ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে সেনা-বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে জঙ্গলে পালিয়েছে লাখো মানুষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব প্রতিবেদন:
প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রীসহ ৯ হাজার জন এ পর্যন্ত ভারতে আশ্রয় নিয়েছে কারেন মানবাধিকার গোষ্ঠীর পরিচালক বানিয়া কুং অং বলেন, ‘জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই এখন জঙ্গলে। বিষয়টিকে আমলে না নিলে বহু মানুষের প্রাণহানি হতে পারে’। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সহিংসতা দেশের ভেতরেই বাস্তুচ্যুত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। তারা পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে জঙ্গলে। এদিকে ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মিয়ানমারের একটি প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন। জাতিসংঘের হিসাবমতে, সাম্প্রতিক সহিংসতার মধ্যে মিয়ানমারের কেবল কায়াহ রাজ্যেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে নতুন করে যে লড়াই চলছে তাতে সব মিলে গত ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষেরা বলছেন, তারা খাদ্য সংকটে আছেন। ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে রোগবালাই। শিশুদের অনেকে ডাইরিয়ায় ভুগছে। পরিষ্কার পানির অভাব। অনেকে চাল কিংবা খাবার আনার সুযোগও পাচ্ছেন না। মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটিতে আন্দোলন-বিক্ষোভ চলছে। এ আন্দোলন দমন করতে গিয়ে অন্তত ৮৫০ জনকে হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠা মানুষেরা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। কয়েকটি রাজ্যে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জোর লড়াই চলছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জান্তা বিরোধীদের সংঘর্ষের পর অনেক জায়গায় গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। ভারতের রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের মোট সংখ্যা নয় হাজার ২৪৭ জন। তারা বিভিন্ন জেলায় আশ্রয় নিয়ে আছে। ভারতের মিজোরাম, মনিপুর ও নাগাল্যান্ড রাজ্য মিলে মিয়ানমারের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ধারণা, আগামী কয়েক মাসে এ সংখ্যা আরও বাড়বে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মিয়ানমারে সেনা-বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে জঙ্গলে পালিয়েছে লাখো মানুষ

আপলোড টাইম : ০৯:০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুন ২০২১

বিশ্ব প্রতিবেদন:
প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রীসহ ৯ হাজার জন এ পর্যন্ত ভারতে আশ্রয় নিয়েছে কারেন মানবাধিকার গোষ্ঠীর পরিচালক বানিয়া কুং অং বলেন, ‘জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই এখন জঙ্গলে। বিষয়টিকে আমলে না নিলে বহু মানুষের প্রাণহানি হতে পারে’। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সহিংসতা দেশের ভেতরেই বাস্তুচ্যুত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। তারা পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে জঙ্গলে। এদিকে ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মিয়ানমারের একটি প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন। জাতিসংঘের হিসাবমতে, সাম্প্রতিক সহিংসতার মধ্যে মিয়ানমারের কেবল কায়াহ রাজ্যেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে নতুন করে যে লড়াই চলছে তাতে সব মিলে গত ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষেরা বলছেন, তারা খাদ্য সংকটে আছেন। ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে রোগবালাই। শিশুদের অনেকে ডাইরিয়ায় ভুগছে। পরিষ্কার পানির অভাব। অনেকে চাল কিংবা খাবার আনার সুযোগও পাচ্ছেন না। মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটিতে আন্দোলন-বিক্ষোভ চলছে। এ আন্দোলন দমন করতে গিয়ে অন্তত ৮৫০ জনকে হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠা মানুষেরা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। কয়েকটি রাজ্যে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জোর লড়াই চলছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জান্তা বিরোধীদের সংঘর্ষের পর অনেক জায়গায় গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। ভারতের রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের মোট সংখ্যা নয় হাজার ২৪৭ জন। তারা বিভিন্ন জেলায় আশ্রয় নিয়ে আছে। ভারতের মিজোরাম, মনিপুর ও নাগাল্যান্ড রাজ্য মিলে মিয়ানমারের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ধারণা, আগামী কয়েক মাসে এ সংখ্যা আরও বাড়বে।