ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মারামারির ঘটনায় বিএনপি কর্মি রুবেল আহত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মার্চ ২০১৮
  • / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে

জীবননগরে বাঁকা ইউপি নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে
জীবননগর অফিস: আসন্ন জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউপি নির্বাচনে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক রুবেল আহত হয়। গতকাল রাত সাড়ে নয়টায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার পর বাঁকা ইউপি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক রুবেল মোটরসাইকেল নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে থাকে। এসময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী কাদের প্রধানের ভাগ্নে ফারুক ও তার সাথে থাকা হারুনসহ রুবেলকে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা চালাতে নিষেধ করে ও বাধা দেয়। একপর্যায় রাত সাড়ে ৯টার সময় রুবেল একটি দোকানে মোবাইল ফোনে টাকা লোড দিতে গেলে উত্তেজিত হয়ে ফারুক তার দলবল রুবেলকে একা পেয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে রুবেল আহত হয়। এসময় স্থানীয় জনগণ ছুটে আসলে ফারুক ও তার সাথে থাকা হারুনসহ তার দলবল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রুবেলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এবিষয়ে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবুল কাশেম মুন্সীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, নৌকা প্রাথীর সমর্থকরা আমাদের প্রতিনিয়িত হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। আমরা যদি কারও কাছে ভোট চেতে যায়, তাহলে আমাদের মারধরের হুমকি অনকে আগেই দিয়েছিলো। আমার কর্মি রুবেলকে অকারণে মেরে আ.লীগ কর্মিরা প্রমাণ করলো তারা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই না। কারণ এনির্বাচনে সাধারন মানুষ ধানের শীষকে বিজয়ী করবে। আমরা রীতিমত আতঙ্কে আছি বলেও তিনি জানান। এবিষয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী কাদের প্রধানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কাউকে হুমকি-ধামকি দেয়নি। এমনকি নির্বাচনী কাজে বা ভোট করতে কাউকে বাধা প্রদান করেনি। যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে সেটা আমার কিম্বা আমার দলের বিষয় না। সেটা তাদের দুই জনের ব্যক্তিগত বিষয়। এবিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বাঁকা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের কর্মিরা বিএনপি কর্মিকে মারধর করেছে এমন একটি মৌখিক অভিযোগ আমি পেয়েছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মারামারির ঘটনায় বিএনপি কর্মি রুবেল আহত

আপলোড টাইম : ১০:৪৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মার্চ ২০১৮

জীবননগরে বাঁকা ইউপি নির্বাচনে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে
জীবননগর অফিস: আসন্ন জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউপি নির্বাচনে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক রুবেল আহত হয়। গতকাল রাত সাড়ে নয়টায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার পর বাঁকা ইউপি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক রুবেল মোটরসাইকেল নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে থাকে। এসময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী কাদের প্রধানের ভাগ্নে ফারুক ও তার সাথে থাকা হারুনসহ রুবেলকে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা চালাতে নিষেধ করে ও বাধা দেয়। একপর্যায় রাত সাড়ে ৯টার সময় রুবেল একটি দোকানে মোবাইল ফোনে টাকা লোড দিতে গেলে উত্তেজিত হয়ে ফারুক তার দলবল রুবেলকে একা পেয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে রুবেল আহত হয়। এসময় স্থানীয় জনগণ ছুটে আসলে ফারুক ও তার সাথে থাকা হারুনসহ তার দলবল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রুবেলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এবিষয়ে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবুল কাশেম মুন্সীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, নৌকা প্রাথীর সমর্থকরা আমাদের প্রতিনিয়িত হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। আমরা যদি কারও কাছে ভোট চেতে যায়, তাহলে আমাদের মারধরের হুমকি অনকে আগেই দিয়েছিলো। আমার কর্মি রুবেলকে অকারণে মেরে আ.লীগ কর্মিরা প্রমাণ করলো তারা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই না। কারণ এনির্বাচনে সাধারন মানুষ ধানের শীষকে বিজয়ী করবে। আমরা রীতিমত আতঙ্কে আছি বলেও তিনি জানান। এবিষয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী কাদের প্রধানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি কাউকে হুমকি-ধামকি দেয়নি। এমনকি নির্বাচনী কাজে বা ভোট করতে কাউকে বাধা প্রদান করেনি। যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে সেটা আমার কিম্বা আমার দলের বিষয় না। সেটা তাদের দুই জনের ব্যক্তিগত বিষয়। এবিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোতাওয়াক্কিলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বাঁকা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের কর্মিরা বিএনপি কর্মিকে মারধর করেছে এমন একটি মৌখিক অভিযোগ আমি পেয়েছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।