ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুজিবনগর-কলকাতা স্বাধীনতা সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৫৯ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মেহেরপুরের মুজিবনগরে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস চেকপোস্ট স্থাপনের জন্য মুজিবনগর-কলকাতা স্বাধীনতা সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। মুজিবনগর থেকে ভারতের নদীয়ার কৃষ্ণনগর পর্যন্ত ১ শ ৫০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে বাংলাদেশের অংশে মাত্র ৩শ মিটার ইটের হিয়ারিং সোলিং আছে। বাংলাদেশের অংশের এই ৩শ মিটার রাস্তার উন্নয়ন করা হবে। এ সড়ক করতে বাংলাদেশ অংশে এলজিইডির অধীনে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে।
এ সড়কের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক যেমন মজবুত হবে তেমনি মেহেরপুর জেলাবাসীর জন্য উন্মোচিত হবে অর্থনীতির নতুন দিগন্ত। নদীয়া জেলার চাপড়া থানার হৃদয়পুর, নতুনপাড়াসহ আশপাশের গ্রামবাসীরাও উন্মুখ সেই কাঙ্খিত দিনটির জন্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি। এই শুভক্ষণে আগামী ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সড়কের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। আর এই সড়ক নির্মাণ উপলক্ষে বাংলাদেশের মুজিবনগরে ও ভারতের হৃদয়পুরে স্থাপন করা হচ্ছে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। ইতিমধ্যে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের সম্ভাব্যতা যাচাই ও ঐতিহাসিক মুজিবনগরে স্বাধীনতা সড়ক (মুজিবনগর-কলকাতা) পরিদর্শন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল। গত ১৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ও ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র, পরারাষ্ট্র ও এনবিআর, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল মুজিবনগর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছেন। এছাড়া স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই সড়কটি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী সড়কটির নাম ঠিক করেছেন ‘স্বাধীনতা সড়ক’। এ উদ্যোগের কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোতে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি জানান, সড়কটি চালু ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট স্থাপন করতে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সে চিঠির আলোকে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের করণীয় নির্ধারণে সরকারি দপ্তরগুলোতে পৃথক চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ। মুজিবনগর-কলকাতা স্বাধীনতা সড়ক চালুর নিমিত্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে অবহিত করা হয়েছে। এর আগে স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে ‘স্বাধীনতা সড়ক’ (মুজিবনগর-কলকাতা) নিয়মিতভাবে চালু করা এবং ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট স্থাপন করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে গত বছরের ১০ আগস্ট চিঠি দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তার স্বাক্ষরিত চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকেও। এদিকে, মুজিবনগর থেকে কলকাতা যাতায়াতের ঘোষণা আসার পর থেকে মেহেরপুরের সাধারণ মানুষ আনন্দের পাশাপাশি এখন দিন গুনছেন সেই মাহেন্দ্র ক্ষণটির জন্য।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মুজিবনগর-কলকাতা স্বাধীনতা সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু

আপলোড টাইম : ০৮:৫২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মেহেরপুরের মুজিবনগরে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস চেকপোস্ট স্থাপনের জন্য মুজিবনগর-কলকাতা স্বাধীনতা সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। মুজিবনগর থেকে ভারতের নদীয়ার কৃষ্ণনগর পর্যন্ত ১ শ ৫০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে বাংলাদেশের অংশে মাত্র ৩শ মিটার ইটের হিয়ারিং সোলিং আছে। বাংলাদেশের অংশের এই ৩শ মিটার রাস্তার উন্নয়ন করা হবে। এ সড়ক করতে বাংলাদেশ অংশে এলজিইডির অধীনে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে।
এ সড়কের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক যেমন মজবুত হবে তেমনি মেহেরপুর জেলাবাসীর জন্য উন্মোচিত হবে অর্থনীতির নতুন দিগন্ত। নদীয়া জেলার চাপড়া থানার হৃদয়পুর, নতুনপাড়াসহ আশপাশের গ্রামবাসীরাও উন্মুখ সেই কাঙ্খিত দিনটির জন্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি। এই শুভক্ষণে আগামী ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সড়কের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। আর এই সড়ক নির্মাণ উপলক্ষে বাংলাদেশের মুজিবনগরে ও ভারতের হৃদয়পুরে স্থাপন করা হচ্ছে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। ইতিমধ্যে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের সম্ভাব্যতা যাচাই ও ঐতিহাসিক মুজিবনগরে স্বাধীনতা সড়ক (মুজিবনগর-কলকাতা) পরিদর্শন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল। গত ১৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ও ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র, পরারাষ্ট্র ও এনবিআর, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল মুজিবনগর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছেন। এছাড়া স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই সড়কটি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী সড়কটির নাম ঠিক করেছেন ‘স্বাধীনতা সড়ক’। এ উদ্যোগের কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোতে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি জানান, সড়কটি চালু ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট স্থাপন করতে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সে চিঠির আলোকে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের করণীয় নির্ধারণে সরকারি দপ্তরগুলোতে পৃথক চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ। মুজিবনগর-কলকাতা স্বাধীনতা সড়ক চালুর নিমিত্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে অবহিত করা হয়েছে। এর আগে স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে ‘স্বাধীনতা সড়ক’ (মুজিবনগর-কলকাতা) নিয়মিতভাবে চালু করা এবং ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট স্থাপন করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে গত বছরের ১০ আগস্ট চিঠি দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তার স্বাক্ষরিত চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকেও। এদিকে, মুজিবনগর থেকে কলকাতা যাতায়াতের ঘোষণা আসার পর থেকে মেহেরপুরের সাধারণ মানুষ আনন্দের পাশাপাশি এখন দিন গুনছেন সেই মাহেন্দ্র ক্ষণটির জন্য।