ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুন্সিপুর সীমান্তে বিজিবির কথিত সোর্স ফারুক আবারো বেপরোয়া বিএসএফ’র সোর্সদের নিয়ে ফারুকের বাড়িতে বসে গোপন বৈঠকের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪১:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৪৫৯ বার পড়া হয়েছে

wvyনিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদার মুন্সিপুর বিজিবি কথিত সোর্স আলোচিত  ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। বিজিবির নাম ভাঙ্গিয়ে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে সবরকম অপকর্মসহ রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ড। জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলা কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের মুন্সিপুর গ্রামে খোকা ধামার ছেলে ফারুক নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান তিনি দীর্ঘদিন ধরে চোরা চালানের সাথে জড়িত। বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ও নাম ভাঙ্গিয়ে সীমান্ত পথে বাংলাদেশে আনে হিরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, অস্ত্র, গরু, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন মালামাল। এখন তিনি বনে গেছে কোটিপতি হাকিয়েছেন একটি কোটি টাকার  আলিসান বাড়ি। অভিযোগ উঠেছে ফারুক বিএসএফর সোর্সদের তার বাড়িতে রেখে করছে দেশের তথ্য ফাঁস। ভারতীয় বিএসএফর সোর্স ভারতীয় নাগরিক নদিয়া জেলার চাপড়া থানার হাটখোলা গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার মৃত আবেল শেখের ছেলে চান্দু ও মোঃ আজিত তাদের হাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন রকম পত্র পত্রিকা তুলে দেয় তাদের হাতে। সেই সাথে সীমান্ত এলাকার বিজিবি ক্যাম্প ও গূরত্বপূর্ন স্থানের ভিডিও ফুটেজও তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে। যা দেশের তথ্য পাচারের শামিল। অভিযোগ আছে ফারুক প্রায় পাসপোর্টে ভারতে যেয়ে মুন্সিপুর সীমান্ত ৯২ নং পিলার দিয়ে অবৈধ ভারতীয় চোরাই মোটরসাইকেল নিয়ে আসে তার বাড়িতে এবং ৪/৫ দিন অবস্থান করে আবারও ভারতে চলে যায়। এভাবে অবৈধভাবে ব্যাবসা করে আসছে দীর্ঘদিন। গত বছর ২১ নভেম্বর মুন্সিপুর বিজিবি সদস্যরা কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে ২৭০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছিল ইয়াবার মালিক ফারুক হলেও অদৃশ্য ইশারায় থেকে যায় ধরাছোয়ার বাইরে। অন্য দিকে সরকারিভাবে গরু বিক্রির জন্য যে করিডোর বিট চুক্তি দেওয়া হয় তা নিয়েও ফারুক দূর্নীতি ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে করিডর নেওয়ার তথ্য ফাঁস হয়েছে। কুতুবপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন বিশ্বাস মারা যান ২০১২ সালে অথচ তাকে জীবিত দেখিয়ে করিডর পাওয়ার লিখিত আবেদন করেছে ফারুক। বিষয়টি তার ছেলে বর্তমান কুতুবপুর ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ মনির বিশ্বাস জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিক আবেদন করে। বিভিন্ন অপকর্মের হোতা বাংলাদেশের তথ্য ফাঁসকারী ফারুকের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে এলাকার মানুষ। তার বিরুদ্ধে জরুরি ভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজিবির ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সচেনত মানুষ ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মুন্সিপুর সীমান্তে বিজিবির কথিত সোর্স ফারুক আবারো বেপরোয়া বিএসএফ’র সোর্সদের নিয়ে ফারুকের বাড়িতে বসে গোপন বৈঠকের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:৪১:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৭

wvyনিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদার মুন্সিপুর বিজিবি কথিত সোর্স আলোচিত  ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই। বিজিবির নাম ভাঙ্গিয়ে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে সবরকম অপকর্মসহ রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকান্ড। জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলা কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের মুন্সিপুর গ্রামে খোকা ধামার ছেলে ফারুক নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান তিনি দীর্ঘদিন ধরে চোরা চালানের সাথে জড়িত। বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ও নাম ভাঙ্গিয়ে সীমান্ত পথে বাংলাদেশে আনে হিরোইন, ফেন্সিডিল, ইয়াবা, অস্ত্র, গরু, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন মালামাল। এখন তিনি বনে গেছে কোটিপতি হাকিয়েছেন একটি কোটি টাকার  আলিসান বাড়ি। অভিযোগ উঠেছে ফারুক বিএসএফর সোর্সদের তার বাড়িতে রেখে করছে দেশের তথ্য ফাঁস। ভারতীয় বিএসএফর সোর্স ভারতীয় নাগরিক নদিয়া জেলার চাপড়া থানার হাটখোলা গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার মৃত আবেল শেখের ছেলে চান্দু ও মোঃ আজিত তাদের হাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন রকম পত্র পত্রিকা তুলে দেয় তাদের হাতে। সেই সাথে সীমান্ত এলাকার বিজিবি ক্যাম্প ও গূরত্বপূর্ন স্থানের ভিডিও ফুটেজও তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে। যা দেশের তথ্য পাচারের শামিল। অভিযোগ আছে ফারুক প্রায় পাসপোর্টে ভারতে যেয়ে মুন্সিপুর সীমান্ত ৯২ নং পিলার দিয়ে অবৈধ ভারতীয় চোরাই মোটরসাইকেল নিয়ে আসে তার বাড়িতে এবং ৪/৫ দিন অবস্থান করে আবারও ভারতে চলে যায়। এভাবে অবৈধভাবে ব্যাবসা করে আসছে দীর্ঘদিন। গত বছর ২১ নভেম্বর মুন্সিপুর বিজিবি সদস্যরা কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে ২৭০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছিল ইয়াবার মালিক ফারুক হলেও অদৃশ্য ইশারায় থেকে যায় ধরাছোয়ার বাইরে। অন্য দিকে সরকারিভাবে গরু বিক্রির জন্য যে করিডোর বিট চুক্তি দেওয়া হয় তা নিয়েও ফারুক দূর্নীতি ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে করিডর নেওয়ার তথ্য ফাঁস হয়েছে। কুতুবপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন বিশ্বাস মারা যান ২০১২ সালে অথচ তাকে জীবিত দেখিয়ে করিডর পাওয়ার লিখিত আবেদন করেছে ফারুক। বিষয়টি তার ছেলে বর্তমান কুতুবপুর ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ মনির বিশ্বাস জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিক আবেদন করে। বিভিন্ন অপকর্মের হোতা বাংলাদেশের তথ্য ফাঁসকারী ফারুকের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে এলাকার মানুষ। তার বিরুদ্ধে জরুরি ভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজিবির ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সচেনত মানুষ ।