ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মিসাইল ছুঁড়ে ‘ডামি’ মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ধ্বংস করলো ইরান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
  • / ১৬২ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক:
হরমুজ প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীর আদলে সাজানো একটি ‘ডামি’বা সাজানো রণতরী মিসাইল ছুড়ে ধ্বংস করেছে ইরান। এই মহড়ার সময় এতো বেশি গোলাগুলি হয় যে, ওই অঞ্চলের দুটি সামরিক ঘাঁটিতে সাময়িক সতর্কাবস্থা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। একে ‘ইরানের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বেপরোয়া’ আচরণ বলে নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। সেই সাথে এই আচরণকে ভীতি প্রদর্শন এবং চাপ প্রয়োগের চেষ্টা বলে বর্ণনা করেছে। ভূমধ্যসাগরে তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এই মহড়ার ঘটনা ঘটলো। ‘নবী মোহাম্মদ চতুর্দশ’ নামের এ মহড়াটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ভূমধ্যসাগরে নিয়মিত টহল দিয়ে থাকে, এমন একটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরীর আদলে নকল একটি স্থাপনা তৈরি করা হয়, যেটির দুই পাশে মডেল যুদ্ধবিমান, রানওয়ে ইত্যাদিও সাজানো ছিল। এরপর বিভিন্ন কোন থেকে মিসাইল ছুঁড়ে মারা যায়, যার কয়েকটি ওই নকল রণতরীটি লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়। আরেকটি হেলিকপ্টার থেকেও রণতরীটির দিকে মিসাইল ছোঁড়া হয়। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন যে, ‘আজকের মহড়ার মধ্য দিয়ে বিমান ও নৌবাহিনীর আক্রমণ করার সক্ষমতা তুলে ধরা হয়েছে।’ ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপের সাথে সাথেই যুক্তরাষ্ট্র শনাক্ত করে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আর কাতারের সেনা ঘাঁটিকে সতর্ক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফিফথ ফ্লিটের মুখপাত্র কমান্ডার রেবেকা রিবারিচ বলেছেন, ‘সমুদ্র চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহযোগীদের সাথে মিলে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়ে থাকে। কিন্তু ইরান আক্রমণাত্মক মহড়া করেছে যা ভীতি প্রদর্শন এবং চাপ প্রয়োগের একপ্রকার চেষ্টা।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মিসাইল ছুঁড়ে ‘ডামি’ মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ধ্বংস করলো ইরান

আপলোড টাইম : ০৮:৫১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

বিশ্ব ডেস্ক:
হরমুজ প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীর আদলে সাজানো একটি ‘ডামি’বা সাজানো রণতরী মিসাইল ছুড়ে ধ্বংস করেছে ইরান। এই মহড়ার সময় এতো বেশি গোলাগুলি হয় যে, ওই অঞ্চলের দুটি সামরিক ঘাঁটিতে সাময়িক সতর্কাবস্থা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। একে ‘ইরানের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বেপরোয়া’ আচরণ বলে নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। সেই সাথে এই আচরণকে ভীতি প্রদর্শন এবং চাপ প্রয়োগের চেষ্টা বলে বর্ণনা করেছে। ভূমধ্যসাগরে তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এই মহড়ার ঘটনা ঘটলো। ‘নবী মোহাম্মদ চতুর্দশ’ নামের এ মহড়াটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ভূমধ্যসাগরে নিয়মিত টহল দিয়ে থাকে, এমন একটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরীর আদলে নকল একটি স্থাপনা তৈরি করা হয়, যেটির দুই পাশে মডেল যুদ্ধবিমান, রানওয়ে ইত্যাদিও সাজানো ছিল। এরপর বিভিন্ন কোন থেকে মিসাইল ছুঁড়ে মারা যায়, যার কয়েকটি ওই নকল রণতরীটি লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়। আরেকটি হেলিকপ্টার থেকেও রণতরীটির দিকে মিসাইল ছোঁড়া হয়। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন যে, ‘আজকের মহড়ার মধ্য দিয়ে বিমান ও নৌবাহিনীর আক্রমণ করার সক্ষমতা তুলে ধরা হয়েছে।’ ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপের সাথে সাথেই যুক্তরাষ্ট্র শনাক্ত করে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আর কাতারের সেনা ঘাঁটিকে সতর্ক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফিফথ ফ্লিটের মুখপাত্র কমান্ডার রেবেকা রিবারিচ বলেছেন, ‘সমুদ্র চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহযোগীদের সাথে মিলে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়ে থাকে। কিন্তু ইরান আক্রমণাত্মক মহড়া করেছে যা ভীতি প্রদর্শন এবং চাপ প্রয়োগের একপ্রকার চেষ্টা।’