ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিজয় দিবসের আয়োজন হবে আরও নান্দনিক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯
  • / ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার
বিশেষ প্রতিবেদক:
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপক্ষে চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যদায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বিজয় দিবস উদ্যাপন জাতীয় কর্মসূচি হলেও বাঙালি হিসেবে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন ও অংশগ্রহণ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সবাইকে মাঠে উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ দিতে হবে। যেন কুচকাওয়াজ ভালো হয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত হবে। সেই সঙ্গে এবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিজয় দিবসের আয়োজন আরও নান্দনিক করা হবে। তাই গোটা আয়োজনের সঙ্গে সবাইকে সম্পৃক্ত হতে হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে মুজিববর্ষের কাউনডাউন (ক্ষণগণনা) শুরু হবে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বিজয় দিবসের সুনাম অক্ষুণœ রাখতে জাতীয় পতাকার রং ও মাপ সঠিক নিয়ম মেনে উত্তোলন করতে হবে। যদি কেউ সঠিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করে, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিজয় দিবসের দিন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সরকারি ছুটি হলেও সরকারি সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে। ফলে, ওই দিন ব্যক্তিগত কোনো কর্মসূচি থাকলে তা বাতিল করতে হবে।
মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় দামুড়হুদার লোকনাথপুর ফুটবল মাঠ (দর্শনা রেলগেটের পরিবর্তে) থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত ম্যারাথন দৌঁড় প্রতিযোগিতা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আলোচনা সভা, শিশু একাডেমিতে সংগীত ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে আলোকসজ্জা, সড়কদ্বীপে জাতীয় পতাকা দ্বারা শোভাবর্ধন ও ১৬ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসের সূচনা। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ছয়টায় মহান শহীদ স্মৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল আটটায় পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে পুলিশ ও আনসারদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সিনেমা বিনা মূল্যে প্রদর্শন ও শিশুদের জন্য পার্ক বিনা মূল্যে উন্মুক্ত থাকবে। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশুপরিবার ও অন্ধস্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রীতি ফুটবল, দড়িটানা খেলা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খানের পরিচালনায় সভায় আলোচ্য বিষয়ের ওপর মতামত ও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদন খোকন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফ, পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী, জেলা তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম, জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক, সহসভাপতি মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মোল্লা আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. বেলাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মালিক, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাবিলা রুখসানা ছন্দা, শিক্ষক ফজলুল হক মালিক লোটন, ওয়ালি উল্লাহ সিদ্দিকী প্রমুখ। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সামাজিক-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক কর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিজয় দিবসের আয়োজন হবে আরও নান্দনিক

আপলোড টাইম : ১০:০০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার
বিশেষ প্রতিবেদক:
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপক্ষে চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যদায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বিজয় দিবস উদ্যাপন জাতীয় কর্মসূচি হলেও বাঙালি হিসেবে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন ও অংশগ্রহণ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সবাইকে মাঠে উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ দিতে হবে। যেন কুচকাওয়াজ ভালো হয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত হবে। সেই সঙ্গে এবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিজয় দিবসের আয়োজন আরও নান্দনিক করা হবে। তাই গোটা আয়োজনের সঙ্গে সবাইকে সম্পৃক্ত হতে হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে মুজিববর্ষের কাউনডাউন (ক্ষণগণনা) শুরু হবে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বিজয় দিবসের সুনাম অক্ষুণœ রাখতে জাতীয় পতাকার রং ও মাপ সঠিক নিয়ম মেনে উত্তোলন করতে হবে। যদি কেউ সঠিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করে, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিজয় দিবসের দিন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সরকারি ছুটি হলেও সরকারি সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে। ফলে, ওই দিন ব্যক্তিগত কোনো কর্মসূচি থাকলে তা বাতিল করতে হবে।
মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় দামুড়হুদার লোকনাথপুর ফুটবল মাঠ (দর্শনা রেলগেটের পরিবর্তে) থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত ম্যারাথন দৌঁড় প্রতিযোগিতা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আলোচনা সভা, শিশু একাডেমিতে সংগীত ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে আলোকসজ্জা, সড়কদ্বীপে জাতীয় পতাকা দ্বারা শোভাবর্ধন ও ১৬ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিবসের সূচনা। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ছয়টায় মহান শহীদ স্মৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল আটটায় পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে পুলিশ ও আনসারদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সিনেমা বিনা মূল্যে প্রদর্শন ও শিশুদের জন্য পার্ক বিনা মূল্যে উন্মুক্ত থাকবে। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশুপরিবার ও অন্ধস্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, প্রীতি ফুটবল, দড়িটানা খেলা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খানের পরিচালনায় সভায় আলোচ্য বিষয়ের ওপর মতামত ও বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ সামসুল আবেদন খোকন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফ, পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী, জেলা তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম, জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি ইয়াকুব হোসেন মালিক, সহসভাপতি মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মোল্লা আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. বেলাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মালিক, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাবিলা রুখসানা ছন্দা, শিক্ষক ফজলুল হক মালিক লোটন, ওয়ালি উল্লাহ সিদ্দিকী প্রমুখ। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সামাজিক-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক কর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।