ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মামা ভাগ্নের লড়াইয়ে নৌকার জয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২১:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

ডিসি-এসপিসহ প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিলো সাধারণ ভোটাররা, ঘটেনি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা

আকিমুল ইসলাম ও আরিফ হাসান:

উৎসবমুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার ৭ম ধাপের ইউপি নির্বাচনে এ ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসান। নির্বাচনে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শুকুর আলী। ৫ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) আনারস প্রতীকের মিজানুর রহমান টিপু পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৯ ভোট। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আরও দুজন প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৬ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২১৭।

নির্বাচন উপলক্ষে আগে থেকেই চুয়াডাঙ্গা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। সকাল ১০টার দিকে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেমদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এসময় ভোটারদের মধ্যে অনেক ভোটারই বলতে থাকেন ভোটের মাঠে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় স্লোগান দিয়ে জেলা প্রশাসকসহ সকলকে ধন্যবাদও দেন সাধারণ ভোটররা। এ বছর পুরাতন ভোটারদের পাশাপাশি নতুন ভোটারও চোখে পড়ার মত ছিল। অনেকে জীবনের প্রথমবারের মতো ভোট দিয়ে নিজেকে খুশি বলে দাবি করেন। এছাড়া অনেকে সুষ্ঠুভাবে কেন্দ্রে এসে নিজের মূল্যবান ভোট দিতে পেরে প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সকালে সর্বপ্রথম বেশি ভোটার এক সঙ্গে চোখে পড়ে তিতুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অতি সকালে বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে ভরপুর ভোটার সকল প্রার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এছাড়া ছোটশলুয়া ও বলদিয়াতেও সকালে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল আশানুরূপ বেশি।

পরিদর্শনকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহারের জন্য প্রশাসন থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই প্রত্যেকে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। আপনাদের মূল্যবান ভোট আপানারা দেন।’

পরিদর্শনকালে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘কোনো ভোটার যেন কোনো ধরনের অভিযোগ না করতে পারে, সেই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। তবে যদি কেউ কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায়, তার বিরুদ্ধে তখনি আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে।’

যারা মেম্বার নির্বাচিত হলেন:

১ নম্বর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী রওশনারা বেগম ১৭৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমেনা খাতুন পেয়েছেন ১৬২৮ ভোট। ২ নম্বর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে প্রতীকের প্রার্থী ২৯০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাইক প্রতীকের প্রার্থী চম্পা বেগম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জেসমিন আক্তার পেয়েছেন ৮৯২ ভোট। ৩ নম্বর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মাইক প্রতীকের প্রার্থী মুক্তি আরা বেগম ২২৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তালগাছ প্রতীকের রেহেনা খাতুন ভোট পেয়েছেন ১১৪৯।

এ ইউনিয়নে ১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মুকুল হোসেন ৪৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের প্রার্থী নাজমুল হোসাইন ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন। ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ৮৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের প্রার্থী আমিরুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৭৯৩। ৩ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী জাহাদ আলী মল্লিক ৭৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর হোসাইন ভোট পেয়েছেন ৩২৫। ৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সামসুল আলম ৪৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার আলী ভোট পেয়েছেন ৩৭০।

৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে টর্চ লাইট প্রতীকের প্রার্থী মো. কাছেদ আলী ৪৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীকের প্রার্থী জাকারিয়া বিশ্বাস ভোট পেয়েছেন ৪৩৮। ৬ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে মোরগ প্রতীকের প্রার্থী শমসের আলী ৬৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী ইলিয়াস হোসেন ভোট পেয়েছেন ৬৪৪। ৭ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী রিপন আলী লস্কর ৬৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোরগ প্রতীকের মিলন মিয়া ভোট পেয়েছেন ৬৪২। ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী তসলিমুজ্জামান ৫০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুস সালাম ৪৮৮ ভোট  পেয়েছেন। ৯ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী কামাল উদ্দীন ৭১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম টিউবওয়ের প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারুল ইসলাম ৩২২ ভোট পেয়েছেন।

এ ইউনিয়নের মোট ভোটার ১৬ হাজার ৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৬০ জন এবং মহিলা ভোটার ৭ হাজার ৯১৪ জন। শতকরা ৮৫ ভাগ ভোট পড়েছে নির্বাচনে। সীমানা জটিলতা মামলার আইনি জটিলতা কাটিয়ে দীর্ঘ ১১ বছর পর ভোট অনুষ্ঠিত হলো তিতুদহ ইউনিয়নে। ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৪১ জন মেম্বার ও ১০ জন সংরক্ষিত মহিলা সবমিলিয়ে মোট ৫৪ জন প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশ নেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মামা ভাগ্নের লড়াইয়ে নৌকার জয়

আপলোড টাইম : ১০:২১:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ডিসি-এসপিসহ প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিলো সাধারণ ভোটাররা, ঘটেনি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা

আকিমুল ইসলাম ও আরিফ হাসান:

উৎসবমুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার ৭ম ধাপের ইউপি নির্বাচনে এ ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসান। নির্বাচনে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শুকুর আলী। ৫ হাজার ৫৫৭ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) আনারস প্রতীকের মিজানুর রহমান টিপু পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৯ ভোট। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আরও দুজন প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৬ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২১৭।

নির্বাচন উপলক্ষে আগে থেকেই চুয়াডাঙ্গা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। সকাল ১০টার দিকে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেমদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এসময় ভোটারদের মধ্যে অনেক ভোটারই বলতে থাকেন ভোটের মাঠে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় স্লোগান দিয়ে জেলা প্রশাসকসহ সকলকে ধন্যবাদও দেন সাধারণ ভোটররা। এ বছর পুরাতন ভোটারদের পাশাপাশি নতুন ভোটারও চোখে পড়ার মত ছিল। অনেকে জীবনের প্রথমবারের মতো ভোট দিয়ে নিজেকে খুশি বলে দাবি করেন। এছাড়া অনেকে সুষ্ঠুভাবে কেন্দ্রে এসে নিজের মূল্যবান ভোট দিতে পেরে প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সকালে সর্বপ্রথম বেশি ভোটার এক সঙ্গে চোখে পড়ে তিতুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অতি সকালে বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে ভরপুর ভোটার সকল প্রার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এছাড়া ছোটশলুয়া ও বলদিয়াতেও সকালে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল আশানুরূপ বেশি।

পরিদর্শনকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহারের জন্য প্রশাসন থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই প্রত্যেকে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। আপনাদের মূল্যবান ভোট আপানারা দেন।’

পরিদর্শনকালে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘কোনো ভোটার যেন কোনো ধরনের অভিযোগ না করতে পারে, সেই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। তবে যদি কেউ কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায়, তার বিরুদ্ধে তখনি আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে।’

যারা মেম্বার নির্বাচিত হলেন:

১ নম্বর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী রওশনারা বেগম ১৭৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমেনা খাতুন পেয়েছেন ১৬২৮ ভোট। ২ নম্বর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে প্রতীকের প্রার্থী ২৯০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাইক প্রতীকের প্রার্থী চম্পা বেগম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জেসমিন আক্তার পেয়েছেন ৮৯২ ভোট। ৩ নম্বর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মাইক প্রতীকের প্রার্থী মুক্তি আরা বেগম ২২৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তালগাছ প্রতীকের রেহেনা খাতুন ভোট পেয়েছেন ১১৪৯।

এ ইউনিয়নে ১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মুকুল হোসেন ৪৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের প্রার্থী নাজমুল হোসাইন ৩৭৮ ভোট পেয়েছেন। ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ৮৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের প্রার্থী আমিরুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৭৯৩। ৩ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী জাহাদ আলী মল্লিক ৭৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর হোসাইন ভোট পেয়েছেন ৩২৫। ৪ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সামসুল আলম ৪৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার আলী ভোট পেয়েছেন ৩৭০।

৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে টর্চ লাইট প্রতীকের প্রার্থী মো. কাছেদ আলী ৪৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীকের প্রার্থী জাকারিয়া বিশ্বাস ভোট পেয়েছেন ৪৩৮। ৬ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে মোরগ প্রতীকের প্রার্থী শমসের আলী ৬৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী ইলিয়াস হোসেন ভোট পেয়েছেন ৬৪৪। ৭ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী রিপন আলী লস্কর ৬৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোরগ প্রতীকের মিলন মিয়া ভোট পেয়েছেন ৬৪২। ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী তসলিমুজ্জামান ৫০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুস সালাম ৪৮৮ ভোট  পেয়েছেন। ৯ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী কামাল উদ্দীন ৭১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম টিউবওয়ের প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আনারুল ইসলাম ৩২২ ভোট পেয়েছেন।

এ ইউনিয়নের মোট ভোটার ১৬ হাজার ৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৬০ জন এবং মহিলা ভোটার ৭ হাজার ৯১৪ জন। শতকরা ৮৫ ভাগ ভোট পড়েছে নির্বাচনে। সীমানা জটিলতা মামলার আইনি জটিলতা কাটিয়ে দীর্ঘ ১১ বছর পর ভোট অনুষ্ঠিত হলো তিতুদহ ইউনিয়নে। ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৪১ জন মেম্বার ও ১০ জন সংরক্ষিত মহিলা সবমিলিয়ে মোট ৫৪ জন প্রার্থী এবারের নির্বাচনে অংশ নেন।