ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুন্সিপুর সীমান্ত এখন মাদক চোরাকারবারী ও ধুড় পাচারের নিরাপদ রুট মূল হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিজিবি পরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসীর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৪১৩ বার পড়া হয়েছে

sdgনিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর ও ঠাকুরপুর সীমান্ত এখন মাদক, চোরাকারবারী, ধুড় পাচারসহ অবৈধপথে ভারতীয় গরু প্রবেশের নিরাপদ রুট। কিছু দিন পূর্বে কার্পাসডাঙ্গায় ইয়াবা আটক করে বিজিবি ও পুলিশ। তাছাড়াও মদ ও ফেন্সিডিলও উদ্ধার করে চলেছে বিজিবি। মাদকদ্রব্য আটক করলেও আসামীরা আটক হচ্ছেনা থাকছে পালাতক। এসব সীমান্ত দিয়ে পার হওয়া ফেন্সিডিল দামুড়হুদায় গাড়িচালকসহ আটক হয়। ধুড় প্রতি দালাল মারফত বিজিবিকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভারতে প্রবেশ করছে। বর্তমানে মুন্সিপুর ঠাকুরপুর সীমান্ত মাদকব্যাবসায়ী, চোরাকারবারী ও ধুড় পাচারের নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে গোপন সুত্রে জানা গেছে মুন্সিপুর বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার হিসাবে ওয়াহেদ যোগদানের পর থেকেই সীমান্তে এসব অপকর্ম বেড়েই চলেছে। মুন্সিপুরের ছোট ছি ও হিসাবে পরিচিত ঝন্টু মাদক ব্যবসার গডফাদার। তার সাথে নাকি বিজিবির হরিহাত্তা সম্পর্ক। পীরপুরকুল¬ার ওয়ার্ড মেম্বর আ: রাজ্জাকসহ নাম না প্রকাশ করার শর্তে বেশ কয়েকজন জানান ঠাকুরপুর সীমান্ত ও মুন্সিপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে আসা গরু দালাল মারফত কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদ গরু প্রতি মোটা অঙ্কের টাকা করে আদায় করে বাংলাদেশে আসতে সাহায্য করে। তবে সচতুর কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদ নিজেকে ধোয়া তুলশি পাতা সাজাতে ২/১ টা গরু মাঝে মধ্য ধরে চালান দেয়। যাতে করে উপর মহলে নিজেকে সাধু বানাতে পারেন।গতকাল শক্রুবার মুন্সিপুর সীমান্ত দিয়ে ও ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে বিজিবি কে কর দিয়েই অবৈধ পথে ভারতীয় গরু আনে কারবারীরা। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রাজ্জাক আমাদের এ প্রতিবেদককে আরো জানান কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদ গরু প্রতি হাজার হাজার টাকা করে নিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে আসতে সাহায্য করে। সরকারী লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যেসব গরু আসছে তার মুল হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবী জানান রাজ্জাক মেম্বর। তিনি আরো বলেন দরকার হলে কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদের বিরুদ্ধে গনস্বাক্ষর করে তা চুয়াডাঙ্গা সুযোগ্য বিজিবি পরিচালক বরাবর দেওয়া হবে। ভারতে গরু আনতে গিয়ে কেউ মারা গেলে তার দায় কে নেবে এমন প্রশ্ন ও তোলেন অনেকে। বিষয়টি জরুরীভাবে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা বিজিবি পরিচালকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল। এ বিষয়ে মুন্সিপুর কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মুন্সিপুর সীমান্ত এখন মাদক চোরাকারবারী ও ধুড় পাচারের নিরাপদ রুট মূল হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিজিবি পরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসীর

আপলোড টাইম : ১১:৪৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৭

sdgনিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর ও ঠাকুরপুর সীমান্ত এখন মাদক, চোরাকারবারী, ধুড় পাচারসহ অবৈধপথে ভারতীয় গরু প্রবেশের নিরাপদ রুট। কিছু দিন পূর্বে কার্পাসডাঙ্গায় ইয়াবা আটক করে বিজিবি ও পুলিশ। তাছাড়াও মদ ও ফেন্সিডিলও উদ্ধার করে চলেছে বিজিবি। মাদকদ্রব্য আটক করলেও আসামীরা আটক হচ্ছেনা থাকছে পালাতক। এসব সীমান্ত দিয়ে পার হওয়া ফেন্সিডিল দামুড়হুদায় গাড়িচালকসহ আটক হয়। ধুড় প্রতি দালাল মারফত বিজিবিকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভারতে প্রবেশ করছে। বর্তমানে মুন্সিপুর ঠাকুরপুর সীমান্ত মাদকব্যাবসায়ী, চোরাকারবারী ও ধুড় পাচারের নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে গোপন সুত্রে জানা গেছে মুন্সিপুর বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার হিসাবে ওয়াহেদ যোগদানের পর থেকেই সীমান্তে এসব অপকর্ম বেড়েই চলেছে। মুন্সিপুরের ছোট ছি ও হিসাবে পরিচিত ঝন্টু মাদক ব্যবসার গডফাদার। তার সাথে নাকি বিজিবির হরিহাত্তা সম্পর্ক। পীরপুরকুল¬ার ওয়ার্ড মেম্বর আ: রাজ্জাকসহ নাম না প্রকাশ করার শর্তে বেশ কয়েকজন জানান ঠাকুরপুর সীমান্ত ও মুন্সিপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে আসা গরু দালাল মারফত কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদ গরু প্রতি মোটা অঙ্কের টাকা করে আদায় করে বাংলাদেশে আসতে সাহায্য করে। তবে সচতুর কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদ নিজেকে ধোয়া তুলশি পাতা সাজাতে ২/১ টা গরু মাঝে মধ্য ধরে চালান দেয়। যাতে করে উপর মহলে নিজেকে সাধু বানাতে পারেন।গতকাল শক্রুবার মুন্সিপুর সীমান্ত দিয়ে ও ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে বিজিবি কে কর দিয়েই অবৈধ পথে ভারতীয় গরু আনে কারবারীরা। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রাজ্জাক আমাদের এ প্রতিবেদককে আরো জানান কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদ গরু প্রতি হাজার হাজার টাকা করে নিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে আসতে সাহায্য করে। সরকারী লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যেসব গরু আসছে তার মুল হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবী জানান রাজ্জাক মেম্বর। তিনি আরো বলেন দরকার হলে কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদের বিরুদ্ধে গনস্বাক্ষর করে তা চুয়াডাঙ্গা সুযোগ্য বিজিবি পরিচালক বরাবর দেওয়া হবে। ভারতে গরু আনতে গিয়ে কেউ মারা গেলে তার দায় কে নেবে এমন প্রশ্ন ও তোলেন অনেকে। বিষয়টি জরুরীভাবে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে চুয়াডাঙ্গা বিজিবি পরিচালকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল। এ বিষয়ে মুন্সিপুর কোম্পানী কমান্ডার ওয়াহেদের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।