ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মানবসেবা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন
মানবসেবার মাধ্যমে আল্লাহর সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। মানবসেবা হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ সব রসুল ও নবীর সুন্নাত। দুনিয়ার প্রথম মানব-মানবী হজরত আদম ও হাওয়া (আ.)। দুনিয়ার সব মানুষই তাঁদের বংশধর। সে অর্থে এক মানুষের সঙ্গে অন্য মানুষের সহজাত ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রয়েছে। ইসলাম এ বন্ধনকে আরও অর্থবহ করে তোলার পক্ষে। একজন মানুষ অন্য মানুষের আপদে-বিপদে সহায়তা করবে, সহমর্মিতার পরিচয় দেবে এমনটিই উৎসাহিত করা হয়েছে ইসলামে। সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে কেয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে আল্লাহ তার একটি কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে দুনিয়ায় ছাড় দেবে আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে ছাড় দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে যায়।’ মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সমগ্র জীবনে সাহায্যপ্রার্থীর প্রতি অকৃপণভাবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনে কখনো কোনো সাহায্য-প্রার্থীকে “না” বলেননি।’ মানবসেবাকে তিনি তাঁর জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কোনো অবস্থায় এ ব্রত থেকে বিচ্যুতি হননি। মদিনা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পরও তিনি বিলাসী জীবন যাপন করেননি। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তাঁর কাছে যেসব উপহার আসত তিনি তা গরিব-দুঃখীদের বিলিয়ে দিতেন। তাঁর ওফাতের সময় পরিবারের জন্য দুই দিন পেট পুরে খাওয়া যায় এমন রুটি ঘরে সঞ্চিত ছিল না। ইসলামে মানবসেবাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত আরেকটি হাদিসে। তিনি বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘বিধবা ও অসহায়কে সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য। (বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা তিনি আরও বলেন,) এবং সে ওই সালাত আদায়কারীর মতো যার ক্লান্তি নেই এবং ওই সিয়াম পালনকারীর মতো যার সিয়ামে বিরতি নেই।’ বুখারি, মুসলিম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মানবসেবা

আপলোড টাইম : ০৯:৩১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

ধর্ম প্রতিবেদন
মানবসেবার মাধ্যমে আল্লাহর সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। মানবসেবা হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ সব রসুল ও নবীর সুন্নাত। দুনিয়ার প্রথম মানব-মানবী হজরত আদম ও হাওয়া (আ.)। দুনিয়ার সব মানুষই তাঁদের বংশধর। সে অর্থে এক মানুষের সঙ্গে অন্য মানুষের সহজাত ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রয়েছে। ইসলাম এ বন্ধনকে আরও অর্থবহ করে তোলার পক্ষে। একজন মানুষ অন্য মানুষের আপদে-বিপদে সহায়তা করবে, সহমর্মিতার পরিচয় দেবে এমনটিই উৎসাহিত করা হয়েছে ইসলামে। সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব কষ্টসমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে কেয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে আল্লাহ তার একটি কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে দুনিয়ায় ছাড় দেবে আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে ছাড় দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে যায়।’ মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সমগ্র জীবনে সাহায্যপ্রার্থীর প্রতি অকৃপণভাবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনে কখনো কোনো সাহায্য-প্রার্থীকে “না” বলেননি।’ মানবসেবাকে তিনি তাঁর জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কোনো অবস্থায় এ ব্রত থেকে বিচ্যুতি হননি। মদিনা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পরও তিনি বিলাসী জীবন যাপন করেননি। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তাঁর কাছে যেসব উপহার আসত তিনি তা গরিব-দুঃখীদের বিলিয়ে দিতেন। তাঁর ওফাতের সময় পরিবারের জন্য দুই দিন পেট পুরে খাওয়া যায় এমন রুটি ঘরে সঞ্চিত ছিল না। ইসলামে মানবসেবাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত আরেকটি হাদিসে। তিনি বলেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘বিধবা ও অসহায়কে সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য। (বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা তিনি আরও বলেন,) এবং সে ওই সালাত আদায়কারীর মতো যার ক্লান্তি নেই এবং ওই সিয়াম পালনকারীর মতো যার সিয়ামে বিরতি নেই।’ বুখারি, মুসলিম।