ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মাথায় ছাতা ১৬’শ স্কুলছাত্রীর বাল্য বিয়েকে না শপথ অনুষ্ঠানে ডিসি জিয়াউদ্দীন আহমেদ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৩৭৮ বার পড়া হয়েছে

আগামী ডিসেম্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নে “বাল্যবিবাহকে না” শপথ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী’র বিশেষ প্রচেষ্টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে “বর্ষা দিনে ছাতা পাই, বাল্য বিয়ে পরিত্যাগে স্কুলে যাই’ প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে ১৬’শ স্কুল ছাত্রীর হাতে তুলে দেয়া হয় সবুজ ছাতা। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় নেহালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই ব্যাতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান হয়। বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেনের সভাপতিত্বে এই বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত শপথ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এক সময় বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গা দেশের শীর্ষস্থানীয় জেলা হলেও সাধারন মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনের সঠিক প্রয়োগ, প্রশাসনের নজরদারি ও তাৎক্ষনিক সাড়া প্রদান, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টগনের পরিবর্তিত মানসিকতার কারনে গত কয়েক মাসে বাল্যবিবাহের প্রবনতা অনেক কমে এসেছে। এখন চুয়াডাঙ্গায় বাল্যবিবাহ নেই বললেই চলে। এভাবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সকলে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসলে আগামী ডিসেম্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষনা করা হবে। তাছাড়া যদি বাল্যবিবাহের সাথে কোন ব্যাক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় বাল্যবিবাহ অপরাধে জড়িত থাকায় এযাবৎ ২৭ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পিতা-মাতা, আতিœয়-স্বজন, মাওলানা, ভুয়া কাজি ও এমনকি যারা সমাজের সম্মাানিত লোকজন যারা বিয়েতে অংশগ্রহন করেছেন এমন ব্যাক্তিও রয়েছেন। তাই আসুন আমরা সকলেই সমাজেরব্যাধী বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে জিবন, পরিবার, সমাজ ও দেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলি। বক্তব্য শেষে জেলা প্রশাসক বেগমপুর ইউনিয়নের সকল গ্রামের মোট ১হাজার ৬শত মাধ্যমিক ছাত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান এবং বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ১টি করে ছাতা প্রদান করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা, তিতুদহ ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, আলোকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইসলাম উদ্দিন, পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান, নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের কৃষকলীগের সভাপতি বেগমপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়াম্যান জিল্লুর রহমান(জুলমত), সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিশ্বাস, যুগ্ন সম্পাদক ফারুক হোসেন, নেহালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি শান্তি মন্ডল, আ: লীগ নেতা ওহিদুল ইসলাম মল্লিক, ইউনিয়নের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আশরাফুল হক মাছুদ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মাথায় ছাতা ১৬’শ স্কুলছাত্রীর বাল্য বিয়েকে না শপথ অনুষ্ঠানে ডিসি জিয়াউদ্দীন আহমেদ

আপলোড টাইম : ০৯:৩২:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৮

আগামী ডিসেম্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নে “বাল্যবিবাহকে না” শপথ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী’র বিশেষ প্রচেষ্টায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে “বর্ষা দিনে ছাতা পাই, বাল্য বিয়ে পরিত্যাগে স্কুলে যাই’ প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে ১৬’শ স্কুল ছাত্রীর হাতে তুলে দেয়া হয় সবুজ ছাতা। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় নেহালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই ব্যাতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান হয়। বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেনের সভাপতিত্বে এই বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত শপথ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এক সময় বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গা দেশের শীর্ষস্থানীয় জেলা হলেও সাধারন মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনের সঠিক প্রয়োগ, প্রশাসনের নজরদারি ও তাৎক্ষনিক সাড়া প্রদান, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টগনের পরিবর্তিত মানসিকতার কারনে গত কয়েক মাসে বাল্যবিবাহের প্রবনতা অনেক কমে এসেছে। এখন চুয়াডাঙ্গায় বাল্যবিবাহ নেই বললেই চলে। এভাবে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সকলে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসলে আগামী ডিসেম্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষনা করা হবে। তাছাড়া যদি বাল্যবিবাহের সাথে কোন ব্যাক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় বাল্যবিবাহ অপরাধে জড়িত থাকায় এযাবৎ ২৭ জনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পিতা-মাতা, আতিœয়-স্বজন, মাওলানা, ভুয়া কাজি ও এমনকি যারা সমাজের সম্মাানিত লোকজন যারা বিয়েতে অংশগ্রহন করেছেন এমন ব্যাক্তিও রয়েছেন। তাই আসুন আমরা সকলেই সমাজেরব্যাধী বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে জিবন, পরিবার, সমাজ ও দেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলি। বক্তব্য শেষে জেলা প্রশাসক বেগমপুর ইউনিয়নের সকল গ্রামের মোট ১হাজার ৬শত মাধ্যমিক ছাত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করান এবং বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ১টি করে ছাতা প্রদান করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা, তিতুদহ ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, আলোকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইসলাম উদ্দিন, পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান, নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের কৃষকলীগের সভাপতি বেগমপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়াম্যান জিল্লুর রহমান(জুলমত), সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিশ্বাস, যুগ্ন সম্পাদক ফারুক হোসেন, নেহালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি শান্তি মন্ডল, আ: লীগ নেতা ওহিদুল ইসলাম মল্লিক, ইউনিয়নের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আশরাফুল হক মাছুদ।