ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুজিবনগরে ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এমপি ফরহাদের বিতরণ করা টিন ও টাকা কুদ্দসে আত্মসাত: অবশেষে চাপে ফেরত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০১৭
  • / ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মুজিবনগরে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উদ্যোগে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য উপস্থিত থেকে ঢেউটিন এবং ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য ৩০০০ হাজার টাকা বিতরণ করেন। ক্ষতিগ্রস্থ গরীব বাগোয়ান গ্রামের মৃত ফিরার ছেলে আইনাল হোসেন, বল্লভপুর গ্রামের মৃত চিত্তরঞ্জনের ছেলে বুদোন এবং মানিকনগর গ্রামের মৃত নিহাজ উদ্দীনের স্ত্রী রানু খাতুনের নামে টিন ও টাকার চেক উত্তোলন করে সাহায্যের টিন ও টাকা আত্মসাত করে গোপালনগর গ্রামের রহিম আলার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস। ভূক্তভোগীরা সহজ সরল হওয়ায় তাদের ভূল বুঝিয়ে এই টিন ও টাকা আত্মাসাদ করে কুদ্দুস বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী আইনাল জানান, কুদ্দুস টিন ও টাকা পাওয়ার জন্য আমার নাম দিয়েছিল  সেই জন্য সে আমাকে দিয়ে টিন ও টাকা তুলে নিয়ে আসে এবং তার বাড়িতে রাখতে বলে আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় এবং বলে টিনের টাকা কাল এসে নিয়ে যেতে পরের দিন গেলে সে আমাকে শুধু ১০০০ টাকা দেয়। সরকার থেকে কত টাকা দিয়েছিল আমি জানতাম না পরে বাজারে এসে আমি জানতে পারি সরকার ৮টি টিন এবং ৩০০০ হাজার টাকা দিয়েছে। পরে আমি কেদারগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি কুতুব মল্লিককে ঘটনাটা জানালে তিনি সহ বাগোয়ান ইউপি যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ইমাজউদ্দীন ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় আমার ৩০০০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫০০টাকা ও টিন উদ্ধার করে দেন। এসময় কুদ্দুস ৫০০টাকা খরচ বলে কেটে রাখে। আরেক ভুক্তভোগী বুদোন বিশ্বাস জানান, কুদ্দুসের মাধ্যমে আমি টাকা ও টিন পায় কিন্তু টিন তুলতে খরচ হয়েছে বলে টাকা আমাকে দেয়নি, আজ (গতকাল) বিকালে যুবলীগের নেতাদের সহযোগিতায় আমি আমার তিন হাজার টাকার মধ্যে ২৪০০টাকা ফেরত পায় বাকি টাকা যে অফিসার টিন দিয়েছে তাকে দিতে হয়েছে বলে কেটে রাখে। ভুক্তভোগি রানু খাতুনের ১৩০০টাকা যে অফিসার টিন দিয়েছে তাকে দিতে হবে বলে কেটে রেখেছে। টিন ও টাকা আত্মসাতের বিষয়ে অভিযুক্ত কুদ্দুসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যে তারা গরিবমানুষ বলে আমি তদবির করে তাদের টিন ও টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি বুধবার তারা টিন ও টাকার চেক তুলে নিয়ে আসলে বুদোন ও রানু টিন নিয়ে বাড়ি চলে যায় টাকার চেক আমার কাছে দিয়ে যায় আর আইনাল অসুস্থ্য বলে তাকে বলি টিন আমার বাড়িতে রেখে যা কাল এসে নিয়ে যাস বৃহস্পতিবার সকালে আসলে তাকে আমি ১০০০টাকা দিয়ে বলি যে আমি তোদের টাকা মেহেরপুর ব্যাংক থেকে তুলতে যাব বাদবাকি টাকা ও টিন বিকেলে এসে নিয়ে যাস বিকেলে আসলে তাদের টাকা ও টিন তাদের দিয়ে দিই। টাকা কেটে রাখার বিষয়ে তাকে প্রশ্নকরা হলে কুদ্দুস বলেন যে টাকা কেটে রাখা হয়েছে টিন আনা খরচ এবং মুজিবনগর প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোয়াজ্জেম না কি যেন নাম তাকে তিন জনের ১৫০০টাকা দিয়েছি। এবিষয়ে মুজিবনগর প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার দিলিপ কুমার সেন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিন জানান মোয়াজ্জেম বলে তার অফিসে কেও নেয় আর এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মুজিবনগরে ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এমপি ফরহাদের বিতরণ করা টিন ও টাকা কুদ্দসে আত্মসাত: অবশেষে চাপে ফেরত

আপলোড টাইম : ০৫:১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০১৭

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মুজিবনগরে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উদ্যোগে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য উপস্থিত থেকে ঢেউটিন এবং ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য ৩০০০ হাজার টাকা বিতরণ করেন। ক্ষতিগ্রস্থ গরীব বাগোয়ান গ্রামের মৃত ফিরার ছেলে আইনাল হোসেন, বল্লভপুর গ্রামের মৃত চিত্তরঞ্জনের ছেলে বুদোন এবং মানিকনগর গ্রামের মৃত নিহাজ উদ্দীনের স্ত্রী রানু খাতুনের নামে টিন ও টাকার চেক উত্তোলন করে সাহায্যের টিন ও টাকা আত্মসাত করে গোপালনগর গ্রামের রহিম আলার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস। ভূক্তভোগীরা সহজ সরল হওয়ায় তাদের ভূল বুঝিয়ে এই টিন ও টাকা আত্মাসাদ করে কুদ্দুস বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী আইনাল জানান, কুদ্দুস টিন ও টাকা পাওয়ার জন্য আমার নাম দিয়েছিল  সেই জন্য সে আমাকে দিয়ে টিন ও টাকা তুলে নিয়ে আসে এবং তার বাড়িতে রাখতে বলে আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় এবং বলে টিনের টাকা কাল এসে নিয়ে যেতে পরের দিন গেলে সে আমাকে শুধু ১০০০ টাকা দেয়। সরকার থেকে কত টাকা দিয়েছিল আমি জানতাম না পরে বাজারে এসে আমি জানতে পারি সরকার ৮টি টিন এবং ৩০০০ হাজার টাকা দিয়েছে। পরে আমি কেদারগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি কুতুব মল্লিককে ঘটনাটা জানালে তিনি সহ বাগোয়ান ইউপি যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ইমাজউদ্দীন ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় আমার ৩০০০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫০০টাকা ও টিন উদ্ধার করে দেন। এসময় কুদ্দুস ৫০০টাকা খরচ বলে কেটে রাখে। আরেক ভুক্তভোগী বুদোন বিশ্বাস জানান, কুদ্দুসের মাধ্যমে আমি টাকা ও টিন পায় কিন্তু টিন তুলতে খরচ হয়েছে বলে টাকা আমাকে দেয়নি, আজ (গতকাল) বিকালে যুবলীগের নেতাদের সহযোগিতায় আমি আমার তিন হাজার টাকার মধ্যে ২৪০০টাকা ফেরত পায় বাকি টাকা যে অফিসার টিন দিয়েছে তাকে দিতে হয়েছে বলে কেটে রাখে। ভুক্তভোগি রানু খাতুনের ১৩০০টাকা যে অফিসার টিন দিয়েছে তাকে দিতে হবে বলে কেটে রেখেছে। টিন ও টাকা আত্মসাতের বিষয়ে অভিযুক্ত কুদ্দুসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যে তারা গরিবমানুষ বলে আমি তদবির করে তাদের টিন ও টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি বুধবার তারা টিন ও টাকার চেক তুলে নিয়ে আসলে বুদোন ও রানু টিন নিয়ে বাড়ি চলে যায় টাকার চেক আমার কাছে দিয়ে যায় আর আইনাল অসুস্থ্য বলে তাকে বলি টিন আমার বাড়িতে রেখে যা কাল এসে নিয়ে যাস বৃহস্পতিবার সকালে আসলে তাকে আমি ১০০০টাকা দিয়ে বলি যে আমি তোদের টাকা মেহেরপুর ব্যাংক থেকে তুলতে যাব বাদবাকি টাকা ও টিন বিকেলে এসে নিয়ে যাস বিকেলে আসলে তাদের টাকা ও টিন তাদের দিয়ে দিই। টাকা কেটে রাখার বিষয়ে তাকে প্রশ্নকরা হলে কুদ্দুস বলেন যে টাকা কেটে রাখা হয়েছে টিন আনা খরচ এবং মুজিবনগর প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোয়াজ্জেম না কি যেন নাম তাকে তিন জনের ১৫০০টাকা দিয়েছি। এবিষয়ে মুজিবনগর প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার দিলিপ কুমার সেন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিন জানান মোয়াজ্জেম বলে তার অফিসে কেও নেয় আর এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।