ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মাটি খুঁড়তেই উঠে এলো লুকিয়ে রাখা সোনা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৩৩ বার পড়া হয়েছে

বিস্ময় প্রতিবেদন
মধ্য ইসরায়েলের ইনাভে অঞ্চলে সম্প্রতি চলছিল প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ। সেই কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিলেন ওজ কোহেন নামে এক কিশোর। খনন কাজ চলার সময় চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে কোহেন মাটির নীচে হলুদ রঙের কিছু একটা লক্ষ্য করেন। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, গাছের পাতা। মাটি সরাতেই চমকে যান তিনি। দেখেন, মাটির পাত্রে বোঝাই রয়েছে সোনার মুদ্রা। এ ব্যাপারে কোহেন বলেন, অসাধারণ অভিজ্ঞতা। প্রথমে ভেবছিলাম পাতা। পরে দেখলাম সোনার ম্দ্রুা। এগুলো খুবই প্রাচীন। এই ঘটনা নিয়ে ইজারায়েলের অ্যান্টিকুইটি অথরিটির (আইআইএ) খননকার্যের অধিকর্তা লিয়াট নাদাভ ভিজ বলেছেন, যিনি এই ম্দ্রুা লুকিয়ে রেখেছিলেন, তিনি নিশ্চয় এগুলো পরে তোলার কথা ভেবেছিলেন। সে জন্যই পেরেক দিয়ে আটকানো ছিল মাটির পাত্র, যাতে তা সরে না যায়। এই সব মুদ্রা প্রায় ১১০০ বছরের পুরনো বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও কে সোনার মুদ্রা ভর্তি পাত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। আরও অবাক করা বিষয়, হাজার বছরও পরও সোনার মুদ্রাগুলি একটুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আইআইএ’র ম্দ্রুা বিশেষজ্ঞ রবার্ট কুল জানিয়েছেন, এই মুদ্রাগুলি নবম শতাব্দীর। তখন ইসরায়েলের ওই অঞ্চল ইসলামিক আব্বাসিদ খিলাফতের অধীনে ছিল। সেই সাম্রাজ্যের বিস্তার ছিল বর্তমান আলজিরিয়া থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত। তিনি জানিয়েছেন ওই স্বর্ণমুদ্রাগুলি ২৪ ক্যারাট সোনার তৈরি। সেগুলির মোট ওজন ৮৪৫ গ্রাম। সেই যুগে স্বর্ণম্দ্রুার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে কুল বলেছেন, এখানে যে পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়েছে, তা দিয়ে মিশরের সমৃদ্ধশালী রাজধানী ফুসতাতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কেনা যেত। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে এই এলাকাতেই প্রায় ২ হাজার বছরের পুরনো রোমান সাম্রাজ্যের স্বর্ণম্দ্রুা পাওয়া গিয়েছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মাটি খুঁড়তেই উঠে এলো লুকিয়ে রাখা সোনা!

আপলোড টাইম : ০৮:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিস্ময় প্রতিবেদন
মধ্য ইসরায়েলের ইনাভে অঞ্চলে সম্প্রতি চলছিল প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ। সেই কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিলেন ওজ কোহেন নামে এক কিশোর। খনন কাজ চলার সময় চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে কোহেন মাটির নীচে হলুদ রঙের কিছু একটা লক্ষ্য করেন। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, গাছের পাতা। মাটি সরাতেই চমকে যান তিনি। দেখেন, মাটির পাত্রে বোঝাই রয়েছে সোনার মুদ্রা। এ ব্যাপারে কোহেন বলেন, অসাধারণ অভিজ্ঞতা। প্রথমে ভেবছিলাম পাতা। পরে দেখলাম সোনার ম্দ্রুা। এগুলো খুবই প্রাচীন। এই ঘটনা নিয়ে ইজারায়েলের অ্যান্টিকুইটি অথরিটির (আইআইএ) খননকার্যের অধিকর্তা লিয়াট নাদাভ ভিজ বলেছেন, যিনি এই ম্দ্রুা লুকিয়ে রেখেছিলেন, তিনি নিশ্চয় এগুলো পরে তোলার কথা ভেবেছিলেন। সে জন্যই পেরেক দিয়ে আটকানো ছিল মাটির পাত্র, যাতে তা সরে না যায়। এই সব মুদ্রা প্রায় ১১০০ বছরের পুরনো বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও কে সোনার মুদ্রা ভর্তি পাত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। আরও অবাক করা বিষয়, হাজার বছরও পরও সোনার মুদ্রাগুলি একটুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আইআইএ’র ম্দ্রুা বিশেষজ্ঞ রবার্ট কুল জানিয়েছেন, এই মুদ্রাগুলি নবম শতাব্দীর। তখন ইসরায়েলের ওই অঞ্চল ইসলামিক আব্বাসিদ খিলাফতের অধীনে ছিল। সেই সাম্রাজ্যের বিস্তার ছিল বর্তমান আলজিরিয়া থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত। তিনি জানিয়েছেন ওই স্বর্ণমুদ্রাগুলি ২৪ ক্যারাট সোনার তৈরি। সেগুলির মোট ওজন ৮৪৫ গ্রাম। সেই যুগে স্বর্ণম্দ্রুার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে কুল বলেছেন, এখানে যে পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়েছে, তা দিয়ে মিশরের সমৃদ্ধশালী রাজধানী ফুসতাতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কেনা যেত। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে এই এলাকাতেই প্রায় ২ হাজার বছরের পুরনো রোমান সাম্রাজ্যের স্বর্ণম্দ্রুা পাওয়া গিয়েছিল।