কে শুধরে দেয়ার দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরানে কারিমে বলেছেন, ‘তিনি সেই আল্লাহ, যিনি তোমাদের মধ্যে হতে একজন রাসুলকে (সা.) বেছে নিয়েছেন, যিনি তোমাদের নিকট তার নির্দেশনাবলি পাঠ করে শোনান ও তাদের নির্মল করেন এবং গ্রন্থ, বিজ্ঞান শিক্ষা দেন। নিশ্চয়ই এর পূর্বে তারা প্রকাশ্যে বিভ্রান্তির মধ্যে ছিল।’-সূরা আল বাকারা: ১৫২

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মুমিন অনর্থক কাজ করতে পারে না

আপলোড টাইম : ০৯:০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০

ধর্ম প্রতিবেদন:
আল্লাহ তায়ালা আমাদের মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করে বিবেক, বুদ্ধি, ডান, বাম, ওপর, নিচ, উত্তর, দক্ষিণসহ সবকিছু বোঝার অপরিমেয় শক্তি দিয়েছেন; যা কোনো প্রাণীর বেলায় নেই। সেই বিবেকবান, বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে উদ্দেশ করে আল্লাহ তায়ালা কোরানে কারিমে বলেছেন, ‘তোমরাই সর্বোত্তম জাতি, তোমাদের বাছাই করা হয়েছে মানবজাতির মধ্য থেকে মানুষের কল্যাণের জন্য।’ -সূরা আল ইমরান। মানুষের এমন বিশেষত্বের কথা জানার পরও দিকভ্রান্ত, উদ্ভট, বিবেকহীন, কাণ্ডজ্ঞানহীনের মতো নিকৃষ্ট কাজ আমরা করছি, যা মুসলিম জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাকর বিষয়। কোনো ইমানদার, মুমিন কখনো অনর্থক কাজ ও কথা বলতে পারেন না, এমন কি সমর্থনও করতে পারেন না। কারণ মুসলমানদের তো আদর্শ হলেভ হজরত মুহম্মদ (সা.)। তিনি জীবনে এমন কাজ করেননি। এ বিষয়ে হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) অযথা কোনো কথা বলতেন না, হয় উপকারী কিছু বলতেন, না হয় চুপ থাকতেন।’ অন্য আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, যার সারমর্ম হলো, ‘মানুষ স্বাস্থ্য ও অবসরের ব্যাপারে গাফিলতি করে।’ -সহিহ বোখারি। আমরা মুসলমান। আমরা ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা ও শেষ নবী হজরত মুহম্মদের (সা.) উম্মত। আমরা সেই নবীর উত্তরসূরি, যাকে আল্লাহতায়ালা গোটা বিশ্ব সম্প্রদায়কে শুধরে দেয়ার দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরানে কারিমে বলেছেন, ‘তিনি সেই আল্লাহ, যিনি তোমাদের মধ্যে হতে একজন রাসুলকে (সা.) বেছে নিয়েছেন, যিনি তোমাদের নিকট তার নির্দেশনাবলি পাঠ করে শোনান ও তাদের নির্মল করেন এবং গ্রন্থ, বিজ্ঞান শিক্ষা দেন। নিশ্চয়ই এর পূর্বে তারা প্রকাশ্যে বিভ্রান্তির মধ্যে ছিল।’-সূরা আল বাকারা: ১৫২