ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মহেশপুরে ভাই হত্যার দায়ে বড় বোন গ্রেপ্তার!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১
  • / ৬৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের এহতেশামুল মাহমুদ রাতুল হত্যার দায়ে বড় বোন মাহমুদা মমতাজ মিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভাই এহতেশামুল মাহমুদ রাতুল হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মিমকে গত শনিবার যশোর ডিবি কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী দুলাভাই শিশিরকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে দোষ স্বীকার করে নেন। শ্বশুরের ওপর প্রতিশোধ নিতেই তিনি শ্যালককে হত্যা করে বলে পুলিশকে জানায়।
মহেশপুর ও যশোর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ জুলাই বাড়ি থেকে ঘুরতে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি রাতুল। এরপর ১২ জুলাই চৌগাছা থানাধীন লস্করপুর শ্মশান মাঠে পাটখেত থেকে মুখে স্কসস্টেপ মোড়ানো অবস্থায় রাতুলের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি দেখে লাশটি রাতুলের বলে শনাক্ত করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় রাতুলের পিতা মহেশপুরের বাজিপোতা গ্রামের মো. মহিউদ্দীন যশোরের চৌগাছা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস হওয়ায় যশোর ডিবি পুলিশের ওপর তদন্ত ভার ন্যস্ত করেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার।
যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মো. শামীম হোসেন মামলার তদন্ত ভার হাতে নিয়ে নিহত রাতুলের ভগ্নিপতি শিশির আহম্মেদকে গত ১৭ জুলাই চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেন। তাঁর স্বীকারোক্তি মোতাবেক ভিকটিমের বোন মাহমুদা মমতাজ মিমকে গত শনিবার (৭ আগস্ট) পিতা মহিউদ্দিনের মাধ্যমে ডিবি কার্যালয়ে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর সংশ্লিষ্টতা আছে বলে প্রমাণিত হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মাহমুদা মমতাজ মিম ডিবি পুলিশকে জানায় ফেসবুকের পরিচয়ে শিশিরের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করেন। জামাই শিশির শ্বশুর-শাশুড়ীর সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করলে শিশিরকে বিভিন্নভাবে অপমান করেন শ্বশুর। অপমানের প্রতিশোধ নিতেই শিশির ও মিম পরষ্পর যোগসাজসে রাতুলকে হত্যার ছক আঁটে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মহেশপুরে ভাই হত্যার দায়ে বড় বোন গ্রেপ্তার!

আপলোড টাইম : ০৪:১৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের এহতেশামুল মাহমুদ রাতুল হত্যার দায়ে বড় বোন মাহমুদা মমতাজ মিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভাই এহতেশামুল মাহমুদ রাতুল হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মিমকে গত শনিবার যশোর ডিবি কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী দুলাভাই শিশিরকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে দোষ স্বীকার করে নেন। শ্বশুরের ওপর প্রতিশোধ নিতেই তিনি শ্যালককে হত্যা করে বলে পুলিশকে জানায়।
মহেশপুর ও যশোর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ জুলাই বাড়ি থেকে ঘুরতে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি রাতুল। এরপর ১২ জুলাই চৌগাছা থানাধীন লস্করপুর শ্মশান মাঠে পাটখেত থেকে মুখে স্কসস্টেপ মোড়ানো অবস্থায় রাতুলের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি দেখে লাশটি রাতুলের বলে শনাক্ত করেন স্বজনরা। এ ঘটনায় রাতুলের পিতা মহেশপুরের বাজিপোতা গ্রামের মো. মহিউদ্দীন যশোরের চৌগাছা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও ক্লু-লেস হওয়ায় যশোর ডিবি পুলিশের ওপর তদন্ত ভার ন্যস্ত করেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার।
যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মো. শামীম হোসেন মামলার তদন্ত ভার হাতে নিয়ে নিহত রাতুলের ভগ্নিপতি শিশির আহম্মেদকে গত ১৭ জুলাই চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেন। তাঁর স্বীকারোক্তি মোতাবেক ভিকটিমের বোন মাহমুদা মমতাজ মিমকে গত শনিবার (৭ আগস্ট) পিতা মহিউদ্দিনের মাধ্যমে ডিবি কার্যালয়ে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর সংশ্লিষ্টতা আছে বলে প্রমাণিত হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মাহমুদা মমতাজ মিম ডিবি পুলিশকে জানায় ফেসবুকের পরিচয়ে শিশিরের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর তাঁরা পালিয়ে বিয়ে করেন। জামাই শিশির শ্বশুর-শাশুড়ীর সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করলে শিশিরকে বিভিন্নভাবে অপমান করেন শ্বশুর। অপমানের প্রতিশোধ নিতেই শিশির ও মিম পরষ্পর যোগসাজসে রাতুলকে হত্যার ছক আঁটে।