ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মহাজাগতিক মহাবিস্ফোরণের সাক্ষী হলো বিশ্ব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৬:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯
  • / ২০৪ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক:
বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়েছিলো আমাদের মহাজগতের। সৃষ্টির ইতিহাসে সেটিই হচ্ছে সবথেকে শক্তিশালী মহাজাগতিক বিস্ফোরণ। তবে এবার মহাকাশবিদরা এমন আরেকটি মহাজাগতিক বিস্ফোরণের প্রমাণ পেয়েছেন যাকে মনে করা হচ্ছে বিগ ব্যাং-এর পর সবথেকে শক্তিশালী বিস্ফোরণ হিসেবে। ঘটনার সূত্রপাত হয় এ বছরের জানুয়ারি মাসে। ১৪ই জানুয়ারি লন্ডন কলেজের দুইটি মহাকাশ স্যাটেলাইটে ওই বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট গামা রশ্মি ধরা পরে। এরপর সেই তথ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মহাকাশবিদদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। জানা যায়, বিস্ফোরণটি ঘটেছে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থিত একটি ছায়াপথে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঘটলেও কল্পনাতীত শক্তিশালী ছিল এই বিস্ফোরণ। এ নিয়ে কাজ করেছেন তিন শতাধিক মহাকাশবিদ। তারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণটি থেকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে এত বেশি শক্তি নির্গত হয়েছে যা আমাদের সৌরজগতের প্রাণ সূর্য তার এক হাজার কোটির বছরের জীবনে পুড়াতে পারবে। ইতিহাসে এত শক্তিশালী ও উজ্জ্বল বিস্ফোরণ এর আগে কখনো রেকর্ড করা হয়নি। সাধারণত রেড জায়ান্ট বা ব্লু জায়ান্ট নক্ষত্র ভেঙে সুপারনোভা পর্যায়ের বিস্ফোরণ ঘটলে এত বিপুল পরিমাণে গামা রশ্মি বিচ্ছুরণ হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরণের বিস্ফোরণ থেকেই ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহবরের জন্ম হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

মহাজাগতিক মহাবিস্ফোরণের সাক্ষী হলো বিশ্ব

আপলোড টাইম : ০৯:১৬:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

বিশ্ব ডেস্ক:
বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়েছিলো আমাদের মহাজগতের। সৃষ্টির ইতিহাসে সেটিই হচ্ছে সবথেকে শক্তিশালী মহাজাগতিক বিস্ফোরণ। তবে এবার মহাকাশবিদরা এমন আরেকটি মহাজাগতিক বিস্ফোরণের প্রমাণ পেয়েছেন যাকে মনে করা হচ্ছে বিগ ব্যাং-এর পর সবথেকে শক্তিশালী বিস্ফোরণ হিসেবে। ঘটনার সূত্রপাত হয় এ বছরের জানুয়ারি মাসে। ১৪ই জানুয়ারি লন্ডন কলেজের দুইটি মহাকাশ স্যাটেলাইটে ওই বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট গামা রশ্মি ধরা পরে। এরপর সেই তথ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মহাকাশবিদদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। জানা যায়, বিস্ফোরণটি ঘটেছে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থিত একটি ছায়াপথে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঘটলেও কল্পনাতীত শক্তিশালী ছিল এই বিস্ফোরণ। এ নিয়ে কাজ করেছেন তিন শতাধিক মহাকাশবিদ। তারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণটি থেকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে এত বেশি শক্তি নির্গত হয়েছে যা আমাদের সৌরজগতের প্রাণ সূর্য তার এক হাজার কোটির বছরের জীবনে পুড়াতে পারবে। ইতিহাসে এত শক্তিশালী ও উজ্জ্বল বিস্ফোরণ এর আগে কখনো রেকর্ড করা হয়নি। সাধারণত রেড জায়ান্ট বা ব্লু জায়ান্ট নক্ষত্র ভেঙে সুপারনোভা পর্যায়ের বিস্ফোরণ ঘটলে এত বিপুল পরিমাণে গামা রশ্মি বিচ্ছুরণ হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরণের বিস্ফোরণ থেকেই ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহবরের জন্ম হয়।