ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০১৯
  • / ২৮৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আলমডাঙ্গার মাজু-গ্রামে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে সংসার করে আবারো প্রবাসীর স্ত্রী নিজ স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার সুযোগ নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দেয়া শিরিনা খাতুনের বিরুদ্ধে। এনিয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলাব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী দাবি, ‘মানবাধিকার কর্মী হয়ে কেনো ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর নিকট ১৫ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিলো।’
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত একমাস পূর্বে কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার নাটানা-করিমপুর গ্রামের এক যুবকের সাথে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে ঢাকায় পাড়ি জমায় প্রবাসীর স্ত্রী। অজানার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পূর্বে প্রবাসী স্বামীর বাড়ি থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় ওই গৃহবধূ। ঢাকায় গিয়ে সেখানে পরকীয়া স্বামীর সাথে প্রায় ১ মাস সংসার করে। পরে বিবাহ না করায় ওই গৃহবধূ আবারো ঢাকা থেকে নিজ পিতার বাড়ি কুষ্টিয়ার পাটিকাবাড়ির মাগুরায় অবস্থান নেয়। সেখানে স্বামীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে পূর্বের স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসে ওই গৃহবধূ। এই ঘটনা এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ওই গৃহবধূকে তার শশুর বাড়ি থাকায় বাধ সাজে। সামাজিকভাবে তওবা করে আবারো পুনরায় বিবাহের জন্য এলাকাবাসী চাপ প্রয়োগ করে। এই ঘটনা স্থানীয় কিছু ব্যক্তিদের মাধ্যমে আলমডাঙ্গা উপজেলার নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কো-অর্ডিনেটর শাখা প্রধান শিরিনের নিকট খবর দিলে, তারা দু’জন বোরকা পরিহিত অবস্থায় উপস্থিত হয়ে ওই গৃহবধূকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এই ঘটনা এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। মানবাধিকার কর্মীরা জনসাধারণের উপকার না করে কেনো ভয়ভীতি প্রয়োগ করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
প্রবাসী স্ত্রী জানান, বোরকা পরিহিত দুই মহিলা আমাদের বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এর পরেই বিভিন্ন পরিচয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে টাকা দাবি করে। আমরা খুব আতঙ্কে আছি। আমার স্বামী আমাকে মেনে নিয়েছে। সামাজিকভাবে তওবা করে আমরা আবার প্রয়োজনে বিবাহ করবো।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ!

আপলোড টাইম : ১২:০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আলমডাঙ্গার মাজু-গ্রামে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে সংসার করে আবারো প্রবাসীর স্ত্রী নিজ স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার সুযোগ নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দেয়া শিরিনা খাতুনের বিরুদ্ধে। এনিয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলাব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী দাবি, ‘মানবাধিকার কর্মী হয়ে কেনো ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর নিকট ১৫ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দিলো।’
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত একমাস পূর্বে কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার নাটানা-করিমপুর গ্রামের এক যুবকের সাথে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে ঢাকায় পাড়ি জমায় প্রবাসীর স্ত্রী। অজানার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পূর্বে প্রবাসী স্বামীর বাড়ি থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় ওই গৃহবধূ। ঢাকায় গিয়ে সেখানে পরকীয়া স্বামীর সাথে প্রায় ১ মাস সংসার করে। পরে বিবাহ না করায় ওই গৃহবধূ আবারো ঢাকা থেকে নিজ পিতার বাড়ি কুষ্টিয়ার পাটিকাবাড়ির মাগুরায় অবস্থান নেয়। সেখানে স্বামীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে পূর্বের স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসে ওই গৃহবধূ। এই ঘটনা এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ওই গৃহবধূকে তার শশুর বাড়ি থাকায় বাধ সাজে। সামাজিকভাবে তওবা করে আবারো পুনরায় বিবাহের জন্য এলাকাবাসী চাপ প্রয়োগ করে। এই ঘটনা স্থানীয় কিছু ব্যক্তিদের মাধ্যমে আলমডাঙ্গা উপজেলার নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কো-অর্ডিনেটর শাখা প্রধান শিরিনের নিকট খবর দিলে, তারা দু’জন বোরকা পরিহিত অবস্থায় উপস্থিত হয়ে ওই গৃহবধূকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এই ঘটনা এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। মানবাধিকার কর্মীরা জনসাধারণের উপকার না করে কেনো ভয়ভীতি প্রয়োগ করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
প্রবাসী স্ত্রী জানান, বোরকা পরিহিত দুই মহিলা আমাদের বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এর পরেই বিভিন্ন পরিচয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে টাকা দাবি করে। আমরা খুব আতঙ্কে আছি। আমার স্বামী আমাকে মেনে নিয়েছে। সামাজিকভাবে তওবা করে আমরা আবার প্রয়োজনে বিবাহ করবো।